- বই : নভোরজ শারদীয় সংখ্যা ১৪২৮ (২০২১);
- সম্পাদক : দেবাশীষ গোস্বামী,
- সহ-সম্পাদক : সুখরঞ্জন তালুকদার;
- প্রকাশক : এবারত প্রকাশনী;
- পেপারব্যাক : ৩২৪
- পৃষ্ঠা : ২৫০/- টাকা।
জঁর ফিকশনের কদরদান পাঠক-মাত্রেই নভোরজ-এর সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। আমার পত্রিকা-পাঠ খুব বেশি পরিমাণে জমে থাকে বলে সেই পত্রিকার গতবছরের শারদীয় সংখ্যাটি পড়া হয়নি এতদিন। এইবার সেটা শেষ হল।
বইয়ে প্রচুর লেখা আছে। সব অবশ্যই সমমানের নয়। আমি শুধু আমার পছন্দের লেখাগুলোর কথাই লিখি এখানে। তারা হল~
১. কমিকস-এর মধ্যে উজ্জ্বল ধরের ‘মঙ্গলের মুখ’, সুমন্ত পালের ‘জাগরণে যায় বিভাবরী’ আর প্রতিম দাসের অনুবাদে ‘কফিন অফ ড্রাকুলা’;
২. প্রবন্ধের মধ্যে চন্দ্রনাথ সেনের ‘K ফর কাশ্মীর’;
৩. অনুবাদ গল্পের মধ্যে সৌভিক চক্রবর্তী অনূদিত ‘ভ্যাম্পায়ার বলে কিছু নেই’;
৪. গল্পের মধ্যে সৈকত মুখোপাধ্যায়ের ‘ফেরিওলা’, রসিক উপাধ্যায়ের ‘হুল’, অনুষ্টুপ শেঠের ‘শয়তানের ডেরা’, রাজা ভট্টাচার্যের ‘রতিসুখসারে…’, অনন্যা দাশের ‘নীল স্যাফায়ারের ব্রেসলেট’, অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী’র ‘কারিগর’;
৫. বড়োগল্পের মধ্যে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের ‘কালপুরুষ’, নীলাঞ্জন মুখার্জি’র ‘নাশিনী’ এবং নীলাদ্রি মুখার্জি’র ‘ইনস্টিংক্ট’।
৬. উপন্যাস হিসেবে বিক্রমজিৎ মিশ্রের ‘প্রেতভোগ’।
এ-ছাড়াও এই বইয়ে রয়েছে অনেক লেখা; তবে টানটান প্লটের বদলে অতিকথন সেগুলোর অপরিসীম ক্ষতি করেছে। সম্পাদক নির্মমভাবে এই লেখাগুলো কাটছাঁট করার জন্য লেখকদের কাছে ফেরত পাঠালে ভালো করতেন।
এই শারদীয় সংখ্যা থেকে আমার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হল বহুদিন পর নীলাদ্রি মুখার্জি’র লেখা গোয়েন্দা গল্প পড়ার সুযোগ পাওয়া, অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী’র লেখায় একটি অতুলনীয় রূপক-কাহিনি, রাজা ভট্টাচার্যের দুর্দান্ত মনস্তাত্ত্বিক আখ্যান, অনুষ্টুপ শেঠের ছোট্ট অথচ শিহরন-জাগানিয়া কাহিনি,
আর নীলাঞ্জন মুখার্জি’র সাংঘাতিক থ্রিলারটি! ওইরকম এক-আধটি লেখার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকা যায়।
জানি না এই সংখ্যাটা এখনও পাওয়া যায় কি না। যদি যায়, আর যদি আপনি রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের অনুরাগী হন, তাহলে এটিকে পড়ে দেখতে পাবেন। আনন্দ পাবেন বলেই আমার মনে হয়।
অলমিতি।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?