নামঃ নীল ঘূর্ণি
লেখিকাঃ সুচিত্রা ভট্টাচার্য
প্রকাশনীঃ আনন্দ
সারসংক্ষেপঃ
নীল ঘূর্ণি, এমন এক ঘূর্ণিঝড় যায় এলোমেলো করে দেয় পাঁচজনের জীবন। দয়িতা, বোধিসত্ত্ব, রাখি, শুদ্ধসত্ত্ব বা বাবুয়া এবং সৌমিক।
বোধিসত্ত্ব একজন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী সেইসাথে একজন অধ্যাপক। তার স্ত্রী রাখি এবং একমাত্র পুত্র বাবূয়া।তিনি যে কলেজে অধ্যাপনা করেন সেই কলেজের ছাত্রী দয়িতা। তার স্বপ্নের রাজকুমার ৫৬ বছর বয়সী অধ্যাপক বোধিসত্ত্ব।তার বন্ধু বান্ধবীরা সবাই এ নিয়ে তার ওপর মজা করে। কিন্তু দয়িতা জানে তার জীবনের সকল কিছুই সে দিয়ে দিয়েছে অধ্যাপক সাহেব কে। কিন্ত সে জানেনা বোধিসত্ত্ব কি তাকে ভালোবাসে কিনা। তা সত্বেও দয়িতা তার সংস্পর্শ পাওয়ার জন্য দাড়িয়ে থাকে লাইব্রেরীর সামনে কিংবা তার বাসার গেটের বাইরে। অন্যদিকে বোধিসত্ত্ব রাখির সাথে সুখে সংসার করলেও দেখা যায় যে তাদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তার একমাত্র ছেলে বাবার সাথেও তার ভাল সম্পর্ক নয়। এক সময় রাখির পিতা মারা গেলে সে চলে যায় তার বাপের বাড়িতে সাত দিনের জন্য। তত তিনে দয়িতা তার প্রাণপুরুষ বোধিসত্ত্ব কে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে দেয়। শুরুতে বোধিসত্ত্ব এই সম্পর্ক স্বীকার করে না বয়সের দোহাই এবং সামাজিকতার দোহাই দিয়ে। কিন্তু শেষে সেও ধরা পড়ে দয়িতার প্রেমের জালে। অন্যদিকে দয়িতার বাবা-মা তার বিয়ে ঠিক করে সৌমিক নামের এক ব্যাংকারের সাথে। কিন্তু এই বিয়ে মেনে না নিয়ে বাবা-মার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে সে চলে আসে তার প্রাণ পুরুষের কাছে। রাখি বোধিসত্ত্ব ও দয়িতার মধ্যে এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে চলে আসে নিজের বাপের বাড়ি। বাবুয়া ও তার বাবার সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে আসে নিজের মায়ের কাছে।
অবশেষে দয়িতা এবং বোধিসত্ত্বের সম্পর্কের কী পরিণতি হবে সেই নিয়েই এই উপন্যাস। কোন ঘটনা অপেক্ষা করছে বাবুয়া, রাখি এবং সৌমিকের জীবনে তাই নিয়েই এই উপন্যাস।
এই বইটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন….ভালোবাসা আর শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণের মধ্যে কি পার্থক্য। এখানে আপনি জানতে পারবেন কলেজ পড়ুয়া এক কিশোরী মেয়ের কাছে ভালোবাসা মানে কি… সহ আরো অনেক কিছু।জীবন যে কোনো সিনেমা নয় তা এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।লেখিকার লেখার স্টাইল আসলেই অসাধারণ। বইটি আসলেই রিকমেন্ড করার মতো বই।
আমার এই বইটি এই বইয়ের প্রথম মুদ্রনের,২০০১ সালের
Leave a comment