বর্তমান পৃথিবীর লোক এটা মনে করে যে, বাচ্চাদের মেধার বিকাশ ও উন্নয়নে মিডিয়া খুব বেশি প্রয়োজন৷ কিন্তু এটি ভুল বিষয়৷ শিশুর মানসিক বিকাশ ও উন্নয়নে সবচে বড় ভূমিকা রাখে সঠিক দিক নির্দেশনা। বাবা মায়ের আদর যত্ন ও আদর্শের শিক্ষা। বাবা মা যদি সন্তানকে সময় না দিয়ে তাকে ইউটিউব, স্মার্টফোন দিয়ে রাখে আর সেখানে ইসলামিক বিষয়গুলো দেখানো হয়, কার্টুন, ফার্টুন তাহলে তার মাঝে ইসলামের বোধ চলে আসে
— এমনটা আমরা ভাবি। কিন্তু এটি অনেকাংশে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেননা, এতে ভালোর চেয়ে খারাপের আগমন বেশি। তাই ইউটিউবে এসব ইসলামি বিষয়ও শিশুকে দেখতে না দেওয়া।
এখন প্রশ্ন, তাহলে শিশুকে ইসলামি সংস্কৃতি শেখাতে কী পদ্ধতি অবলম্বন করব?
এর উত্তর হলো, ১) বাড়ি থেকে সমস্ত টিভি, সিডি, ডিশ, বড় ফোন, অশ্লীল বিষয় শিশুর বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সরিয়ে ফেলুন। নিজেরা যোগ্য সন্তান পেতে হলে এসব ডিভাইসের মমতা ছাড়তে হবে।
২) তাকে দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিন। তাকে নিজেরা প্রচুর সময় দিন। তাকে নিয়ে মসজিদে যান। ইসলামের আদর্শের সাথে পরিচয় করান।
৩) তার হাতেখড়ি করুন, সুন্দর সুন্দর ইসলামী বই দিয়ে। যেমন, আবু তাহের মিসবাহ হুজুরের বিসমিল্লাহ, আকিদা সিরিজ ইত্যাদি।
৪) তার খেলার সাথী কারা তা লক্ষ্য করুন। তার বেড়ে ওঠার জন্য তার পরিবেশ তৈরি করুন। প্রকৃতি, সবুজ বনবনানি, পাশের ঘর, প্রতিবেশী সব লক্ষ্য করুন৷ তাকে মুক্তপরিবেশ দিন। যে পরিবেশে নেই বৈরি হাওয়া।
৫) সর্বোপরি বাবা মাকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনাদের একে অপরের মাঝে যেন কোনো ঝগড়া না হয়। আপনাদের মাঝে এমন কোনো কাজ যেন না হয়, যা থেকে শিশু কষ্ট পায়। আপনাদের আচরণ যত উন্নত হবে। আপনার শিশু হবে তত উন্নত।
দেখবেন শিশু বেড়ে উঠবে সুন্দর মন নিয়ে। যখন বুঝতে শিখবে তখন এমনিতেই সে কৃতজ্ঞতায় লুটিয়ে পড়বে। বাবা মায়ের জন্য দু’হাত তুলে দুয়া করবে। 100% Article Credit : Kitabghar
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?