নাম: দেজা ভ্যু
লেখক: আমিনুল ইসলাম
জনরা: সাইফাই থ্রিলার
প্রচ্ছদ: আদনান আহমেদ রিজন
প্রকাশনী: সতীর্থ
প্রথম প্রকাশ: অক্টোবর ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮
মুদ্রিত মূল্য: ২৮০/-
𝓣𝓱𝓮𝓻𝓮’𝓼 𝓪𝓷 𝓸𝓹𝓹𝓸𝓼𝓲𝓽𝓮 𝓽𝓸 𝓭é𝓳à 𝓿𝓾. 𝓣𝓱𝓮𝔂 𝓬𝓪𝓵𝓵 𝓲𝓽 𝓳𝓪𝓶𝓪𝓲𝓼 𝓿𝓾. 𝓘𝓽’𝓼 𝔀𝓱𝓮𝓷 𝔂𝓸𝓾 𝓶𝓮𝓮𝓽 𝓽𝓱𝓮 𝓼𝓪𝓶𝓮 𝓹𝓮𝓸𝓹𝓵𝓮 𝓸𝓻 𝓿𝓲𝓼𝓲𝓽 𝓹𝓵𝓪𝓬𝓮𝓼, 𝓪𝓰𝓪𝓲𝓷 𝓪𝓷𝓭 𝓪𝓰𝓪𝓲𝓷, 𝓫𝓾𝓽 𝓮𝓪𝓬𝓱 𝓽𝓲𝓶𝓮 𝓲𝓼 𝓽𝓱𝓮 𝓯𝓲𝓻𝓼𝓽. 𝓔𝓿𝓮𝓻𝔂𝓫𝓸𝓭𝔂 𝓲𝓼 𝓪𝓵𝔀𝓪𝔂𝓼 𝓪 𝓼𝓽𝓻𝓪𝓷𝓰𝓮𝓻. 𝓝𝓸𝓽𝓱𝓲𝓷𝓰 𝓲𝓼 𝓮𝓿𝓮𝓻 𝓯𝓪𝓶𝓲𝓵𝓲𝓪𝓻.
—𝒞𝒽𝓊𝒸𝓀 𝒫𝒶𝓁𝒶𝒽𝓃𝒾𝓊𝓀
ধীরে ধীরে গড়ে উঠা স্বপ্ন যখন বাস্তবে রূপ নিতে থাকে তখন জীবন রূপকথা মনে হয়। এমনটাই হচ্ছে নিহাবের সাথে। মাকে হারানোর পর তাই ঠিক করে ফেলে এমন কিছু করবে যেন বাকিদেরও প্রিয়জন হারাতে না হয়। ❝সেইভার সেল❞ তারই ফল, সারাবিশ্বে পড়ে গেছে হইচই। কিন্তু… কিছু একটা যেন ঠিক নেই!
বড় কিছু অর্জনের পিছনে ত্যাগও বড়োই হয়। বড় গায়ক হওয়ার পরও যেন হিসাবের খাতায় ত্যাগের পরিমাণই বেশি সৈকতের। শেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রাখবে না আর এ জীবন!
ঘুম থেকে জেগে উঠে সৈকত। স্বপ্ন নয় যেন বাস্তবই ছিল… কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো স্বপ্ন দেখা ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে বাস্তবেও! তাহলে কি সে অতীতে চলে এসেছে? কিন্তু বিপত্তি তো তখন বাঁধে যখন সৈকতের ভবিষ্যতে গাওয়া গানগুলো কেউ একজন বর্তমানে গেয়ে চলেছে!
চমকে উঠে নিহাব, সেইভার সেল তার ভাবনা তাহলে অন্য কেউ কীভাবে আবিষ্কার করে ফেললো?
কেউ কি তাদের ভাবনার মধ্যে হানা দিয়েছে? নাকি বদলে গেছে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ? অজানা রহস্যের জবাবের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে সৈকত, নিহাব, টিনা।
কিন্তু জড়িয়ে পড়ে এক ভয়ানক খেলায়…
সদ্য ঘুম থেকে উঠেই মনে থাকে না স্বপ্নে কী দেখেছি আবার এমনও হয় কয়েকবছর আগের দেখা স্বপ্ন মনে থেকে যায়। কেন? আসলে স্বপ্নে কী দেখেছি এটা বিষয় না। স্বপ্ন মনে কী প্রভাব ফেলেছে এটাই মূখ্য।তাইতো অনেক সময় স্বপ্ন মনে না থাকলেও অব্যক্ত অনুভূতি ঠিকই রয়ে যায়।
কলেবরে ছোট সাইজের সাইফাই থ্রিলার। বইয়ের কনসেপ্ট দুটো থিওরীর উপর বেজড ❝দেজা ভ্যু❞ আর ❝লুসিড ড্রিম❞। বই নিয়ে বলার আগে থিওরীগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করি। ❝দেজা ভ্যু❞ (Deja vu ) ফরাসি শব্দ, আক্ষরিক অর্থ ❝already sean❞ বা ❝ইতিমধ্যে দেখা❞। কখনো কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে যদি মনে হয় এই ঘটনা আগেও হয়েছে কিন্তু বাস্তবে আসলে এমন কিছুই হয়নি। ব্যক্তি যখন নিজেই বুঝতে পারে সে স্বপ্ন দেখছে আবার বাইরের জগতের প্রতিও সজাগ, এই পর্যায়ই ❝লুসিড ড্রিমিং❞। চরিত্রগুলো স্বপ্ন দেখছে নাকি দেজা ভ্যুর শিকার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক এই ধোঁয়াশাই রেখেছেন।
বইয়ের ঘটনাগুলো বেশ কয়েকটা টাইমলাইন দেখানো হয়েছে। প্রথমের অংশগুলো কিছুটা কনফিউজিং। কোন টাইমলাইনে আসলে চরিত্রগুলো আছে ভাবনা পড়ে গেছিলাম। এক টাইমলাইন থেকে আরেক টাইম লাইনে জাম্প করে যাওয়া… তবে লাস্টে কানেক্টেড। সাথে আছে এডভেঞ্চার, মিস্ট্রি, থ্রিলারের টুইস্ট। শুরু আমাজনে হলেও প্রেক্ষাপট দেশীয়। সহজ-সাবলীল উপস্থাপনা সাথে অতিরিক্ত আলোচনা বর্জিত। কাহিনী যথেষ্ট ফাস্ট ফরওয়ার্ড। তবে দুজায়গায় আরও ডিটেলিং এর দরকার ছিল। নিহাবের সাথে টিনার পরিচয় আর এত সহজেই বলে দিলো সাফিনের ঘটনা! কেমন জানি একটা খটকা মনে হচ্ছিল। তাই লাস্টে খুব একটা সারপ্রাইজ হয়নি। তবে এন্ডিংটা জাস্ট অদ্ভুত। শেষ হয়েও যেন রেশ থেকে যায়।
Leave a comment