Post ID 111421
বইয়ের নামঃ জীবনে যা দেখলাম (২য় খন্ড)
লেখকঃ অধ্যাপক গোলাম আযম
কামিয়াব প্রকাশন লিমিটেড
বইটি মূলত অধ্যাপক গোলাম আযমের জীবনী। দ্বিতীয় খন্ডে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ঘটনাবলী আলোচিত হয়েছে। এই খন্ডে তার পারিবারিক এবং রাজনৈতিক ঘটনাবলী সমানতালে এসেছে।
প্রথমেই তাদের পারিবারিক বৈঠকের প্রসঙ্গ এসেছে। তার প্রথম সন্তানের জন্ম সময়ে পিতা হিসেবে তার অনুভূতি এবং স্ত্রীর ভিন্নধর্মী আচরণের দিকটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। পাঠকদের অনুরোধে তার দাদী এবং মায়ের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। শেষের দিকে তার ভাই-বোন, সন্তান এবং নাতি নাতনীদেরও প্রসঙ্গ এসেছে। সেই সাথে তাদের সন্তানদের বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গও আলোচিত হয়েছে।
তাদের পরিবারের বিয়ের নীতি, নাম রাখার নীতি আলোচিত হয়েছে। কাজী হিসেবে দায়িত্ব পালন, গভর্নরের সাথে সম্পর্কের বর্ননা এসেছে।
তমদ্দুন মজলিসে তার কার্যক্রম উল্লেখ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের ঘটনা এ খন্ডেই উল্লিখিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তার মনের দ্বিধাদ্বন্দ এবং তার পিতার মনোমালিন্য ও তা থেকে উত্তরণের বর্ননা ফুটে উঠেছে।
ভাষা আন্দোলনের জন্য কারাবারণ, কলেজ থেকে চাকুরীচ্যুত হওয়া এবং তার মুক্তি এবং চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তার ছাত্রদের আন্দোলনের বর্ননা এসেছে৷ একই সাথে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচিত হয়েছে।
মাওলানা মওদূদীর সাথে তার সাক্ষাৎকারের বিবরণ এসেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্রের জন্য গনপরিষদ সদস্যদের লবী করার ঘটনা এসেছে এবং এই প্রসঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের বিবরণও এসেছে। মাওলানা মওদূদীর বাংলাদেশ সফর, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময়ে তার কার্যক্রমের বর্ননা এসেছে।
জামায়াতে ইসলামী থেকে ডঃ ইসরার আহমেদ এবং আমিন আহসান ইসলাহী পদত্যাগের বিষয়ও আলোচিত হয়েছে।
আইয়ুব খানের সামরিক শাসন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হট্টগোল, বাংলাদেশের দলগুলোর মূল্যায়ন, ধর্মনিরপেক্ষতার জোয়ার শুরু হওয়ার দিকগুলো উঠে এসেছে। যুক্ত নির্বাচন, আওয়ামী মুসলিমলীগের আদর্শচ্যুত অবস্থানও আলোচনা করেছেন।
তার দাদী শাশুড়ির সাথে তার স্ত্রীকে নিয়ে পান খাওয়ার মজার বর্ননা ফুটে উঠেছে। মাওলানা মওদূদীর পান খাওয়া নিয়ে রসিকতাগুলোও ফুটে উঠেছে, যা বইয়ের সবচেয়ে হাস্যরসাত্মক অংশ।
সর্বোপরি পাকিস্তান গঠনের আদর্শ থেকে দলগুলোর সরে যাওয়া এবং কুচক্রীদের হাতে দেশের অধঃপতনের সূচনার দিকও ফুটে উঠেছে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?