বই সেলফ কনফিডেন্স লেখক ইসমাইল কামদার | Self-confidence By Ismail Kamdar Books | Review & PDF Short

বই: সেলফ কনফিডেন্স

লেখক: ইসমাইল কামদার
প্রকাশনী: সিয়ান পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য: ২৫০৳
আমাদের মূল্যঃ ১৭৫৳

বই সেলফ কনফিডেন্স লেখক ইসমাইল কামদার | Self-confidence By Ismail Kamdar Books | Review & PDF Short. বই সেলফ কনফিডেন্স এর সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ুন
কভার ছবি : সেলফ কনফিডেন্স
লেখক: ইসমাইল কামদার

ইসলামের দৃষ্টিতে সেলফ কনফিডেন্স কী, কীভাবে একজন মুমিন তার কনফিডেন্স বৃদ্ধি করতে পারে, সেলফ কনফিডেন্সের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকগুলো কী কী এবং কীভাবে এসব কাটিয়ে উঠা যায়—ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকার একটি বই সেলফ কনফিডেন্স। লোকমুখে প্রচলিত সেলফ কনফিডেন্স এবং ইসলামিক সেলফ কনফিডেন্সের মাঝে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, ‘আমরা নিজেরাই নিজেদের চালানোর জন্য যথেষ্ট’—এ ধরনের ভাবনা আমরা লালন করি না। বরং আমরা আল্লাহর দাস। তাই নিজেদের যোগ্যতার ওপর আমাদের যে বিশ্বাসটুকু আছে, সেটা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর ওপর আমাদের বিশ্বাস থেকে আসে। আমরা এই বিশ্বাসটুকু পাই তিনি আমাদের যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, তা থেকে এবং তাঁর করা ওয়াদা থেকে। এ ক্ষেত্রে সেলফ কনফিডেন্স বইটি দারুন ভূমিকা পালন করবে ইনশা আল্লাহ্‌।
  Get Your Favourite Book Here

সেলফ কনফিডেন্স’ বইটি আপনাকে শেখাবে, কীভাবে :
☞ দক্ষতা ও প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে হয়
☞ মানুষের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হয়
☞ সন্দেহ, সমালোচনা ও নেতিবাচক জিনিষ ডিল করতে হয়
☞ ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ ভাবনাকে তাড়াতে হয়
☞ আত্মনির্ভরশীল ও আস্থাবান হতে হয়
☞ আত্মবিশ্বাসের সাথে স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে হয়
☞ নিজের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে হয়
☞ নিজের ও অন্যের ভুলত্রুটিসহ মানুষ হিসেবে উন্নতি করা যায়

সেলফ কনফিডেন্স লেখক: ইসমাইল কামদার বই রিভিউ

আমরা মুসলিম। মুসলিম হিসেবে আমরা কিছু মৌলিক বিশ্বাস এবং আদর্শ ধারণ করি। আমাদের এই বিশ্বাস মোতাবেকই আমরা আমাদের জীবন পরিচালনা করি। তাই আত্মবিশ্বাস অর্জনের যেসব পদ্ধতি আছে, তার চেয়ে আমাদের অনুসৃত পদ্ধতি ভিন্ন হবে। আমরা তা নিরূপণ ও অনুসরণ করব আমাদের আদর্শের আলোকে।
সেক্যুলার চিন্তাবিদরা মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্তিত্বশীল সত্তা মনে করেন। মানুষের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করাটাকেই তারা জীবনের মূল উদ্দেশ্য মনে করেন। অন্যদিকে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করলে আমরা কেবলই আল্লাহর দাস। তাঁর দেওয়া বিধান অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করাটাই হলো আমাদের জীবনের আসল উদ্দেশ্য।
জীবন সম্পর্কে আমাদের এই ধারণা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও প্রভাব ফেলে। ‘আমরা নিজেরাই নিজেদের চালানোর জন্য যথেষ্ট’—এ ধরনের ভাবনা আমরা লালন করি না। বরং আমরা আল্লাহর দাস। তাই নিজেদের যোগ্যতার ওপর আমাদের যে বিশ্বাসটুকু আছে, সেটা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর ওপর আমাদের বিশ্বাস থেকে আসে। আমরা এই বিশ্বাসটুকু পাই তিনি আমাদের যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, তা থেকে এবং তাঁর করা ওয়াদা থেকে।
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে আত্মবিশ্বাস থাকাটা আরো বেশি শক্তিশালী ব্যাপার মনে হয়। কারণ, এক্ষেত্রে আমরা শুধু আমাদের নিজস্ব ক্ষমতার ওপর নির্ভর করছি না। আমাদের আত্মবিশ্বাসের শক্তিকে আরো বেশি বলীয়ান করছে আল্লাহর ওয়াদা। তিনি ওয়াদা করেছেন আমরা কল্পনাও করতে পারব না, এমনসব উপায়ে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। তাই আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে গিয়ে এমন অলৌকিক কিছুও ঘটতে পারে, যা অন্য কারো ক্ষেত্রে হয়তো হবে না।

Islamic book review New

  1. অল্প আমল বেশি সাওয়াব , আলী আহমাদ মাবরুর । Olpo Amol Beshi Showab by Ali Ahmad Mabrur.
  2. আমি ও আমার রব : উস্তাদ নোমান আলী খান | ami o amar rob by Noman Ali Khan
  3. উমরের সাথে যখন দেখা হলো লেখক : ড. আদহাম আশ শারকাবি | বই পরিচিতি | omorer shathe jokhon dekha holo
  4. কাজের মাঝে রবের খোঁজে : আফিফা আবেদীন সাওদা | Kajer Majhe Rober Khoje
  5. কারবালা : বাস্তবতা বনাম কল্পকথা – লেখক ফরিদ আল বাহরাইনি | Karbala : Bastobota Bonam Kolpokotha By Forid Al Bahraini – New!
ইসমাইল কামদার পার্সোনাল ডেভলাপমেন্ট বিষয়ের একজন এক্সপার্ট বলা চলে। টাইম ম্যানেজমেন্ট, সেলফ কনফিডেন্স, প্রোডাক্টিভিটি লেসনস অব উমার টু—এরকম বহু চমৎকার কাজ আছে তার। এই বইগুলো অনেকটা এমন যে, আপনি পড়া শেষে বইয়ের লেখাগুলো এখনই কাজে লাগাতে পারবেন। যেমন টাইম ম্যানেজমেন্টের S.M.A.R.T ফর্মুলা অথবা আর্জেন্ট-ইম্পরট্যান্ট ম্যাট্রিক্স। সময় জিনিসটা একইসাথে বিমূর্ত আবার দৃশ্যমান। আমরা সময়কে বয়ে যেতে দেখি না; কিন্তু সময়ের পরিবর্তন ঘড়ির কাঁটায় দৃশ্যমান হতে দেখি। তাই টাইম ‘ম্যানেজ’ করার জন্য আমরা কিছু টুলস পাচ্ছি। যেমন: আমাদের প্রতিদিনকার কাজ, রুটিন, ডেডলাইন। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট অনেকটা ‘পয়সা উসুল’ টাইপ বই মনে হবে। মানে শিখলাম, কাজে লাগালাম আর ফলাফল পেলাম। যেমন: বড় কোনো কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে করা। আপনাকে ৩০০ পৃষ্ঠার একটা বই লিখতে হবে; কিন্তু কীভাবে টাইম প্ল্যানিং করবেন বুঝতে পারছেন না। প্রথমে S.M.A.R.T ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করবেন। প্রতিদিন ৫ পৃষ্ঠা করে ২ মাসে শেষ করার প্ল্যান করবেন।

সেলফ কনফিডেন্স ভিন্ন ধাঁচের বই। সেলফ কনফিডেন্স পড়ে সাথে সাথে সেলফ কনফিডেন্স কেমন বেড়েছে—এটা চেক করার তাৎক্ষণিক কোনো টুলস নেই। এটা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। হয়তো ধীরে ধীরে পরিবর্তনটা হবে। বইটা পড়ার পরের দিন হয়তো আপনার সেলফ কনফিডেন্স চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল; কিন্তু তৎক্ষণাৎ বইয়ে পড়া কোনো ট্রিক খাটিয়ে আপনি সেটা ট্যাকল করতে পারলেন না। এর মানে কিন্তু এই না যে বই পড়ে কোনো লাভ হলো না।

সেলফ কনফিডেন্স আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এটা কি বাড়ছে না কমছে, এটা কি কনফিডেন্স নাকি অহংকার—বোঝার মতো কোনো ঘড়ি আমাদের কাছে নেই। আপনার সমস্যার দিকটা বইয়ের সাথে মেলাতে হবে। আপনার গোটা জীবনকে বইয়ের পাশে রাখতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে একদিন পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এ পরিবর্তনের পেছনে বইয়ের কোনো একটা লাইন আপনাকে ইন্সপায়ার করতে পারে অথবা পুরো বইটাই সামগ্রিকভাবে। ঠিক কোন পেজ বা কোন প্যারা সেটা আপনি বুঝতে পারবেন না; কিন্তু একটা প্রভাব পড়বে।

Kazi Abul Kalam Siddiq New Books Review

বাঙালি আর মুসলিম হিসেবে এমনিতেই আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতা কাজ করে। তাই ঠিকমতো কনফিডেন্ট হয়ে উঠতে পারি না আমরা। হয় উদ্ধত হয়ে পড়ি নয়তো ভ্যাবলা। সেলফ কনফিডেন্স বইটা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হবার মানচিত্রটা বুঝিয়ে দেবে।

ইসমাইল কামদারের বইগুলো ইউটিউবের ক্লিকবেইট থাম্বনেলের মতো না, যেখানে বলা থাকবে—এটা করলে, ওটা খেলে আপনি একদিনেই হয়ে উঠবেন আত্মবিশ্বাসী; বরং সেলফ কনফিডেন্স ডেভলাপ করা একটা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। সারাজীবন এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর ইসমাইল কামদারের বই আপনাকে সে যাত্রায় পথ দেখাবে।

লিখেছেন 💕 মুহাম্মাদ ইফাত মান্নান
অনুবাদক, ‘সেলফ কনফিডেন্স’ ও ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’

সেলফ কনফিডেন্স থেকে কিছু কোটেশন

১. “একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি নিজের সাথে অন্যের তুলনা করার প্রয়োজনই দেখেন না। তার দৃষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আর নিজেকে আরো ভালো করার দিকেই নিবন্ধ।”
[বই-সেলফ কনফিডেন্স,পৃষ্ঠা-১৮]
২. “বিনয় মানে নিজের হৃদয়কে সংকীর্ণতা এবং অন্যকে মাপার বাসনা থেকে মুক্ত করা।” 
[বই- সেলফ কনফিডেন্স,পৃষ্ঠা-১৯]
৩. “আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে যে স্পষ্ট ধারণা রাখে, সে ব্যর্থতাকে ভয় করে না।”
[বই- সেলফ কনফিডেন্স,পৃষ্ঠা-৩৫]
৪. “এই পৃথিবীর সবকিছুই আসলে পরীক্ষা। ভালোর মধ্যে যেমন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাটা পরীক্ষা, কাঠিন্যের ভেতরেও আছে সবরের পরীক্ষা।”
[বই- সেলফ কনফিডেন্স,পৃষ্ঠা-৪৮]
৫. “একটি দিনে আমরা সবাই একই পরিমাণ সময় পাই। কেউ কম বা বেশি না। কাজেই জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোর জন্য সময়কে গাল-মন্দ করা নিরর্থক।”
[বই- টাইম ম্যানেজমেন্ট,পৃষ্ঠা-২৫]
৬. “আমাদের সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা, সব মুসলিমই তাত্ত্বিকভাবে এটা মানে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা সৃষ্টির এ উদ্দেশ্যেকে বাস্তবিকভাবে মেনে চলতে পারছি না।”
[বই- টাইম ম্যানেজমেন্ট,পৃষ্ঠা-২৭]
৭. “যে লক্ষ্যই ঠিক করুন না কেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। কিন্তু এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে।”
[বই- টাইম ম্যানেজমেন্ট,পৃষ্ঠা- ২৯ ]
৮. “ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতকে এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যেন একজন মুসলিম দৈনন্দিন সব কাজ কর্ম আল্লাহর ইবাদতকে কেন্দ্র করে বিন্যস্ত করে।”
[বই- সভ্যতার সংকট,পৃষ্ঠা-৯৫ ]
৯. “কৃতজ্ঞতাবোধ একজন মুসলিমের জীবনে চমৎকার এক ভারসাম্য এনে দেয়। এটি মানুষের মনে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধের জন্ম দেয়। কেননা সে মনে করে, ভালো যা কিছুরই সে অধিকারী হোক না কেন, তা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ। অপরদিকে, অকৃতজ্ঞতা মানুষকে ঠেলে দেয় অসৎ পথ, দুর্নীতি ও সীমালঙ্ঘনের দিকে। যখন মানুষ তার অর্জনের পেছনে আল্লাহর দয়ার কথা ভুলে যায় তখন সে ভাবে যে, সে নিজ ক্ষমতাবলেই তার কল্যাণ সাধন করেছে। তখন সে তার খেয়াল-খুশিমত সম্পদ ব্যয় করে এবং অপচয় করে।”
[বই- সভ্যতার সংকট,পৃষ্ঠা-১৫১]
১০. “মহান আল্লাহর করুণা মোটেই মানুষের মতো আবেগ-নির্ভর বা অযৌক্তিক নয়, বরং তা মানুষের বিশুদ্ধ ঈমান এবং সৎকর্মের উপর নির্ভর করে।”
[বই-সভ্যতার সংকট,পৃষ্ঠা-১৬০ ]

মতামত

টাইম ম্যানেজমেন্ট পড়ার আগে আমি ভাবতাম বই পড়ে সফট স্কিল শেখা যায় না। এগুলোর জন্য ট্রেনিং লাগে, মেন্টর লাগে। একই ভাবনা ছিল সেলফ কনফিডেন্স নিয়ে। এই বই দুটোর অনুবাদ করার আগে আপনাদের মত আমিও এ‌ দুটো বইয়ের ইংলিশ ভার্সনের সাধারণ পাঠক ছিলাম। 
আজকাল যে ইকিগাই, সেভেন হ্যাবিটস অফ হাইলি ইফেক্টিভ পিপল, মিরাকল মর্নিং এর মত বিখ্যাত সব বইয়ের নাম আমরা শুনি এগুলো সব কিন্তু টাইম ম্যানেজমেন্ট জনরার বই। এবং বইয়ের জগতে এখন পুরো পৃথিবীজুড়ে এ জনরাটাই বিখ্যাত। আগে যেখানে এ জনরার ক্ষেত্রে শুধু ডেল কার্নেগির নাম শুনতাম এখন সেখানে বহু বিখ্যাত লেখক আছে।
ইসমাইল কামদার যে কত বিশাল এক কাজ করেছেন‌ এই জনরায় লেখালেখি করে তা বলার বাইরে। বলা‌‌ যায় মুসলিম উম্মাহকে তিনি এ পথটা চিনিয়ে দিয়েছেন। মুহাম্মাদ ফারিস ও অবশ্য এ‌ জনরারই।
ছবি : ইসমাইল কায়দার – লেখক ও অনুবাদক

আপনারা ইসমাইল কামদারের বই দুটো হয়তো পড়েছেন কিন্তু অনেকে তাকে দেখেন‌ নাই। তাদের জন্য ছবিটা –

ইসলামে গ্রন্থস্বত্ত্বের বিধান

গ্রন্থস্বত্ত্ব ইসলামি শারী’আহ কর্তৃক সংরক্ষিত একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। ইসলাম প্রত্যেক লেখকের রচিত সকল রচনাকে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বলে ঘোষণা করেছে এবং এতদসংশ্লিষ্ট সার্বিক অধিকারও তার জন্য সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি কেউ যেন গ্রন্থস্বত্ব আইন লঙ্ঘন করে তার সে অধিকার হরণ কিংবা রহিত করতে না পারে, সে নিশ্চয়তাও বিধান করেছে। ইসলামি শারী’আতের সকল দলিল-প্রমাণ ও মূলনীতি সে প্রমাণই বহন করছে।
গ্রন্থ-রচনা গ্রন্থকারের নিজেরই বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রমের ফসল ও অর্জন। এ অর্জন একা ওভাবে তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ কোনোভাবেই তাঁর এ সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ বলেছেন,
কোনো মুসলিম ব্যক্তির সম্পদ সে নিজে খুশিমনে প্রদান না করলে কারো জন্য কোনোভাবেই তা হালাল হবে না। (সাহীহ আল-জমি’ আস-সাগীর, হাদীস নং ৭৬৬২)
অতএব, গ্রন্থকারের অনুমতি ছাড়া তার রচিত গ্রন্থ হতে আংশিক বা পূর্ণ কপি করা, ছাপানো এবং তা বেচাকেনা করা ইসলামি শারী’আতে নিষিদ্ধ ও হারাম; কেননা তা অন্যায় উপার্জন ও ভক্ষণের শামিল। আল্লাহ বলেন,
“…তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।” ( সূরাহ আল-বাকারাহ, ২:১৮৮)
অধিকন্তু এটা শারী‘আতের সীমালঙ্ঘন বলে গণ্য হবে বিধায় শারী’আতের নিষিদ্ধ কাজেরই অন্তর্ভূক্ত হবে। আল্লাহ বলেন,
….তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না; কেননা আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।” (সূরাহ আল-মা’ইদাহ, ৫:৮৭)

সেলফ কনফিডেন্স লেখক ইসমাইল কামদার বইটি PDF Short দেখতে অথবা বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?