তিনি বলেছেন,” কিন্তু মানুষ পরাজয়ের জন্য তৈরি হয় না,”একজন মানুষ ধ্বংস হতে পারে তবে পরাজিত হতে পারে না”।
“দ্য ওল্ড ম্যান অ্্যান্ড দ্যা সী ” আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ১৯৫১ সালের একটি খ্যাতিমান উপন্যাস।
যা উৎসর্গ করা হয়েছে সকল স্বপ্নবাজ মানুষকে।আপনি যদি নিজেকে এক জন স্বপ্ন বলে ভেবে থাকেন বইটি আপনাকেও উৎসর্গ করা হয়েছে।
বইটি আমাদের একজন বৃদ্ধ জেলে সান্টিয়াগো,একটি ছোট ছেলে ও সুন্দর এবং সাহসী মাছের গল্প বলে।
বৃদ্ধ জেলে সান্টিয়াগো যখন যুবক ছিলেন তিনি একজন সাহসী এবং দক্ষ জেলে ছিলেন।তিনি অনেক বড় বড় মাছ শিকার করেছেন।তার যৌবন ছিলো রোমাঞ্চকর।
একটি মানুষ চির তরুণ থাকতে পারে না।তাকে বাদ্ধকে উপনিত হতে হয়।সান্টিয়াগো যখন বৃদ্ধ চোখ দুটো ছাড়া তার সব কিছুই ছিল জরাজীর্ণ। তার চোখ আর সমুদ্রের রঙ ছিলো এক রকম,আর সে চোখ ছিলো উৎফুল্ল আর অপরাজিত।
বৃদ্ধ সান্টিয়াগোর নিত্ত সঙ্গি ছিলো ছোট ছেলে মনোলিন।বৃদ্ধের কাছে সে মাছ ধরা শিখতো।
এক সময় দেয়ালে তার স্ত্রীর একটা রঙ করা ফোটোও ছিল কিন্তু ওটা দেখলে তার নিঃসঙ্গতাবোধ আরো বেড়ে যেত,তাই সে ওটা নামিয়ে কোণায় দিকের তাকে তার পরিষ্কার সার্টের নিচে রেখে দিয়েছে।
আজ ৮৪ দিন হয়ে গেছে বৃদ্ধ কোনো মাছ পায়নি।তাকে এখন স্থানীয় লোকেরা “সালাও” হিসাবে অভিহিত করেছে,যার অর্থ হল যে তিনি সবচেয়ে খারাপ ভাবে অভিশপ্ত।
কিন্তু আশার ব্যাপার হচ্ছে লোকটি ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞবন্ধ এবং সাহসী। তিনি ৮৫ দিনের, দিন একই ভাবে সমুদ্রের দিকে যাত্রা শুরু করেন এবং উপসাগরীয় স্টিমের বাইরে চলে যান।
সেখানে শ্রীঘ্রই বৃদ্ধ সামনাসামনি হোন বিশাল এক মার্লিন মাছের সাথে। এখান থেকেই বৃদ্ধে এবং মার্লিন মাছ উভয়ের সাহসী ও দৃঢ় প্রত্যয়ী রুপ ফুটেওঠে।
“দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি” বইটির যে বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে,এক জন মানুষের জীবনের যত প্রতিকূলতা থাক না কেনো তার নিঃসঙ্গতাবোধ,দুর্বল শরীর,আশেপাশে মানুষের তুচ্ছতাচ্ছিল্য সব কিছুর উর্ধ্বে তার নিজের বিশ্বাস,দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া নিজের স্বপ্ন এবং নিজের অর্জনের ক্ষতা সম্পর্কে।
বইঃদ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি
লেখকঃআর্নেস্ট হেমিংওয়ে
অনুবাদঃসাহাদাৎ হোসেন
মুদ্রিত মূল্যঃ২০০
ব্যক্তিগত রেটিংঃ৭/১০