রকমারির প্রি-অর্ডারের ইতিহাসে রেকর্ড গড়লো তাসরিফ খানের ‘বাইশের বন্যা’ বইটি।
- বইঃ বাইশের বন্যা
- লেখকঃ তাসরিফ খান
- ধরনঃ গল্পগ্রন্থ
- প্রকাশনীঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন
সময় তখন রাত বারোটার কাছাকাছি। সারাদিন ধরে ৭৫০ বস্তা ত্রাণ বিতরণ শেষে, দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ফিরছি। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ত্রাণের বস্তায় হেলান দিয়ে ঝিমাচ্ছিলাম, কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ প্রিয়ত আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বললো যে, আমাদের পেছনে ডাকাত তাড়া করছে।
আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। প্রচণ্ড বুক কাঁপছে আমার। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখি চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝিকে ডেকে বললাম যে মামা পেছনে টর্চ জ্বালান। টর্চের আলোয় দেখলাম মাঝবয়সী অনেকগুলো লোক ট্রলারের মধ্যে বাঁশ, ধারালো দা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
আমার বুঝতে বাকি রইলো না ট্রলারগুলো যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে বড়জোড় আর দশ মিনিট সময় লাগবে আমাদের ট্রলারটা ধরতে। আমি সেনাবাহিনীকে অনবরত ফোন করতে থাকলাম কিন্তু কোন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। হঠাৎ মাঝি আমাদের ডেকে বললো, আপনেরা একটা পলিথিনের মধ্যে আপনেগো মোবাইল আর টাকা-পয়সা একসাথে কইরা রাইখা দেন; নাইলে আইজ আর কেউ বাঁইচা ফিরতে পারবেন না!
চলতি বছরে বাংলাদেশের সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সময়ে দুইমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্যার্তদের পাশে থেকেছেন তাসরিফ খান। সর্বক্ষণ ছুটে বেড়িয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। নিজ জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
বন্যা পরবর্তি সময়েও সর্বস্ব হারানোদের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য তৈরি করে দিয়েছেন অসংখ্য ঘর। মুখোমুখি হয়েছেন নানা বাধা ও প্রতিকূলতার। বেঁচে ফিরেছেন ডাকাতদলের হাত থেকে।
দীর্ঘ এই কঠিন সময়ে তৈরি হয়েছে নানা হৃদয়বিদারক ও মানবিক গল্পের। সৃষ্টি হয়েছে ভালোবাসার এক অনন্য নজির।
এ সবকিছুর গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে তাসরিফ খানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বাইশের বন্যা’। যা প্রি-অর্ডার শুরুর মাত্র ২ দিনের মধ্যেই রকমারির প্রি-অর্ডারের ইতিহাসের সকল রেকর্ড চূর্ণ-বিচূর্ণ করে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?