Post ID 111448
বইঃ হায়রোগ্লিফের দেশে
লেখকঃ অনির্বাণ ঘোষ
প্রকাশনীঃ বুকফার্ম
প্রচ্ছদঃ অনিকেত মিত্র
পৃষ্ঠাঃ ২৬৩
বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত সেই ” হায়রোগ্লিফের দেশে” বইটা পড়লাম। যতটুকু প্রশংসা বইটা নিয়ে শুনেছি, আমার মনে হয় বইটা আরও প্রশংসার দাবি রাখে।
ছোট একটা বই, যা কিনা একটা সময়কে তুলে এনে হাজির করেছেন আমাদের সামনে।
মিশর বলতে আমাদের সামনে আসে সাধারনত পিরামিড, ধূধূ বালি, উট এগুলো । আরও যদি একটু বুঝতে চাই তাহলে ফারাও, খুকুর পিরামিড, বিভিন্ন স্থাপত্য এসবের কথাই মনে আসে।
এগুলো অতি সামান্য, এর মধ্যে বিশাল রহস্য লুকিয়ে আছে যা লেখক অনির্বাণ ঘোষ একটু একটু করে বইটাতে তুলে ধরেছেন ভবেশ দার বয়ানে।
বইটা পড়ে বুঝেছি ইতিহাস আর মিশর নিয়ে আমার জানার পরিধি শূন্য। অসংখ্য প্রশ্ন থাকলেও তার ভুলভাল উত্তর জানা ছিলো এতো দিন।
বইটাতে সেই মিশরের অজানা সব তথ্য ও রহস্যের সমাধান পেয়েছি।
মিশরের পিরামিড, মমি নিয়ে যত সব অজানা কথা, ফারাওদের নিয়ে অজানা সব তথ্য, হোরাসের চোখ রহস্য, তুতানখামেন, আবু সিম্বেলের মন্দির, রামেসিস, নেফারতারির, হায়রোগ্লিফের ভাষা শেখা, আলেকজান্ডার, ক্লিওপেট্রা, লাইট হাউজ, তলাপাত্র।
এমন আরও অসংখ্য অজানা মজার কিছু জানা হলো এবং লেখক অনির্বাণ ঘোষ এর হাত ধরেই ঘুরে এলাম হায়রোগ্লিফের দেশে।
এ বই টার স্বাদ সহজে ভোলার নয়।
কিছু তথ্য এতো দিন ভুল জেনে এসেছি যা এই বই পড়ে সত্যি টা জানা হলো।
তার মাঝে আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরিতে আগুন লাগা, বাতিঘর ভেঙে পড়া। এছাড়া ক্লিওপেট্রা নিয়েও কিছুটা তথ্য বিভ্রান্তিতে ছিলাম, অবশেষে অনেক রহস্যের সমাধান দিলেন লেখক।
ভালো একটা বই পড়া মানে ভালো কিছু সময় কাটানো, আর সেই সময় টাতে যদি ঘুরে আসা যায় হাজার হাজার বছর আগের কোন এক সময় থেকে তাহলে মন্দ হয় না।
ইতিহাস ও মিশর যাদের অনেক পছন্দ তারা অবশ্যই বইটা পড়বেন। আর ইতিহাস ও মিশর যাদের মোটেই টানে না তারা অবশ্যই অবশ্যই বইটা পড়ে দেখবেন।
বইটাতে অনেক ছবিও আছে।
লেখকের এই বইয়ের পরে কোন বই আছে, কেউ কি জানেন?
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?