“ফিতনা” মানে বিপর্যয়।
মানব জাতীর প্রতিটি যুগেই দুঃখ-দুর্যোগ ছিলো, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ফিতনা বেশি গ্রাস করে তরুণ-তরুণীদের।
কারণ, তরুণরাই সমাজ-সভ্যতা নির্মাণ করে, আবার ধ্বংসও করতে পারে। ফিতনা তরুণদের হাতছানি দেয় বিভিন্ন ভঙ্গিতে। কখনো তরুণীর সামনে তরুণ হয়ে কিংবা তরুণের সামনে তরুণী হয়ে। কখনো কখনো, আর্থিক অস্বচ্ছলদের সামনে সম্পদের প্রলোভন হয়ে। আবার কখনো নেমে আসে অত্যাচারীর চরম অত্যাচার। ফলে প্রতিটি ফিতনা বা বিপর্যয়ে তরুণ-তরণীরা হয়ে পড়ে চরম হতাশাগ্রস্ত। এহেন অবস্থায় তারা বেচে নয়, মাদকাসক্তের কালো পথ, আত্মহত্যার মতো অবমাননার পথ।
পৃথিবীতে বিষণ্নতার যন্ত্রণা, ভুক্তভোগী ব্যতীত কেউ বুঝতে পারে না। তাই বলে তাদের জন্য কি উত্তরণের কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে।
পৃথিবীর মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আল্লাহ প্রেরণ করেছেন শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা)-কে। প্রিয় নবীর যৌবনকালের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে তরুণ-তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা। হতাশা কাটিয়ে ওঠার উদ্দীপনা।
আল্লাহর নবী হযরত ইউসুফ (আ)-এর বিপদ মসিবত আরম্ভ হয় খুব অল্প বয়সে। পরিনত বয়সে হাজির হোন জুলেখা। জুলেখার চাতুরীতে পা দেননি তিনি। ফলে ইউসুফকে যেতে হয় বিনা অপরাধে কারাগারে।
এতো বিপদ সত্ত্বেও মনোবল হারাননি তিনি। আল্লাহর ভরসা করে ধৈর্য ধরেন। এক সময় সব বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেয়ে হয়ে যান মিশরের বাদশা।
নবী ইউসুফের জীবনের পরতে পরতে রয়েছে তরুণ-তরুণীদের বেঁচে থাকার প্রেরণা।
এই যুগের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন অবস্থার সমাধানকল্পে নববী জীবনের আদর্শের আলোকে হাসানা পাবলিকেশন্স নিয়ে এসেছে নতুন একটি বই।
প্রিয় পাঠক, বইয়ের আপডেট জানতে চোখ রাখুন আমাদের পেজে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?