- বই : দ্য ফুটস্টেপ অভ অ্যানা ফ্রাঙ্ক
- লেখক : আর্নেস্ট স্ন্যাবেল
- অনুবাদ : এনায়েত রসুল
- প্রচ্ছদ : এনায়েত রসুল
- প্রকাশনী : বিজয় প্রকাশ
- মলাট মূল্য : ২৫০ টাকা
- Review Credit : Md. Foridul Islam
ক্ষনজন্মা জীবনগুলি বুজি কেবল অমর হয়ে রয়। মহান ব্যাক্তিত্ব “ডিরোজিও ” “সুকান্ত ভট্টাচার্য ” কি তাদের কলমের জাদু। মহুরমূহ করে তুলে জীবন কে। বাঁচতে শেখায়, জীবনকে বদলাতে শেখায়। তেমনি এক “প্রফুল্ল প্রাণ অ্যানা ফ্রাঙ্ক ” যার কলমের জাদুতে পুরো বিশ্ব বাসির মনকে জয় করে নিয়েছে।
আজ অ্যানা ফ্রাঙ্ক কে নিয়ে লেখা “দ্য ফুট স্টেপ অভ অ্যানা ফ্রাঙ্ক ” বইটি সম্পর্কে বলতে এসেছি।
অ্যানা ফ্রাঙ্ক এর ডায়েরি পড়ে আমরা সবাই তার জাদুতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। সেই মুগ্ধতার মূল রহস্য তথা অ্যানা ফ্রাঙ্ক এর ১৪ বছর ৯ মাস জীবনের আদ্য-পাদ্য খুজেছেন লেখক আর্নেস্ট স্ন্যাবেল।
তার বয়ানে তিনি ৭৬ জন মানুষ এর নাম খুজে পায় অ্যানার ডায়েরি এবং তার নথিপত্র এর মাঝে সেখান থেকে দেশ বিদেশ খুজে তিনি ৪২ এর সাথে কথা বলে জানতে চেষ্টা করেন অ্যানা ফ্রাঙ্ক সম্পর্কে।দীর্ষ প্রচেষ্টা পরবর্তীতে আর্নেস্ট স্ন্যাবেল এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেন।
১৯৪২ সালের ১২ জুন এ্যানি ফ্রাঙ্ক তার ১৩তম জন্মদিনে উপহার পায় একটি ডায়েরী। আর তখন সেই সদ্য কিশোরী হাতে কলম তুলে নেয়। নিজের মনের কথা আর যুদ্ধকালীন ভয়াবহ সময়ের কথা সে লিপিবদ্ধ করতে থাকে কলমের আচড়ে।
যে বয়সে তার স্কুল আর পৃথিবীর খোলা আলো বাতাসে অপরিমিত উচ্ছাসে দিন কাটাবার কথা ছিল সেই তাকে বরণ করে নিতে হয়েছিল গোপন ঘুপচি ঘরের নিরাপদ আশ্রয় যেখানে রাতে বাতি জ্বালানো, দিনে জানালা খোলা ও নিষেধ ছিল। সে এক অপরিসীম সহ্যাতীত সময়। কিন্তু তবুও রেহাই পায়নি সে। ঠিক ২৫ মাস পর ডায়েরীতে কলমের শেষ আচড় টানে সে। জানা যায় গোপন আস্তানায় হানা দেয় হিটলার বাহিনী, সবাইকে ধরে নিয়ে যায় বন্দিশিবিরে।সেখানে অ্যানা ফ্রাঙ্ক সহ সবাই মৃত্যুর অন্ধকারে হারিয়ে যায়। ফিরে আসেন শুধু অটো ফ্রাঙ্ক। তখন মিপ আর এলি তার হাতে তুলে দেন লাল মলাটের একটি ডায়েরী, অ্যানার স্মৃতি কথা। প্রকাশ পায় “অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী নামে”। চমকে ওঠে ইতিহাস এক সদ্য কিশোরীর কলমের যাদুতে। অনূদিত হয় পৃথিবীর প্রায় সমস্ত ভাষায়।
এক আশ্চর্য অনুভুতি তৈরী হয় বইটা পড়তে গিয়ে। খুজে পাওয়া যায় তের থেকে পনের বছরে হেটে যাওয়া কিশোরী অ্যানা ফ্রাঙ্ককে যে অনায়াসে বলে গেছে দর্শন, ঈশ্বর, মানব চরিত্র, আর প্রেম প্রকৃতি জীবন বোধ নিয়ে। পাশাপাশি ২য় বিশ্বযুদ্ধ কালীন ভয়াবহ জীবন যুদ্ধের খণ্ডচিত্র।
অ্যানা ফ্রাঙ্ক চলে গেছে, কিন্তু বেচে আছে তার অমর দিনলিপি । বাচিয়ে রেখেছে তাকে বিশ্ব জুড়ে পাঠকের অন্তরে।
তার শেষ কথাটুকু আমাদের কে ” মৃত্যুর পরও আমি বেচে থাকতে চাই”
আজো ভাবিয়ে তুলে সারাক্ষণ।
৪২ জন এর জবানিতে উঠে আসে অ্যানা সম্পর্কে না জানা সহস্র তথ্য যা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে এতো অল্প বয়সে কিভাবে এতে কিছু সম্পর্কে ধারনা নেওয়া যায়। ভাবনার জগৎ কে কি করে পরিবর্তন করা যায়।
বইটি প্রথমেই আমরা সেই বন্দি শিবির থেকে ফিরে আশা অ্যানার বাবা অটো ফ্রাঙ্ক এর জবানিতে প্রথম অ্যানা কে ফিরে পাই। আর শেষাংশে মিপ ও এ্যালি কে খুজে পাই যাদের জনাবি পড়তে গেলে চোখে যেন সমুদ্রে ঢেও হয়ে যায়৷
অযথা লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আলোর মুখ দেখোক প্রতিপ্রাণ। PDF Download
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?