বই- মাইন ক্যাম্ফ পিডিএফ ডাউনলোড করুন
মূল- অ্যাডলফ হিটলার
অনুবাদ- মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন
Mine Camp Bangla Anubad PDF Download Link ⤵️
১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে মিউনিখের গণ-আদালতে যখন হি-ট-লা-রে-র কারাবাসের দিন শুরু হয় তখনি তিনি এই বিশাল কাঠখোট্টা টাইপের জীবনী লেখা শুরু করেছিলেন। এর আগে অনেকে তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন জীবনী লিখতে৷
বেশ অনেকদিন ধরেই বইটি পড়ছিলাম। সময় নিয়ে শেষ করার পরও বলতে পারব না যে বইটির সামগ্রিক একটা রিভিউ দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব। কারণ বিশ্বরাজনীতি, রাজনৈতিক ইতিহাস, জাতিগত ইতিহাস প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নেই বললেই চলে৷ ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে, “Generalization”. আমি এখন বইটি সম্পর্কে সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
**প্রথমত, বইটি পড়ার আগে আমি ধারণা করেছিলাম (যেহেতু কোনো রিভিউ আগে পড়িনি) হি-ট-লা-রে-র সামগ্রিক জীবন সম্পর্কে আমি সংক্ষিপ্ত ধারণা পাব। সেটা কিন্তু হয়নি। এই বইটিতে ওনার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবন সম্পর্কে ততটা জানা যায় না যতটা জানা যায় তারঁ সংগ্রামী, বিপ্লবের চেতনায় ভরপুর মানসিকতা, জাতীয়তাবাদের নিদারুণ চিন্তা সম্পর্কে। অবশ্য বইয়ের নামটিও তাই ডিনোট করে।
**দ্বিতীয়ত বইটি পড়ে জানা যায় ওনার ছোটবেলাটা মোটেও আরামে কাটেনি। সংগ্রামী বাবার মৃত্যুর পর অর্থকষ্টে পড়তে হয়েছিল তাকে৷ মায়ের মৃত্যুর পর সেই কষ্ট আরো দ্বিগুণ হয়েছিল৷ শ্রমিকদের সাথে তাকে কাজ করতে হয়েছিল পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য।
** তৃৃতীয়ত তিনি প্রচুর বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন প্রভৃতি পড়তেন৷ আশপাশ সম্পর্কে খবরাখবর রাখতন। যে কোনো আন্দোলন, ইতিহাস প্রভৃতি সম্পর্কে তার ছিল সম্যক জ্ঞান। যে কারণে খুব সহজে যে কোনো কিছুকে বিশ্লেষণ করতে পারতেন তিনি। নিজের মতবাদ বলতেও পারতেন অনায়াসে। এক জায়গায় তিনি বলেছেন তাঁর গলার স্বর ছিল মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো। ওনার আহরিত জ্ঞানের ভান্ডার দেখে সত্যি অবাক হতে হয়।
**চতুর্থত ইহুদিদের তীব্র ঘৃণার চোখে দেখতেন তিনি। কারণ জাতি হিসেবে ওদের নিজস্ব কোনো সত্তা ছিল না, তারা শিল্প সৃষ্টিতে পারদর্শী ছিল না, তারা মিথ্যাবাদী ছিল, তারা চতুরতার আশ্রয় করে লোক ঠকাত প্রভৃতি কারণের কথা তিনি বইয়ের শেষের দিকে উল্লেখ করেছেন।
*পঞ্চমত, মার্কসবাদকে চরম ঘৃণা করতেন তিনি। কমিউনিজম, মার্কসবাদ এসব শব্দকে লোকের মন থেকে উপড়ে ফেলার জন্য বদ্ধ পরিকর ছিলেন।
**সর্বশেষ, “ন্যাশনাল সোশালিস্ট লেবার পার্টি” তে যোগদানের কারণ, যোগদান করার পর সেটির উত্থান, সেটির কর্মাবলী বা নীতির বর্ণনা আছে বইয়ের শেষ অধ্যায়ে৷
হি-ট-লা-র বলেছেন বইটির দ্বিতীয় খন্ড লিখবেন৷ সেটি কি লিখেছিলেন? লিখলে তো জানতে পারতাম।
বইটির কিছু লাইন ভালো লেগেছে। সেগুলো তুলে দিলাম —
১) ইতিহাসের অর্থ হল কোন বিশেষ ঘটনা কেন এবং কীভাবে একটা জাতির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে ছিল সেটাকে জানা৷ আর ইতিহাস পড়া উচিত- বিশেষ দরকারি জিনিসটাকে মনে রাখা,অদরকারি বিষয়টা ভুলে যাওয়া।
২) যৌবনের বছরগুলো মানুষকে যে অভিজ্ঞতার বনিয়াদ গড়ে দেয়, ভবিষ্যতের জ্ঞানের প্রাসাদ তাকেই ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। যৌবনের ধ্যান ধারণাগুলোই ভবিষ্যতের রঙিন ফুল। যদি অবশ্য তার মধ্যে সৃষ্টির বীজ বোনা থাকে। যৌবনের সৃষ্টির চিন্তাধারা ভবিষ্যতের প্রাসাদ নির্মাণের রসদ।
৩) স্বভাবতই যে লেখক যত নিচুমানের এবং চালাক, তত বেশি তার জনপ্রিয়তা।
৪) যে জাতির সম্মান নেই, আজ হোক কাল হোক সে তার স্বাধীনতা এবং মুক্তি হারাবেই।
৫) তারাই হল মহান নায়ক যারা নাকি তাদের আদর্শ এবং সেই আদর্শের প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরত সংগ্রাম করে চলে, যদিও সমকাল তাদের স্বীকৃতি দেয় না।
৬) এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে লড়াই করতে হবে। যে পৃথিবীতে নিরন্তর সংগ্রামই জীবনের নিয়ম, সেই পৃথিবীতে কেউ যদি লড়াই করতে না চায়, তার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?