- Title প্লেন ক্র্যাশ
- Author হরর ভলিউম
- Publisher তূর্য প্রকাশনী
- Quality হার্ডকভার
- ISBN 9847010700183
- Edition 1st Published, 2017
- Number of Pages 160
- Country বাংলাদেশ
- Language বাংলা
ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে টেক-অফ করার কিছুক্ষনের মধ্যেই একটা ডিসি ১০-৩০ বিমান ক্র্যাশ করে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে ১৭৯ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু’র মধ্যে অলৌকিকভাবে বেচে গেছে শুধুমাত্র একজন মানুষ। প্লেনটির কো-পাইলট। অন্যান্য সব যাত্রী এবং ক্রুদের শরীর এমনভাবে ঝলসে গেছে যে লাশ সনাক্ত করাও যায়নি। হাতে গোনা যে কয়টা লাশ সনাক্ত করা গেছে সেগুলা নিয়ে গেছে আত্মীয় স্বজনরা। বাকি লাশগুলো একটাও ঠিক অবস্থায় নেই। কোনওটার হাত নেই, কোনওটার মাথা নেই, মোটকথা সবার শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলা কোনওরকমে জানাজা পড়ে রাজেন্দ্রপুর কবস্থানে দাফন করা হয়েছে। কারও ধরের সাথে গেছে অন্য কারও মাথা, আবার কারও শরীরের সাথে অন্য কারও হাত পা।
প্লেন ক্র্যাশের পর এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ কাজে নেমে পড়ে। কিন্তু নানা রকম তদন্ত ও অনুসন্ধান করেও তারা প্লেন ক্রেশ হবার মত কোনও কারন খুঁজে পাচ্ছে না। সব ইন্সট্রুমেন্ট চেক করে দেখা হয়েছে, কোনও গোলমাল ছিল না। সবকিছুর আলামত শুধুমাত্র বোমা বিস্ফরণের সাথে মেলে। কিন্তু এতসব প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিয়ে প্লেনে বোমা নিয়ে যাওয়াও কারও পক্ষে অসম্ভব। কোনও রহস্যেরই কিনারা করতে পারছে না তারা। তাছাড়া এত বড় বিস্ফোরণে প্লেনটা এমনভাবে দুমড়ে মুচড়ে গেছে যে একজনেরও বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না। সেখানে কো-পাইলট কিভাবে বেঁচে গেল এটাও একটা রহস্য। কো-পাইলটের কাছেও তারা কিছু জানতে পারেনি, ক্র্যাশের পর থেকে সে ক্র্যাশের আগের দিন পর্যন্ত কোনও স্মৃতি মনে করতে পারছে না। অবশ্য এটাও ঠিক এতবড় একটা দুর্ঘটনা থেকে কেউ একা বেঁচে গেলে তার মাথা ঠিক রাখাও সমস্যা হয়ে পড়ে।।
এইদিকে আবার প্লেন ক্র্যাশের পর থেকেই রাজেন্দ্রপুরে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা। নিজের পুকুরে ডুবে মারা যায় পুকুরের মালিক। মৃত্যুর সময় তার চোখ মুখের ভয়বঙ্কর চাউনি দেখে বোঝা যায় সে ডুবে মরেনি, ভয়ে হার্ট এটাক হয়েছে। মেইন রোডের পাশের এক ফ্ল্যাট থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায় এক দম্পতী। গির্জার ভেতর ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় পাদ্রী। স্কুলের এক ছাত্র ট্রেনে কাটা পড়ে। মসজিদের নামাজের বিছানা উলটে যায়, মসজিদের দেয়ালে রক্তের ছোপ দেখা যায়। কুরআন শরীফের গিলাফ কেটে কুটি কুটি করে রাখে কেউ। কোনও কারন ছাড়াই একটা দোকান এবং গির্জায় আগুন লেগে যায়।
এসব কিসের আলামত? তবে কি……….
সবকিছুর রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামে ক্র্যাশ থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র কো-পাইলট। তার সাথে থাকে একজন স্পিরিচুয়ালিস্ট এবং রাজেন্দ্রপুর মসজিদের ইমাম সাহেব।
যদি সাহস থাকে ভয়কে মোকাবেলা করার, আপনারাও ওদের সঙ্গী হতে পারেন।
যারা রেগুলার হরর বই পড়েন, তাদের কারো এই বইটা মিস যাবার কথা না। তারপরেও যদি ছুটে যায়, তবে শীঘ্রই নিয়ে বসে যাণ। তবে সেবা থেকে বের হওয়া এই বইটা এখন আর কোথাও পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। নীলক্ষেতের পুরনো দোকানগুলোতে ঘাটলে পাওয়া যেতে পারে। এত চমৎকার একটা বই কেন যে সেবা রিপ্রিন্ট করে না কে জানে! বইটা বের হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, লিখেছিলেন খসরু চৌধুরী। যদি কারো কাছে বইটা থাকে তবে বাকিদেরও পড়ার সুযোগ করে দেবেন প্লিজ।
বিঃদ্রঃ রিভিউটা সাত বছর আগে লেখা। আজকে সার্চ দিয়ে দেখলাম বইটা নতুন এক প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে এবং রকমারিতে এভেইলেবল।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?