বই: গল্পে আঁকা মহীয়সী খাদিজা (রাযি)
ইয়াহিয়া ইউসুফ নদভী, প্রকাশনী: রাহনুমা
আজ সমাজে আশঙ্কাজনকভাবে ডিভোর্সের হার বেড়েছে। নৈতিকতা আজ জিরো লেভেলে! কিন্তু কেনো? কারণ আমরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য যতটা মরিয়া, ঠিক ততটাই দায়িত্বের ব্যাপারে উদাসীন । আমরা শুধু অধিকারের কথা বলি আর কর্তব্যকে এড়িয়ে চলি। অথচ খাদিজার (রাযিঃ) জীবনী পড়লে আমরা জানতে পারি উনি দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ব্যাপারে কতটা সচেতন ছিলেন ! প্রতিটি বিপদের মুহূর্তে নবীজীকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন , কি অপার ধৈর্য নিয়ে নবীজির পাশে ছিলেন ঢাল স্বরূপ !
কখনো কি এমনটি হয়েছে আপনার?
– একবার বই পড়ে শেষ করবার সাথে সাথেই আরেকবার পড়ার জন্য মন ছটফট করেছে?
– ২য়বার পড়েছেন এই ভেবে যে বইটা আপনাকে আলোকিত করবে, শিখবেন অনেক কিছু?
– বই পড়ছেন আর অনুভব করছেন একটা অন্যরকম মুগ্ধতা?
– বই পড়ছেন আর নীরবে কাঁদছেন এবং এই কান্না বইয়ের শেষ অবধি ছিলো?
– বই পড়ছেন আর গায়ের লোম এই ভেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো যে, কিভাবে সম্ভব একটা মানুষের পক্ষ্যে এত্তটা ধৈর্যশীল, এতোটা পরোপকারী, সৎ হওয়া !
– বই পড়ছেন আর বইয়ের প্রতিটি লাইন আপনাকে শিহরিত করছে?
– বই পড়ছেন আর বইয়ের প্রতিটি লাইন থেকে ইন্সপায়ার্ড হচ্ছেন?
– বই পড়ছেন আর দায়িত্ববোধ বাড়ছে আপনার ভালোবাসার মানুষের প্রতি?
– বই পড়ছেন আর নবীর প্রতি আপনার ভালোবাসা, আবেগ জ্যামিতিক হারে বাড়ছে?
– বই পড়ছেন আর ভাবছেন, হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকলেই মানুষ অহংকারী না হয়ে এতটা সহজ সরল হয় কিভাবে?
– বই পড়ছেন আর ভাবছেন কিভাবে একজন মানুষ তার স্বামীকে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে আগলিয়ে রাখতে পারে বেষ্টনীর মতো?
খাদিজা(রাযিঃ) ছিলেন আরবের অত্যন্ত সৎ, দয়ালু এবং ধনী ব্যবসায়ী। ২০ বছর বয়সেই দু-দুবার তিনি বিধবা হন। পণ করলেন জীবনে আর কখনো বিয়ে করবেন না, সন্তানদের মুখ চেয়েই কাটিয়ে দিবেন বাকিটা জীবন । কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন।
একদিন খাদিজা(রাযিঃ) একটা আশ্চর্য স্বপ্ন দেখলেন। অভাবনীয় স্বপ্ন । ঘুমের মধ্যে খাদিজা(রাযিঃ) দেখলেন ” আকাশটা অপূর্ব ঝলমলে রক্তাক্ত লালিমা ছড়িয়ে সূর্য উদিত হয়েছে। খাদিজা (রাযিঃ) অবাক বিস্ময়ে দেখলেন, একটু আগে উদয় হওয়া সূর্য ধীরে ধীরে আকাশ থেকে নেমে আসছে। তারপর আস্তে আস্তে সেই মিষ্টি দীপ্তিময় সূর্যটা তার গৃহে এসে ঢুকে পড়ল। তারপর গৃহ থেকে বের হয়ে আশপাশ, মক্কা নগরী, তারপর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। “
স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে খাদিজা (রাযিঃ) চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নফল এর কাছে গেলেন। ওয়ারাকা শুনে চিৎকার করে উঠলেন। খাদিজাকে বললেন ” অনেক মুবারক খাব , তোমার বিয়ে হতে যাচ্ছে।” ওয়ারাকার এমন অদ্ভুত কথা শুনে খাদিজা যেন আকাশ থেকে পড়লেন। ওয়ারাকাকে বললেন ” তুমি আমার সাথে ঠাট্টা করছো? তুমি তো ভালো করেই জানো বিয়ে-শাদীতে আমার একদমই ইচ্ছা নেই। মনে হয় তুমি ভুল বুঝছো। তুমি আরেকটু সময় নাও তারপর আমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলো। “
ওয়ারাকা আবার বললেন “খাদিজা আমি বলছি তোমার বিয়ে হবে, হবেই । আমি কোনো ঠাট্টা করছি না। তোমার বিয়ে হবে সেই সূর্যের সাথে। যে সূর্য অন্ধকার দূর করে পৃথিবীকে আলোয় আলোয় ভরে দেবে। বিভ্রান্ত ও দিশেহারা মানুষকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করবে। তুমি এমন একজন মানুষকে বিয়ে করবে যে কোন সাধারন মানুষ নন । আরও পরিষ্কার করে বলবো? তোমার ভবিষ্যৎ স্বামী হবেন একজন নবী। ”
খাদিজা ভাবতে লাগলেন, কে এই সূর্য যার সাথে আমার বিয়ে হবে? আল্লাহ খাদিজার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিলেন, বয়স যখন চল্লিশ, নবীজির সাথে তার বিয়ে হলো।
নবুয়তের প্রথম দিকের কথা, আল্লাহর রাসূলের কাছে সূরা আলাকের [৯৬] কিছু আয়াত নাজিল হলো ।
“পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্ত থেকে । পড় তোমার রব খুব দয়ালু। মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন কলমের সাহায্যে। মানুষকে জানিয়েছেন সে কথা যা সে জানত না।”
হঠাৎ জিবরীল এর আগমনে নবীজি ভীষণ ভয় পেলেন, ভীষণ ভয়। উনি কাঁপতে লাগলেন। বাড়িতে এসে খাদিজাকে বললেন আমাকে চাদর দিয়ে আবৃত করে দাও। খাদিজা অভয় দিয়ে বললেন, “আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আল্লার কসম, আল্লাহ আপনাকে অসম্মানিত করবেন না, কিছুতেই না। আল্লাহ আপনাকে অপদস্থ করতে পারেন না। আপনি তো এমন একজন, যিনি আত্মীয়দের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখেন। বিপদ্গ্রস্থকে সাহায্য করেন। আপনি তো শ্রেষ্ঠ অতিথিবৎসল। যেখানে সত্য সেখানে আপনি। সুতরাং আপনার কোন বিপদ হতে পারে না। আপনি যা কিছু দেখেছেন ভালই দেখেছেন। “
তারপর নবীজির কাছে সূরা-মুদাসসির [৭৪] এর কিছু আয়াত নাজিল হলো। আল্লাহ তাকে দ্রুত ধর্ম প্রচার করতে বলেছেন। আল্লাহ বলেছেন
” হে চাদরাবৃত উঠে পড়ুন এবং মানুষকে সতর্ক করুন। আপন প্রতিপালকের মহাত্ম ঘোষণা করুন। নিজের পরিধেয় বস্ত্র পবিত্র করুন। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকুন। বেশি পাওয়ার আশায় কাউকে কিছু দেবেন না। আপন প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য সবর করুন।”
নবীজি খাদিজাকে বললেন, “হে খাদিজা, আমার সম্প্রদায় কি গোমরাহী থেকে ফিরে আসবে? জুলুম-নিপীড়ন কি ওরা ছাড়তে পারবে? খাদিজা! আমার তো মনে হচ্ছে ওরা মাকে মানবে না, আমাদের কথা শুনবে না, উল্টো রুখে দাঁড়াবে। জানিনা, কোথায় গিয়ে ঠেকবে আমাদের জিহাদ সংগ্রাম!”
আবারো খাদিজা তাকে অভয় দিয়ে বললেন:
” ওয়ালী রব্বিকা ফাসবির! আপনার রব আপনাকে যা আদেশ করেছেন তা নির্ভয়ে পালন করে যান। সেই বুক থেকে বাতিলকে বের করা তো একটু শক্ত হবেই, যে বুকের বাতিল ছড়িয়ে দিয়েছে শাখা-প্রশাখা, বিছিয়েছে শক্ত শিকড়! আপনার রবের কসম!, যিনি আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন, তিনি আপনার সাথে থাকবেন , থাকবেন ই। সব সময় আপনাকে সাহায্য করবেন। “
তারপর খাদিজা উচ্চকণ্ঠে আনন্দ প্লাবিত হয়ে ঘোষণা করলেন: “হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনাকে মানলাম, আপনাকে রসূল হিসেবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করলাম। আশহাদু আন্নাকা রসূলুল্লাহ । আমি আপনাকে সব দিয়ে দিলাম। আল্লাহ জন্য আমার সম্পদ ও প্রাচুর্য দিয়ে দিলাম। সব আপনার হাতে তুলে দিলাম। সত্যের পথে এসব যেভাবে চান সেভাবে খরচ করুন। অকাতরে বিলিয়ে দিন। আমার এখন কিছুই নেই, শুধু আপনি আমার! আমার সবকিছু আপনার !”
খাদিজার এই বিরচিত মহা ঘোষণায় আল্লাহর-রসুলের চেহারা খুশিতে ঝলমল করে উঠল!
আল্লাহর রাসূল দাওয়াত এর কাছে বেরিয়ে পড়লেন। এদিকে খাদিজা আর বসে থাকতে পারলেন না শুরু করে দিলেন দাওয়াতের কাজ। প্রথমেই একত্রিত করলেন প্রিয় সখি বান্ধবী ও সহচরীদের বিশ্বস্ত দাসীদের। উনাদের শুনালেন প্রিয় স্বামীর নবী হওয়ার সুসংবাদ। সবাই বিমুগ্ধ চিত্তে উৎকর্ণ হয়ে শুনলো সুসংবাদ । তারপর আপন গৃহে ফিরে গিয়ে বললো স্বামীদের আত্মীয়দের পরিচিতদের। এভাবে দ্রুত এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ল মক্কায়। মুখে মুখে আলোচিত হতে লাগলো। অনেকেই বিশ্বাস করল না বরং ঠান্ডা বিদ্রুপের হাসি হাসলো।
মাঝখানে কিছুদিন ওহী এলো না। রাসুলের দুশ্চিন্তাও কাটল না। কিন্তু খাদিজা ছিলেন গভীর আস্থাশীল! তিনিই রাসেলের পাশে দাঁড়ালেন, কখনো দিচ্ছেন সান্তনা , কখনো শোনাচ্ছেন অভয়বাণী। রাসুলের দুশ্চিন্তার মাত্রা যখন একটু বেড়ে যেত তখন বলতেন
” হে আল্লাহর রাসূল, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কি আছে! সংকটের পাশেই তো সমাধান! কঠিনের আড়ালেই তো সহজ! নিশ্চয়ই এ বিরতির মাঝে লুকিয়ে আছে কোন হিকমত ও রহস্য! ”
সান্তনার পাশাপাশি খাদিজা আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন যেন তড়িৎ দুশ্চিন্তা কেটে যায়।
হঠাৎ খাদিজা লক্ষ্য করলেন প্রিয় নবীর শরীরটা কেঁপে কেঁপে উঠছে । কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে। নবীজির দিকে গভীর মমতায় উৎকণ্ঠাভরে তাকিয়ে রইলেন।
নবীজি মৃদু হেসে এইমাত্র নাযিল হওয়া ওহী [সূরা দুহা : ৯৩] খাদিজাকে শুনাতে লাগলেন।
আল্লাহ বলেছেন, ” শপথ পূর্বাহ্নের। শপথ রাত্রির যখন তা নিঝুম হয়। তোমার রব তোমাকে ত্যাগ করেননি। তোমার প্রতি বিরূপ হননি। নিশ্চয়ই পরকাল তোমার জন্য ইহকাল থেকে উত্তম। তোমার পালনকর্তা সত্বরই তোমাকে দান করবেন , তখন তুমি হবে সন্তুষ্ট। তিনি কি পাননি তোমাকে এতিমরুপে? তখন দিয়েছেন আশ্রয়। তিনি পেয়েছেন তোমাকে পথহারা। তখন দেখিয়েছেন পথ। তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব অসহায়। দূর করেছেন তোমার অভাব। সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। আর যে সওয়াল করে, ভিক্ষা চায় তাকে ধমক দিও না। প্রকাশ করে যাও তোমার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা। “
খাদিজার মনে আনন্দ আর ধরে না। নবীজির মুখের হাসি তার মুখের হাসিকে আলোকিত করলো। খাদিজা মিস্টি করে হাসলেন, এ সূরায় তো আছে তার প্রতি ইশারাও! তিনি প্রিয় আল-আমিন এর পাশে দাঁড়িয়েছেন, আল্লাহ তা পছন্দ করেছেন। এটিকে নেয়ামত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আল আমীনের জন্য, খাদিজার জন্য!
প্রতিটি মুসলমানের নিচের প্রশ্ন গুলো একবার হলেও মনের মধ্যে উঁকি দিয়েছে জীবনের কোন একটা সময়ে।
– নবীজির প্রথম স্ত্রী কে?
– প্রথম মুসলমান কে?
– প্রথম ওযু শিখেছেন কে?
– নবীজির সাথে প্রথম নামাজ পড়েছেন কে?
– সর্বপ্রথম কে নবীজির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন?
– কে সবার আগে তার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন?
– কাফির-মুশরিকদের ঠাট্টা বিদ্রুপের ঝড় কে মোকাবিলা করেছিলেন প্রথমে?
– নবীজি ছিলেন অভাবী , প্রথম কে তার অভাব দূর করিয়েছেন?
– নবীজি যখন বিপদ গ্রস্থ কে প্রথম তাকে সান্ত্বনার বাণী দিয়েছেন?
… সবগুলো উত্তরই খাদিজা (রাযী:), আলহামদুলিল্লাহ।
খাদিজার বয়স যখন ৬৫, আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করলেন, চিরবিদায় নিলেন নবীজির জীবন থেকে।
এর অনেক দিন পর আল্লাহর রাসূল সাওদা বিনতে যামআকে বিয়ে করলেন। কিন্তু তিনিও আল্লাহর রাসূলের মন থেকে খাদিজার স্মৃতি ভুলিয়ে দিতে পারলেন না। আল্লাহর রাসূল সবসময় খাদিজাকে স্মরণ করতেন
– তার ত্যাগ ও কুরবানী কে
– তার সান্ত্বনা ও মিষ্টি হাসি কে
– তার স্নেহ ভরা উক্তি ও কথামালাকে
– তার দরদ ভরা অপার দান ও আকাশ উদার সাহায্যকে।
আল্লাহ রাসুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খাদিজাকে স্মরণ করতেন, খাদিজার প্রশংসা করতেন। তার জন্য দু’আ করতেন। এজন্যে পরবর্তীতে তার স্ত্রী অভিমানভরে বলেছিলেন
” তিনি তো এক বুড়ি ই ছিলেন। আল্লাহ তো এখন আপনাকে তার বদলে আরও উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।”
আল্লাহর রাসূল একথায় প্রচন্ড অসুন্তুষ্ট হলেন। উচ্চ কণ্ঠে বললেন: ” না, আল্লাহর কসম না! তারচেয়ে ভালো কোনো স্ত্রী আল্লাহ আমাকে দান করেননি। যখন মানুষ আমাকে অস্বীকার করেছিল, তখন তিনি ঈমান এনেছিলেন। যখন মানুষ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল, তখন তিনি আমাকে সত্যায়ন করেছিলেন। যখন মানুষের কাছে আমি বঞ্চিত হচ্ছিলাম, তখন তিনি আমাকে সম্পদ সহযোগিতা জুগিয়েছিলেন। তার গর্ভে আমার সন্তান জন্মলাভ করেছে, অন্য কারো গর্ভে নয়!”
আমরা দেখতে পাই খাদিজা অসীম ধৈর্য নিয়ে নবীজির পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছিলেন। তাই আমাদের উচিত কুরআন এবং সিরাত পড়ার পাশাপাশি খাদিজা(রাযিঃ) সমন্ধে জানা ।
একটা বড় ধন্যবাদ অবশ্যই লেখকের প্রাপ্য। তিনি এত আবেগ দিয়ে বইটি লিখেছেন যে আপনাকে শুধু পড়তেই ইচ্ছা করবে, একবার নয় দুবার নয় শতবার। লেখকের সার্থকতা তো এখানেই , পাঠক তার বইটি বারবার
কোন আল্লাহর বান্দি যদি চায় তার জীবন রাঙিয়ে নিতে, আমি বলবো উনি যেন একটিবার হলেও খাদিজার জীবনী পড়ে নেয়।
ইসস… সব মেয়ে যদি খাদিজার মত হতো, তাহলে প্রতি ঘরে ঘরে একজন সাহাবা, তাবে-তাবেঈনদের মতো আল্লাহ্ ওয়ালা মানুষ জন্ম নিতো !
বুক রিভিউ – Hasan Hafiz
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?