- বই : দ্রোহের তপ্ত লাভা
- লেখক : আলী হাসান উসামা
- প্রকাশক : চেতনা প্ৰকাশনী
- বইয়ের মূল্য : ৫০০
- রিভিউ : সাইফুল ইসলাম
তৎকালের পুরো পৃথিবীর ক্ষমতাধররা আজ পিঁপড়ার ন্যায় ছোট্ট ভূখণ্ড নিয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট। সর্বোপরি তাতেও খেলাফত ব্যবস্থা কিঞ্চিত প্রতিষ্ঠিত নয়। এমনকি কুফফার সাম্রাজ্যের অধীন হয়ে গেছে এককালীন সুপার পাওয়ার মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। সর্বত্রে জরাসমাজের সমারোহ। কোথাও এতটুকু আলো নেই। এখন অবশ্য ছাত্র ভাইয়েরা আফগান ভূখন্ডে শক্ত হতে জিহাদকে আঁকড়ে ধরেছেন। অথচ আবশ্যক এবং ফরজ ছিল আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে এক দেহের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া। কিন্তু কুফরী চিন্তাবাদ আমাদের সুস্থ মানসিকতাকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে ফেলেছে আর আমরা হারিয়ে ফেলেছি গাইরাত,নুসরত। পুনরুদ্ধারের পথ বাতলে এই গ্ৰন্থ রচিত হয়েছে।
লেখক বর্তমানে যারা সন্ত্রাস জঙ্গি উগ্রবাদের অপপ্রয়োগ করে তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। “উম্মতাও ওসাতা” নামে যারা ইসলামকে বিকৃত করে তাদেরকে সঠিক পথের দিকে আহবান করেছেন। প্রবন্ধ আকারে অনেক জটিল ও সমস্যাযুক্ত বিষয়কে সমাধান করেছেন। জিন জাতির জঙ্গিবাদের পূর্ণ বিবরণ ও ড.রাগিব সারজানির “ওয়ালা বারা” আকিদার ত্রুটিগুলো যথার্থভাবে তুলে ধরেছেন। বাংলায় যারা গণতন্ত্র নির্বাচন আর “নবীজিকে ভোট” দেওয়া নিয়ে বিপুল হারে প্রশংসা কুড়ায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। বর্তমানে সবাই খুব শান্তি প্রিয়। তাই কোন “জিহাদি মওলানা” গ্রেপ্তার হলে উদ্ধার তো দূরে থাক শত্রুর চেয়ারে বসে খিলখিল হাসে । লেখক আক্ষেপ করে এই উম্মাহর নিদ্রার সমালোচনা করেছেন। কিতাল,মালহামা নিয়ে সংশয়পূর্ণ মুসলিমকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। কোরবানির চামড়া নিয়ে আকাবিরদের মতামত উল্লেখ করেছেন। পরিশেষে নফসের মুজাহিদ ও নারীর অবাধ্যতার দূরভিসন্ধি সংকটের কথা বলেছেন। হেকমতওয়ালা আর অতি জজবাতিদেরও সমস্যা নিরসনের উপায় তুলে ধরেছেন।
কিছু লোক প্রতিষ্ঠিত রণাঙ্গনকে অস্বীকার করে বসে, নানান অজুহাতে। জিহাদের শর্ত অস্বীকার, বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রচারের লক্ষ্যে নাকি নিজ জীবনকে প্রফুল্ল করার জন্য যা চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবে। সর্বোপরি কোরআনের নিখুঁত ব্যাখ্যা ও হাদিসের চাকচিক্যময় আলোচনা মাধ্যমে বুঝিয়েছেন। কিতালের ইসতে ‘দাদ গ্রহণ করা, ইসলামকে রক্ষা করা কতটা প্রয়োজনীয়।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?