বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার – মোস্তফা কামাল গাজী

  • বইয়ের নামঃ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার 
  • লেখকঃ মোস্তফা কামাল গাজী
  • ধরণঃ ঐতিহাসিক গবেষণা 
  • প্রকাশনীঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন 

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার ‘ লেখক মোস্তফা কামাল গাজীর একটি তথ্যভিত্তিক, প্রামাণিক ও ইতিহাসভিত্তিক বই। ৬৫০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৩৭০ বছরে বাংলাদেশে নির্মিত শতাধিক মসজিদের ইতিহাসকে গল্পাকারে তুলে আনা হয়েছে বইটিতে। বইটির চমৎকার প্রচ্ছদটি করেছেন সানজিদা স্বর্ণা।

বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আর মসজিদ মুসলমানদের প্রার্থনার বিশেষ স্থান। দেশে প্রায় আড়াই লাখের মতো মসজিদ রয়েছে শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা এসব মসজিদের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক মসজিদ গুলো তুলে আনা হয়েছে বইটিতে। জানা-অজানা, রহস্যময়, নান্দনিক, ছোট-বড় বিভিন্ন মসজিদের  তথ্য গল্পাকারে উঠে এসেছে বইয়ের পাতায়।
একজন ইতিহাস পিপাসু পাঠকের জন্য এই বইটা হতে পারে বিশাল আয়োজন। দীর্ঘকাল ধরে হয়ে আসা আলোচনা ষাট গম্বুজ মসজিদে মূলত কয়টি গম্বুজ আছে, এর নাম কেন ষাট গম্বুজ রাখা হলো এমন বহু মসজিদকে ঘিরে থাকা প্রশ্নোত্তর  সবই খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন লেখক মোস্তফা কামাল গাজী। আছে বাংলাদেশে নির্মিত  বিশ্বের দ্বিতীয় উঁচু মিনারের  মসজিদের কথা। সাতগাছিয়ার গায়েবানা মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, এক ডিমের গম্বুজ মসজিদ, তারা মসজিদ সহ আরোও ঐতিহাসিক  সব মসজিদের গল্প, ইতিহাস।
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু করে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মিত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ মসজিদ পর্যন্ত ১২২ টি মসজিদের জানা অজানা গল্প অত্যন্ত সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন লেখক মোস্তফা কামাল গাজী।
মুগ্ধতার মলাটে যেন এক বিশাল সৃষ্টি লেখক মোস্তফা কামাল গাজীর ‘ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার ‘। বাংলাদেশের প্রতিটা বই পিপাসুর ঘরে ঘরে এই বইটা রাখা খুবই জরুরি। আমাদের বাঙালি মুসলমানদের ধর্মীয় এই ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
কিংবদন্তী পাবলিকেশনের  বই মানেই উঁচু মানের প্রডাকশন । বাইন্ডিং, প্রচ্ছদ, কভার, পৃষ্ঠা সব কিছুই এক কথায় চমৎকার। একজন পাঠকের জন্য এমন বই সংগ্রহে থাকা খুবই আনন্দের।
লেখা :- সাজ্জাদ হোসেন
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?