বাতাস কলের সিম্ফনি – মাসুদ হাসান উজ্জ্বল | Batash Coler Symphony – Masud Hasan Ujjal

  • বই বাতাস কলের সিম্ফনি
  • লেখক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
  • প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন
  • প্রকাশনী কিংবদন্তী পাবলিকেশন

কাচের মতো স্বচ্ছ দেহ নিয়ে পড়ে থাকা অর্ক আর ধড় থেকে যখন খুশি মাথা খুলে রাখতে পারার ক্ষমতাপন্ন মানুষ অনাদীর প্রথম দেখা হয় একটা থানায়। দু’জনেই দুটি পৃথক খুন করে এসে থানার এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জনাব মঞ্জুরে ইলাহিকে অনুরোধ করেন লাশ খুঁজে দিতে অথবা তাদেরকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করতে। ইলাইহি সম্মত হন না তাদের সেই দাবিতে। তিনি জানান- থানাটাই কেবল আছে, কিন্তু দেশের কোথাও কোনো অপরাধ বা অপরাধী নেই! তারা দু’জনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইলাইহির টুটি চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

 
ইলাইহি হাসতে হাসতে তাদেরকে দেখিয়ে দেয় যে তার কন্ঠনালির ঠিক কোন জায়গাটাতে ৩০ সে চেপে ধরে রাখলে মৃত্যু নিশ্চিত করাটা সহজ হবে! হতাশ হয়ে একটা কালো জলের জলপাই নদীর কিনারে অর্ককে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অনাদী। এক বেদেনীর সাথে দেখা হয় অর্কর। সকল প্রকার নেশা একঘেয়ে হয়ে আসার পর জিহ্বায় সাপের বিষের ছোবল নেওয়ার নেশায় আগ্রহ জন্মে অর্কর। বেদেনী এক রহস্যময় হাসি হেসে একটা বিষধর সাপের ছোবল দেয় অর্কর জিহ্বায়। নেশার প্রতিক্রিয়া হিসাবে একটা টানেলের ভেতরে তীব্রভাবে ছুটতে ছুটতে নরকে প্রবেশ করে অর্ক এবং নরকে অবস্থানের এই সময়টাতে সে একটু একটু করে যেইসমস্ত অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলির ভেতর দিয়ে যায় তা যেন সহস্র বঞ্চিত মানুষের মনের কথা!
 
কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ‘এর একটি অনবদ্য সৃষ্টি “বাতাস কলের সিম্ফনি “।ইউটিউবে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল লিখে সার্চ করলে ফসিলের কান্না,রোদ মেখে সুর্যমুখী,যে জীবন ফড়িংয়ের,উনপঞ্চাশ বাতাস সহ আরও অনেক ভিডিও আপনার সামনে আসবে।সত্যি কথা বলতে এই কাজগুলো দেখে আমি পুরো দস্তুর ওনার ফ্যান হয়ে গেছি।যখন জানতে পারলাম ওনার লেখা বই প্রকাশ হচ্ছে আমি অপেক্ষায় ছিলাম কবে বইটা পড়ব।গত সপ্তাহে বইটা হাতে পাই এবং পড়া শুরু করি,এককথায় অনবদ্য লেখা।এক পাতা পড়ার পর অন্য পাতা না পরে উঠতে পারছিলাম না।আমার জীবনে একবারে পড়া প্রথম বই ছিলো জুনায়েদ ইভান ভাইয়ের “শেষ” এবং দ্বিতীয় বই এটা।যারা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ‘এর নাটক বা সিনেমা দেখেছেন তারা জানেন যে তিনি নির্মাতা হিসাবে অন্য ঘরানার এবং অনবদ্য। তার কাজ তথাকথিত নির্মাতাদের মতো না,বেশ আলাদা এবং সুন্দর।এই বইটা পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন লেখক হিসাবেও তিনি অন্য ঘরানার এবং অনবদ্য। তার নাটকের মতো তার লেখাও মনে অন্য রকমের অনুভুতি সৃষ্টি করে।
 
শোনা যায়, এই দেশে গণধোলাইয়ে লোক মারা যায়। পরিতোষের উপরে এ পৈশাচিক আক্রমণ যতজন মিলে করছিল তার থেকে দশগুণ বেশি মানুষ ব্যাস্ত ছিল মোবাইল ফোনে সেটার ভিডিও করা নিয়ে। এই মানুষগুলো সম্ভবত মানুষ নয়, তাই এখানে গণধোলাই দেবার কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হয় না। ফলে খুব নির্বিঘ্নে শেষ দমটা থাকা পর্যন্ত তারা পরিতোষকে কুপিয়ে চলে যায়। অর্ক দূর থেকে পুরো বিষয়টা দেখে, তার কোনো ধরনের ভাবাবেগ তৈরি হয়। না। তার জন্য কোনো ভাবাবেগ তৈরি হওয়াটা তেমন জরুরিও নয়।

উপরোক্ত অংশটি “মাসুদ হাসান উজ্জ্বল” রচিত উপন্যাস “বাতাস কলের সিম্ফনি” থেকে নেয়া হয়েছে। বইটি বাতিঘর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট), পাঠক সমাবেশ, রকমারি ডট কম সহ সকল অনলাইন বুকশপ এবং লাইব্রেরীতে পাওয়া যাচ্ছে। কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

 
এই বইটি যখন হাতে নিয়ে ছিলাম অনেক মোটা ছিল ।মনে হচ্ছিলো বইটি মনে হয় পড়ে শেষ করতে পারবো না । কিন্তু যখন পড়া শুরু করেছি পড়তে ছিলাম পড়তে ছিলাম কোন লাইন বাদ দেওয়া যায় নাই ।একেকটা লাইন পড়তেছিলাম আর মনের মধ্যে কৌতূহল জাগায় কি হবে তারপর কি হবে এরকম করতে করতে বইটি শেষ হয়েছে। চমৎকার একটি বই।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?