ফিতনাতুত তাকফীর এবং মানবরচিত বিধানে ফয়সালার হুকুম – Fitnatut Takfir Abong Manobrochito Bidhane Foisalar Hukum

  • ফিতনাতুত তাকফীর এবং মানবরচিত বিধানে ফয়সালার হুকুম
  • লেখক : শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ), আল্লমা নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহ.), শাইখ বিন বায (রঃ)
  • প্রকাশনী : বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
  • বিষয় : ঈমান ও আকীদা
  • অনুবাদক : শাইখ আব্দুল্লাহ মাহমুদ
  • পৃষ্ঠা : 80, কভার : পেপার ব্যাক
  • আইএসবিএন : 9789843529497, ভাষা : বাংলা

কেউ যদি কোনো মুসলিমকে কাফির আখ্যা দেয় আর ওই মুসলিম যদি কাফির না হয়, তাহলে যে কাফির আখ্যা দিবে সে কাফির হয়ে যাবে। যেহেতু অন্যকে কাফির আখ্যা দেওয়ার সঙ্গে নিজের কুফরীর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু এটি নিজের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও সাবধান থাকা অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমাদের মাঝে অপরিহার্য সতর্কতার স্থলে, শিথিলতা ও অসাবধানতাই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
‘মুসলিমকে কাফির বলা’র ফিতনা একটি প্রাচীন ফিতনা। যা বর্তমান সময়েও খুবই প্রাসঙ্গিক। এখন পর্যন্ত ‘মুসলিম’দেরকে বিশেষ করে ‘মুসলিম শাসক’দেরকে কাফির বলা এক শ্রেণির বিদআতির নিত্যদিনের কর্ম। এক্ষেত্রে ‘আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী শাসন না করা, সে অনুযায়ী ‘ফয়সালা না দেওয়া’, ইত্যাদি কমন অভিযোগ আরোপ করে ‘তাকফীর’ বা ‘কাফির বলা’ হয়। এই ছোট্ট পুস্তিকাটিতে মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী শাসন ও ফয়সালা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে হকপন্থিদের অবস্থান বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কারা কাফির আখ্যা দিবে এবং শাস্তি প্রদান করবে? || সৌদি স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডকে প্রশ্ন করা হয়, কাউকে তার আমল সম্পর্কে অবগত করার পূর্বে কি ‘তুমি কাফির’ বলা জায়েয?
জবাব প্রদান করা হয়: যদি কাফির হয়, তাহলে তাকে এ কথা জানানো জায়েয আছে যে, তার উক্ত কাজ কুফরী। এরপর সে তাকে ওই কাজ বর্জনের জন্য উত্তম পদ্ধতিতে উপদেশ প্রদান করবে। এরপরও সে যদি কুফরীকে আবশ্যককারী উক্ত আমল বর্জন না করে, তাহলে তার ক্ষেত্রে কাফিরদের বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। তার ক্ষেত্রে উক্ত শাস্তি প্রযোজ্য হবে, যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি আল্লাহ দিয়েছেন যে, যে কাফির কুফরের ওপর মারা যাবে, সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। তাই ওয়াজিব হচ্ছে, এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া এবং দলীল স্পষ্ট হওয়া ছাড়া কাফির আখ্যাদানে তাড়াহুড়ো না করা। (১০৫)
সৌদি স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডকে জিজ্ঞেস করা হয়, আলিমদের কি অধিকার রয়েছে যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কাফির বলবেন বা কাফির হওয়ার ঘোষণা দিবেন?
জবাব: বিধান পৌঁছানোর পরও যদি সালাত বা যাকাত বা সিয়ামের মতো দীনের স্বতঃসিদ্ধ, জ্ঞাত ও জরুরি বিষয়কে কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে তাকে কাফির বলা ওয়াজিব। তাকে উপদেশ দিতে হবে। এরপর যদি সে তাওবা করে তাহলে ভালো। অন্যথায় শাসক বা প্রশাসনের ওপর ওয়াজিব কাফির হিসেবে তাকে হত্যা করা। কুফরকে আবশ্যক করে এমন কোনো কিছু কারো মাঝে পাওয়া সত্ত্বেও যদি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কাফির বলা জায়েয না হয়, তাহলে মুরতাদের ওপর হদ কায়েম করা সম্ভব হবে না।
পাপের কারণে কাফির আখ্যাদান এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কাফির আখ্যাদান
শাইখ ইবন উসাইমীন
সম্মানিত শাইখ ইবন উসাইমীন’কে প্রশ্ন করা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কুফরীতে জড়িত হয়, তাহলে তাকে কি নির্দিষ্টভাবে কাফির বলা যাবে?
তিনি জবাবে বলেন, যদি তাকে নির্দিষ্টভাবে কাফির বলার শর্ত পূরণ হয়, তাহলে নির্দিষ্টভাবে তাকে কাফির বলা যাবে। যদি আমরা বলি, নির্দিষ্টভাবে কাউকে কাফির বলা যাবে না, তাহলে কারো ব্যাপারে মুরতাদ হওয়ার বিধান প্রযোজ্য হতো না। নির্দিষ্টভাবে যাকে কাফির বলা হবে, তার সঙ্গে দুনিয়াতে মুরতাদের ন্যায় আচরণ করতে হবে। এটি হচ্ছে দুনিয়ার ক্ষেত্রে বিধান।
আর পরকালের ক্ষেত্রে বিধান হচ্ছে, শাস্তির কথা অনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা যাবে না। এ কারণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ বলে, আমরা কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দিবো না। তবে কেবল তার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবো, যার ব্যাপারে নবী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অনুরূপ অনির্দিষ্টভাবে আমরা বলব,
من صام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ومن قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه
যে-ব্যক্তি রামাদানে ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।
ফিতনাতুত তাকফীর এবং মানবরচিত বিধানে ফয়সালার হুকুম – Fitnatut Takfir Abong Manobrochito Bidhane Foisalar Hukum – পাওয়া যাচ্ছে ওয়াফিলাইফে 
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?