ধর্ম যার, উৎসবও তার | Religion Is His, Festival

| ধর্ম যার, উৎসবও তার |

পৃথিবীর স্রষ্টা যদি একজন হয়, তবে পৃথিবীতে সত্য ধর্মও একটি। পরম্পরার বাঁধা উৎরে আপনাকে তা খুঁজে নিতে হবে। যারা বলে, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’, তারা একজন ঈশ্বরের সাথে সাথে বাদবাকি অনেক না-ঈশ্বরকেও স্বীকার করে নেয়। মূলতঃ এতে করে তাদের ঈশ্বর-ই না-ঈশ্বর প্রমানিত হয়। 
কি মুসলিম, কি হিন্দু, কি খ্রিস্টান_ স্বধর্মে আস্তিক পরিচয়ে যে যার ধর্মের অ্যাম্বাসেডর। ব্যাপারটা স্বাভাবিক, সার্বভৌমিক ও সর্বজনীন। তাই বলে বাবার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা বুঝাতে একজনের বাবাকে তো অন্যজন বাবা ডাকতে পারে না! সেক্যুলাররা যে কুলারের হাওয়া খেয়ে প্রাণ জুড়াতে চায় তা আদতে বিজ্ঞান নয়, কলা-বিজ্ঞান। এই কলা-বিজ্ঞানীরা কুসংস্কার বলে যা ছুড়ে ফেলে, ঐতিহ্য বলে তাকেই আবার আঁচল পেতে লালন করে। স্ব-বিরোধীতায় যার বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে হাস্যরস আর হাহাকারের যোগানই বাড়ে শুধু। 
ধর্ম নিরাপত্তার নিয়ামক। সকল ধর্মের কোলাজে যারা ওৎ পেতে থাকে উৎসবে হুমড়ি খেতে, তাদের নিরাপত্তাও বিপদসংকুল। হয় তার ধর্ম মিথ্যা, নয় তার বিশ্বাস। হতে পারে অজ্ঞতায় সে আহাম্মক, নয় ধূর্ততায় বর্ণচোরা। স্বাধীনতা ও ব্যভিচার যেমন সমার্থক নয়, ভাতৃত্ব আর ভাইফোঁটাও একঅর্থে সিম্বোলিক হতে পারে না। বুঝার ব্যাপারটা খেয়ে হয় না। আর খাওয়ারটা গেয়ে। মত,পথ ভিন্ন ও বহু হতে পারে, তাকে তালগোল পাকিয়ে এক করতে চাওয়া দীনে এলাহি হতে পারে, দ্বীন নয় কিছুতেই। তাই ধর্ম যার, উৎসবও তার। 
যার যার ধর্ম তার তার গবেষণা। চূড়ান্তে ফলাফল অনন্ত সমৃদ্ধি কিংবা নিঃসীম দুর্ভোগ। মৃত্যুর মতো প্রাচীনতম অভিজ্ঞতা মানুষের চিন্তাকে সেই ভাবনা, সেই গবেষণার দিকেই ধাবিত করে। তাই সত্যান্বেষণে নেমে মানুষ যেন সতর্ক থাকে, যখন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে তার রবের স্পষ্ট বার্তা বিদ্যমান যে, ‘ইন্নাদ্দীনা ‘ইনদাল্লহিল ইসলাম’ / নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। – (আল-ইমরান, ৩/১৯) 
অনন্ত নক্ষত্রবীথির মাঝে এই যাত্রা ফুরাবার আগেই হে মানুষ, তাই ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু_সব কিছুই বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই’। – (আল আন’আম,৬/১৬২)
সিয়ান | বিশুদ্ধ জ্ঞান | বিশ্বমান
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?