বই- বৃশ্চিক পিডিএফ ডাউনলোড
লেখক-পিয়া সরকার
পাবলিশার্স – বুক স্ট্রিট
প্রায় ছয় মাস পর বেশ দুর্দান্ত একটা মার্ডার মিস্ট্রি বই পড়লাম। এমন একটা বই পড়ে দুই লাইন লিখবো না, তা কী করে হয়।
কাহিনি সুত্রপাত ঘটে দর্শনা বোস আর আর তার বন্ধু সুমন্তকে দিয়ে। দুজন বসে অপেক্ষা করে গণেশ নামে একটা ইনফর্মারের জন্য। খুব কাছের মানুষ গণেশ। সে জানায় নবগ্রাম নামে এক ছোট্ট গ্রামে খুনের দায়ে ফেসে যায় তার ভাগ্নে বিধান। তাকে বাঁচাতেই দর্শনা বোসকে পা রাখতে হয় নবগ্রামে। মৌপিয়া হালদার নামে এক আঠারো বছরের তরুণীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনি। খুনের পর তার প্রাইভেট পার্টস দিয়ে ঢুকিয়ে দেয় লাঠির মত কিছু৷ নৃশংসতা দেখে সবাই বুঝে ফেলে এটা সাইকোপ্যাথ এর কাজ। কেসে যোগ দেয় স্থানীয় ওসি রণদীপ সামন্ত৷ কেসে এগুতে থাকে৷ সন্দেহের তীর ছুটতে থাকে একজনের উপর থেকে আরেকজনের উপরে। সাসপেক্ট লিস্ট যোগ হতে থাকে আর বাড়তে থাকে তাদের এলিবাই। ছিমছাম এলাকা পরিণত হয়ে শিকারিতে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া –
এক লাইনে বলি, গল্পটা ভালো। লেখিকার প্রথম বই হিসেবে বেশ ভালো। বর্ণনা, বিল্ডাপ, সেটিংস, নির্দিষ্ট সিস্টেম মেনে চলা, ফরেনসিক নলেজ আর এক্সপ্লেনেইশেন চমৎকার লেগেছে। ওভার অল, ভালো একটা মার্ডার মিস্ট্রি।
এবার আসি সমালোচনার জায়গায়।
১)মূল সাসপেক্ট বিধান। অথচ পুলিশ তার বাড়ি তল্লাশি না চালিয়েই সেশন কোর্টে তোলার চিন্তা করছে। ভোগাস লেগেছে ব্যাপারটা। গল্পের ৫০% পার হওয়ার পর দর্শনা বোস সার্চ করে বিধানের ঘর। অথচ তাকে এরেস্ট করা কাহিনির শুরুতে।
২) আচ্ছা ভাবেন তো, আঠারো বছরের একটা মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করে আফটার ডেথ রেইপ করা হলো। আর সে কেসের তদন্তকারী আপনি। আপনার চিন্তা লাগবে না? বা টেনশন। পুরো বইয়েই অনুপস্থিত এটা। দর্শনা বোসকে একরকম অতিমানব লাগছিল। শুধু তাই না। সাসপেক্টদের ইনার কনফ্লিক্ট তুলে ধরতে ব্যর্থ লেখিকা। যার জন্য পুরো বইয়ে একটাও ব্রেথ ক্যাচিং মুহূর্ত আসেনি
৩) ‘ওকে’ কী? তাকে, সে ব্যবহার করা যায় না? বিরক্ত লেগেছে ব্যাপারটা।
শেষ কথা, এই অসংগতিগুলো ছাড়া পুরো বইটাই বেশ ভালো ছিল। একটানে পড়ার মতো।
রেটিং -৪/৫ Download Now
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?