ব্ল্যাক বুদ্ধা : রবিন জামান খান | Black Buddha By Robin Zaman Khan

At A Glance Of Black Buddha

  • Title : ব্ল্যাক বুদ্ধা
  • Author : রবিন জামান খান
  • Publisher : বাতিঘর প্রকাশনী
  • ISBN : 97898487299410
  • Edition : 2019
  • Number of Pages : 479
  • Country : Bangladesh
  • Language : Bengali
ব্ল্যাক বুদ্ধা – রবিন জামান খান

২৫শে মার্চ বইটা পড়ার সাথে সাথেই লেখক রবিন জামান খানের একজন ফ্যান হয়ে যাই আমি।বাতিঘর প্রকাশনীর সাথে পরিচয় হবার পরে এর ১ম যে ৩ জন লেখকের লেখার বিশাল ভক্ত হয়ে যাই,তাদের মধ্যে রবিন জামান খান একজন।কিন্তু ২৫শে মার্চের পরে তাঁর ফোরটি এইট আওয়ার্স সেভাবে তুষ্ট করতে পারে নাই।আরোহী-অন্ধ প্রহরের আরোহী মারাত্মক তুষ্ট করলেও কেমন যেন শুরু আগেই শেষ হয়ে গেলো।মানে সোজা বাংলায় বাকী ২ জন মানে নাজিম উদ্দিন এবং তানজীম রহমানের কাছে বড়সড় বই পাওয়া গেলেও রবিন ভাইয়ের কাছে পাচ্ছিলাম না।এরপর একদিন তাঁকে মেসেজে বলেই ফেললাম যে ভাইয়া বড় লেখা কবে আসবে?আর ইতিহাস নির্ভর লেখাও তো ২৫শে মার্চের পর আর পাচ্ছি না।তিনি বলেছিলেন,অপেক্ষা করো,দারুণ কিছু আসছে।

সেই দারুণ কিছু আসলেই এসেছিলো।বড়সড় লেখা+ইতিহাস নির্ভর লেখা আসলো সপ্তরিপুতে।এবং আমার অত্যন্ত আগ্রহের একটা বিষয় ঠগীদের নিয়ে লেখাটা খুবই ভালো লেগেছিলো।কিন্তু আমার কি জানাছিলো রবিন ভাইয়ের লেখা আরো বড় হবে এবং লেখা যেভাবে বড় হবে,সেভাবে তাঁর ইতিহাস ও আরো পেছনের দিকে যেতে থাকবে!মুক্তিযুদ্ধ থেকে একটু পিছয়ে ব্রিটিশ আমলের উপমহাদেশ।আর এবার তিনি এমন লাফ দিলেন যে এক লাফে একেবারে খ্রিস্টেরও জন্মের আগে মৌর্য শাসনামল-শুঙ্গ শাসনামলে চলে গেলেন।আমি তো চিন্তা করছি কবে না ভাইয়া সেই আদিম গুহামানব যুগে চলে যান!আর তিনি যেভাবে ইতিহাস নির্ভর থ্রিলার লিখছেন,তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে না চিনলে বা বইয়ের লেখক পরিচিতি না পড়লে যে কেউ নির্ঘাত ভাববে তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক।

যা হোক,প্রত্যেক বইমেলার সবচেয়ে মোটা বই আমি সবার শেষে পড়ি।২০১৯ বইমেলায় কেনা ব্ল্যাক বুদ্ধা ছিল আমার কেনা সবচেয়ে মোটা বই তাই সেটা ধরতেও সময় লাগলো।যদিও ২০১৯ এর আরেকটা বই এখনো বাকী আছে।তবে এখন এসব গল্প বাদ দিয়ে মূল কথায় আসি।

রবিন জামান ভাইয়ের ইতিহাস নির্ভর লেখায় ২টা অংশ থাকে,একটা ইতিহাসের অংশ,আরেকটা বর্তমান অংশ।অনেকসময় এমন হয় যে ২টা অংশের ১টা প্রবলভাবে আটকিয়ে রাখে,আরেকটা সেভাবে ভালো লাগে না।কিন্তু ভাইয়ার লেখাগুলোয় ২টা অংশই আমাকে চূড়ান্তভাবে আটকিয়ে রাখে।তাঁর লেখনীর ধারই এমন যে বর্তমান সময় তো বর্তমান,আপনি খ্রিস্টের জন্মের ১৮০ বছর পূর্বের সময়,পরিবেশ,মানুষদের দেখতে পারবেন,অনুধাবন করতে পারবেন।যদি এই বইয়ের কথাই ধরি,আমি তানভীর,সুলতান,জালাল,ইকবাল,মিস্টার জেডকে যেমন অনুধাবন করতে পারছিলাম;একইভাবে শামান,কালন্তি,বিধু,ধোয়ী বা বিক্রমাদিত্যকে সেভাবে অনুধাবন করতে পারছিলাম।বরঞ্চ তানভীর আর শামান এই ২ চরিত্রকে আমি পাশাপাশি দাঁড় করালে আমি বলবো রাশটা ছিল শামানের হাতেই।মাঝে মাঝে কিছু বই পড়ি যেগুলোর চরিত্রগুলো দারুণভাবে মনে গেঁথে যায়,এই শামান চরিত্রটা ছিল তেমনই।


এমনকি মনে হচ্ছিল,সেই ২টা “হিম্বা” নামক কাতানা যদি আমার হাতে থাকতো!ওভাবে ঘোড়া ছুটিয়ে কাতানা ২টা দিয়ে যুদ্ধ যদি আমি করতে পারতাম!মানে সোজা কথায় এই সেলফ কোয়ারেন্টাইনের সময় বইটায় একবার ঢুকে গিয়ে বের হওয়ার আর কোন উপায় ছিল না।আর লেখক ইতিহাসের মাধ্যমে যেভাবে একটা জমজমাট থ্রিলার আবারো পরিচালনা করে সফলভাবে ইতি টানলেন…হ্যাটস অফ!আমার তো লাগে রবিন ভাইয়ের লেখা পড়ে এখন ইতিহাসটাও ঝালাই হয়ে যাচ্ছে!আর আরেকটা মজার ব্যাপার,ভাইয়ার বইয়ের শেষে পরের বইয়ের ব্যাপারে একটা আভাস।যেমন সপ্তরিপুর শেষেই অপারেশন ব্ল্যাক বুদ্ধার কথা বলা ছিল।আবার ব্ল্যাক বুদ্ধার শেষ পড়ে মনে হচ্ছে অফিসার শারিয়ারকে নিয়েই লেখক তাঁর “মগরাজ” পরিচালনা করবেন।এবং তারপরে সপ্তরিপুর বাশার,ব্ল্যাক বুদ্ধার তানভীর এবং মগরাজের শারিয়ারকে নিয়ে মাথাফাকা এবং আরো প্রকাণ্ড কিছু সংঘটিত করবেন লেখক।
সময়: ১৮০ খ্রিস্টপূবার্ব্দ। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন আর শুঙ্গ বংশের উত্থানের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষ যখন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যায় উত্তাল, এমনি এক বিক্ষুব্ধ সময়ে অপহৃত হলো তিব্বতের সবচেয়ে বড় মঠের প্রধান লামা। তাকে উদ্ধার করতে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রাখলো তিব্বতের সেরা যোদ্ধাদের একজন। অন্যদিকে, বর্তমান সময়ে আসাম থেকে রিসার্চ প্রজেক্ট শেষ করে দেশে ফেরার পথে গায়েব হয়ে গেল শাবিপ্রবি’র একজন শিক্ষক। তাকে খুঁজে বের করতে সিলেট পাঠানো হলো অফিসার তানভীর মালিককে। 

একদিকে সিলেট শহরকে ঘিরে পুরনো ব্যক্তিগত তিক্ততা, অন্যদিকে ফিল্ড লেভেলে কাজের অনভিজ্ঞতায় দিশেহারা তানভীর মালিক প্রতি পদে হোঁচট খেতে-খেতে যখন প্রায় রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে তখুনি সে আর তার আপারেটিভ টিম জানতে পারলো অতীত আর বর্তমানের এই জটপাকানো ঘটনার মূল নিহিত আছে এমন এক বিন্দুতে যেখানে অবস্থান করছে দুই হাজার বছরের পুরনো এক রহস্য- মানব সভ্যতা যাকে বুদ্ধের অন্ধকার অবতার নামে জেনে এসেছে। ‘২৫শে মার্চ’ ও ‘সপ্তরিপু’খ্যাত রবিন জামান খানের নতুন হিস্টোরিক্যাল থৃলার ‘ব্ল্যাক বুদ্ধা’- ধর্ম, গোত্র, লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা আর ক্ষমতার লড়াইয়ের এক বিস্তৃত উপাখ্যান, যেখানে অতীতের পাপাচার সংজ্ঞায়িত করে চলেছে বর্তমান সংশয়কে।

দুইটি সমান্তরাল সরলরেখা পরস্পরকে কখনো ছেদ করেনা। তবে রবিন জামান খান দুইটা সমান্তরাল ঘটনাকে এক সুতোয় বেঁধেছেন সিদ্ধহস্তে। ‘সময়’ সিরিজের দ্বিতীয় বই ‘ব্ল্যাক বুদ্ধা’। নাম থেকেই আঁচ করা যায় বইটি বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারক গৌতম বুদ্ধ সংশ্লিষ্ট।

১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ভারতবর্ষ। উত্তরে ইউরোপিয়ানদের আক্রমণ ঠেকাতে জীবনে প্রথমবারের মতো নিজ এলাকার বাইরে বের হয়েছেন মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ। এখানেই সেনাপতি পুশ্যমিত্র বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যা করে বৃহদ্রথকে। তারপর নিজেকে শুঙ্গ বংশের রাজা ঘোষণা করে মৌর্য শাসনের সমাপ্তি ঘটায়। ক্ষমতা দখলের পরপরই বৌদ্ধদের উপর গণহত্যা চালায় পুশ্যমিত্র। শহর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়? তাই এই ঘটনার প্রভাব পড়ে কন্নোর রাজ্যেও। এই অঞ্চলে বাৎসরিক ভ্রমণে ছিলেন তিব্বতের শান্তি মঠের প্রধান ডুকমা লামা। শুঙ্গদের ক্ষমতা গ্রহণের পর অপহৃত হন তিনি। তাকে উদ্ধারেই ডাক পড়ে লাল চুল ও নীল চোখের তিব্বতি যোদ্ধা শামান ও সিংহল-আসামের সেনাবাহিনীতে কাজ করা বিধুর।
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ। পিবিআইয়ের একজন অ্যানালিস্ট তানভীর মালিক। ফিল্ড এজেন্ট হিসেবে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের একটি স্বতন্ত্র উইংয়ের প্রধান হাবিব আনোয়ার পাশা তানভীরকে স্কটল্যান্ডে পাঠান প্রশিক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রশিক্ষণ চলাকালীনই জরুরিভিত্তিতে দেশে ফেরত আসতে হয় তাকে। কারণ সাস্টের একজন শিক্ষক নিখোঁজ। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আসামে প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান চালাচ্ছিলেন। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। তবে এবার দেশে ফেরার সময় সীমান্ত অতিক্রম করার পরই তাদের আর কোনো খোঁজ নেই। একেবারে পুরো দলটাই লাপাত্তা। এদেরই খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেয়া হয় ফিল্ড এজেন্ট হিসেবে অনভিজ্ঞ তানভীর মালিককে। এরকম একটি দায়িত্ব তাকেই কেন দেয়া হল তাও আবার জরুরি তলব করে, এসব নিয়ে ভাবতে থাকে সে। তানভীর মালিক কি পারবে জীবনের প্রথম মাঠ পর্যায়ের অপারেশনে সফল হতে? নাকি শুরুতেই নিজের ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে?
বইটার ভালো দিক হলো সাবলীল লেখা। ইতিহাসের উপাদানকে সবাই ব্যবহার করতে পারেনা। 
লেখক এদিক দিয়ে ভালোই কাজ দেখিয়েছেন। তথ্য সংগ্রহে পরিশ্রম করেছেন বইটা পড়লেই বোঝা যায়। সপ্ত রিপু পড়েছিলাম। তবে বইটা ভালো ছিল ব্ল্যাকবুদ্ধার তুলনায়। দুই সময়ের দুই নায়ক তানভীর ও শামানের মধ্যে শামান চরিত্রটি অসাধারণ লেগেছে। জালাল ও সুলতানের গুলি চালানোটা উপভোগ্য ছিল।
বানান ভুল আর অ-সম্পাদনা নিয়ে কিছু বলব না। এটা অভ্যাস হয়ে গেছে বাতিঘরের বই পড়তে গিয়ে। প্রথমদিকে তানভীর মালিকের অপারেশনে একবার বলা হয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও জার্মান পুলিশের অপারেশন, আবার পরের পৃষ্ঠায় জার্মান পুলিশের জায়গায় সেটি এফবিআই উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু জায়গায় বাক্যের পুনরাবৃত্তি এবং বাহুল্যতা ছিল। তানভীর মালিকের ‘ডেজার্ট ঈগল’ পিস্তল যখন দেয়া হয় তখন এটাকে ‘ফিফটিন রাউন্ড’ ম্যাগাজিনের উল্লেখ করা হলেও পরবর্তীতে ষোলো রাউন্ডের ম্যাগাজিন বলা হয়েছে। লিচ্ছবীদের আক্রমণের একপর্যায়ে তাদেরকে শাক্য বলা হয়েছে। লাক্কাতুরার বাংলোয় হামলা চালানোর সময় সুলতান ও জালাল মোট ৬ জনকে হতাহত করে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় ৪ জন নিহত আর ১ জন আহত ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়েছে।
অতীতে একজন সূত্র দিল ‘কাল বাদে পরশু’। তারপর সাথে সাথেই মারা গেল। আবার বর্তমানে একজন সূত্র দিল ‘টাইটানিক’। আর সাথে সাথেই মারা গেল। মানে অতীত পড়লে বর্তমান অনুমান করা যাচ্ছে। এরকম অনেক ঘটনা আছে কাছাকাছি পর্যায়ের। সপ্তরিপুতে যে কাহিনি বিন্যাস ছিল। এখানেও তাই। মগরাজ কিংবা পরবর্তীতেও হয়ত একইরকম হবে। নতুনত্ব নাই আরকি।
 
আরেকটা ব্যাপার বুঝিনি। অপারেশন ব্ল্যাকবুদ্ধা হইল ২০১৯-এ। অথচ ২০১৮ সালের সপ্তরিপু বইতে ব্ল্যাকবুদ্ধার কমান্ডার অপারেশন শেষ দিয়ে আসলো কিভাবে? যেহেতু বই দুইটিতে বর্তমান সময় বলতে নির্দিষ্ট কোনো সালের উল্লেখ করেননি লেখক, তাহলে স্ব স্ব বইয়ের বর্তমান সময় কি ওই বইয়ের প্রকাশকাল হওয়া উচিত না?
সময় : ১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন আর শুঙ্গ বংশের উত্থানের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষ যখন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যায় উত্তাল, এমনি এক বিক্ষুব্ধ সময়ে অপহৃত হলো তিব্বতের সবচেয়ে বড় মঠের প্রধান লামা। তাকে উদ্ধার করতে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রাখল তিব্বতের সেরা যোদ্ধাদের একজন। অন্যদিকে, বর্তমান সময়ে আসাম থেকে রিসার্চ প্রজেক্ট শেষ করে দেশে ফেরার পথে গায়েব হয়ে গেল শাবিপ্রবির একজন শিক্ষক। তাকে খুঁজে বের করতে সিলেট পাঠানো হলো অফিসার তানভীর মালিককে। 
একদিকে সিলেট শহরকে ঘিরে পুরনো ব্যক্তিগত তিক্ততা, অন্যদিকে ফিল্ড লেভেলে কাজের অনভিজ্ঞতায় দিশেহারা তানভীর মালিক প্রতি পদে হোঁচট খেতে খেতে যখন প্রায় রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে তখুনি সে আর তার আপারেটিভ টিম জানতে পারল অতীত আর বর্তমানের এই জটপাকানো ঘটনার মূল নিহিত আছে এমন এক বিন্দুতে যেখানে অবস্থান করছে দুই হাজার বছরের পুরনো এক রহস্য মানবসভ্যতা যাকে বুদ্ধের অন্ধকার অবতার নামে জেনে এসেছে।

Author Information Of Robin Zaman Khan

রবিন জামান খানের জন্ম ময়মনসিংহ শহরে, পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোনার কেন্দুয়াতে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষাতত্বে দ্বিতীয় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। পড়া-পড়ানো, শেখা-শেখানোর চর্চা থেকেই শিক্ষকতাকে পেশা ও লেখালেখিকে নেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংকলনে বেশকিছু মৌলিক ও অনুবাদ গল্প লেখার পাশাপাশি লিখেছেন একাধিক টিভি নাটক। তার মৌলিক থৃলার উপন্যাস শব্দজাল, ২৫শে মার্চ, সপ্তরিপু, ব্ল্যাক বুদ্ধা, ফোরটি এইট আওয়ার্স, দিন শেষে, আরোহী ও অন্ধ প্রহর ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে বিপুল পাঠক প্রিয়তা। বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতা থেকে প্রকাশিত তার মৌলিক গ্রন্থ ২৫শে মার্চ, সপ্তরিপু ও শব্দজাল পশ্চিম বঙ্গের পাঠক মহলে ভালোবাসা কুড়িয়েছে।

ভারতবর্ষের ইতিহাসের রহস্যময় ঘটনাবলী, সেইসাথে মানব মনের জটিল মনস্তত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহ থেকে উনি বর্তমানে কাজ করে চলেছেন একাধিক ইতিহাস নির্ভর ও সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস নিয়ে। এরই প্রেক্ষিতে খুব শিঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার মৌলিক থৃলার উপন্যাস বিখন্ডিত, রাজদ্রোহী, ধূম্রজাল, সিপাহী। রবিন জামান খান ঢাকায় প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবষেণা করছেন তিনি।
credit : sanowar hossain
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?