- বইঃ ফোরফিফটিটুবি
- লেখকঃ দীপু মাহমুদ
- প্রকাশনীঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন
- প্রকাশকঃ অঞ্জন হাসান পবন
- বিষয়ঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
- প্রচ্ছদঃ আইয়ুব আল আমিন
- প্রচ্ছদ মুল্যঃ ৩০০ টাকা
- প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২২
- রিভিউঃ এম এ রানা
রাইনসহ ২০ জন এলিয়েন পৃথিবীতে এসেছে। পৃথিবীর মানুষ সেই গ্রহের নাম দিয়েছে ফোরফিফটিটুবি। সেখানে তারা প্রকৌশল, পরিবেশ, জ্যোতির্বিদ্যা আর ভূ-বিদ্যায় এগিয়ে গেছে অনেকখানি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এগুতে পারেনি। বাংলাদেশে এসে তারা বিভিন্ন মেডিকেল আর ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। ফিরে গিয়ে নিজগ্রহে হাসপাতাল বানাবে। পড়াশোনা শেষ হয়েছে। নিজগ্রহে ফিরে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে। তখন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিশেষ রাডারে তাদের সিগন্যাল ধরা পড়ে গেল। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে নাসার লোকজন বাংলাদেশে এসেছে তাদের ধরতে।
👉কাহিনি সংক্ষেপঃ
মাঘ মাসের সকাল বেলা। ভার্সিটির শহিদ মিনারের ঢালে বসে আছে তৃষা।হঠাৎ রাইন এর আগমন।রাইন নিজের পরিচয় দিলো আগ বাড়িয়ে।তৃষা বিরক্ত আর আগ্রহ নিয়ে বলল,আপনি আমাকে চিনেন?রাইন উত্তর দিলো- না। কেউ কাউকে চিনে না,অথচ রাইন যখন তৃষার সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দিলো এক মুহুর্তে, তৃষা কিছুটা বিস্মিত হলো।
রাইন,রাতুল,আদনান,অমিয়,ইভান,সানি,তাহি, রিয়ানা,খলা,তাকিদ,আকিব,সাদ,জিহা,সুবা,কাঞ্চি ,তুহি, চঞ্চু,ইলাম এবং তৃষা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলো।সবাই একই মিডিকেল কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রী না।অথচ মিডিকেল কলেজ এর ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয় সবাই।তৃষা সবার সাথে পরিচিত হয়েছে রাইন এর মাধ্যমে।রাইন তার একমাত্র ভালো বন্ধু।
রাতুল,আদনান আর রাইন রুমমেট।ভালো বন্ধুও বটে।এববার তারা মোট ২৩ জন প্লান করেছিলো সুন্দরবন যাবে।গভীর জংগলে গাছের উপর মাচা বানিয়ে থেকেছে তারা।তৃষা আর রাইন আরো গভীর জংগলে যাবে।রাতুল আর আদনান তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বললো।রিয়ানা গান শুনাবে বলে তাদের আটকিয়ে দিলো।তৃষা গভীর জংগলে যাবে কারণ তার রাডারে কিছু সিগন্যাল পেয়েছে।তার ধারনা বাংলাদেশে অ্যালিয়েন এসেছে।গভীর জংগলে যাওয়ার পর তৃষার রাডার রাইন দুর্বল করে দেয়।সে ইচ্ছে করেই তৃষাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়,তৃষা সেটা বুঝতেই পারে নি।রাইন, তৃষার সাথে প্রথমেই যোগাযোগ করেছিলো এই জন্য যে, তৃষার রাডারে যে সিগন্যাল পাওয়া গেছে সেটা রাইয়ানদের যোগাযোগ সিগন্যাল ছিলো।
বাইরে খুব শীত পরেছে। কলেজের প্রভোস্ট রাইন, আদনান আর রাতুল কে রুম ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলছে কারন শর্ত অনুযায়ী পরিক্ষা শেষ হলেই হলরুম ছেড়ে দিতে হবে।হঠাৎ রাইন বললো বাড়ি যাবো।রাতুল আর আদনান অনেক দিন তার সাথে আছে অথচ কেউ জানে না রাইন এর বাড়ি কোথায়,রাইন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে মানা করেছিলো।
তারা এখন জিজ্ঞেস করলো রাইনের বাড়ি কোথায়, সে বললো অনেক দূর।রাতুল বলল, আরে যত দূরেই হোক। তুই এত অস্থির হচ্ছিস কেনো? বাড়ি থেকে কোনো খারাপ খবর এসেছে?
রাইন ছটফট করতে করতে বলল, আমাকে বেরুতে হবে। না হলে বড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আদনান গম্ভীর গলায় আবার জিজ্ঞেস করলো, তোর বাড়ি কোথায়? রাইন স্থির চোখে তাকিয়ে আছে আদনানের দিকে। আদনান বোঝার চেষ্টা করছে রাইন কী বলতে পারে। রাইন শীতল চোখে বলল, এখান থেকে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে। সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলে।রাতুল বিভ্রান্ত হয়েছে। সে রাইনের কথা বিশ্বাস করতে পারেনি। তার মনে হচ্ছে রাইন ঘোরের ভেতর এসব বলছে। সিজোফ্রেনিয়া পেশেন্টরা এমন করে হ্যালুসিনেশন হয় তাদের। অবাস্তব সব চিন্তাভাবনা করে।
রাতুল বললো, পৃথিবীর বাইরে কী আর কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব?
৩/৪দিন পর আদনান আর রাইন দাড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ বন্ধুকধারী কয়েকজন তাদের ঘিরে ধরে।একজন আদনান কে বলে’তোমার দেওয়া খবর পেয়ে সময় নষ্ট না করে চলে এসেছি। এ কথা শুনে চমকে উঠে রাইন।রাইন নিজের চারপাশে পলিমান ওয়াল তুলে অদৃশ্য হয়ে যায়।
নাসার লোকজন কি শেষ পর্যন্ত পারবে তাদের ধরতে? নাকি এলিয়েনরা নিজেদের গ্রহে ফিরে যেতে পারবে?তৃষা, আদনান আর রাতুল কি চলে যাবে তাদের প্রিয় বন্ধুর সাথে? তৃষা যাদের সাথে আড্ডা দিতো তারাও কি রাইন এর সাথের সেই ১৯ জন? এমন অনেক রহস্যে এবং সমাধান মিলবে বইটিতে।জানতে হলে পড়তে হবে বইটি
👉লেখক পরিচিতিঃ
দীপু মাহমুদ। জন্ম ২৫মে ১৯৬৫,নানাবাড়ি চুয়াডাঙ্গা
জেলার আলমডাঙ্গার গ্রাগপুর গ্রামে।বাল্যকাল কেটেছে দাদাবাড়ী হাটবোয়ালিয়া গ্রামে।আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি এবং পিএইচডি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে।
👉ব্যাক্তিগত অভিমতঃ
এটাই আমার পড়া প্রথম সাইন্স ফিকশন বই।অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়েছি বইটি।বইয়ের প্রতিটি পাতা রহস্যঘেরা।যতই সামনে এগিয়েছি সমাধান হয়েছে একেকটি রহস্যের।
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ১০/১০
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?