দুর্যোধন > লেখক হরিশংকর জলদাস | Durjodhon – Horishongkor Joldash

 বই : দুর্যোধন 

লেখক : হরিশংকর জলদাস 
প্রকাশক : কথা প্রকাশ
মুদ্রিত মূল্য : ৫০০
ISBN : 9789849649885
Edition : 1st Published, 2022
Number : of Pages 280
Country : বাংলাদেশ
Language : বাংলা

কর্ণ কে কি সত্যি অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছিল? দ্রৌপদী র পঞ্চ স্বামী প্রাপ্তি কি সত্যি যুধিষ্ঠির এর ষড়যন্ত্র ছিল? যুধিষ্ঠির কি সত্যি সত্যবাদী? সত্যি কি একমাত্র কৃষ্ণের প্ররোচনায় কুরুক্ষেত্রের ভয়ংকর যুদ্ধ হয়েছিল? উত্তরগুলো জানতে পড়ে দেখুন দূর্যোধন। সত্যি বলতে কি আমার মহাভারত পড়ার অভিজ্ঞতা বলতে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী র ছোটদের মহাভারত পড়া। এই উপন্যাস টি পড়তে বেশ লেগেছে দুর্যোধনের দৃষ্টিভঙ্গি তে মহাভারত। লেখক প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন। পড়তে কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে বাংলা লেখার মধ্যে অহেতুক হিন্দি ভাষার ব্যবহার ভালো লাগেনি আমার। বই টি সম্বন্ধে অনেক বিতর্ক আছে যে লেখক মহাভারত এর বিভিন্ন ঘটনাকে অহেতুক বিতর্কিত ভাবে দেখিয়েছেন। আমার মনে হয় নি মহাভারত মহাকাব্য যা পাণ্ডব দের মহিমা কীর্তন করে । এটি একটি উপন্যাস যা প্রাঞ্জল ভাবে কুরু পাণ্ডব বংশের প্রত্যেকটি সদস্য কে সাধারণ মানুষের পর্যায়ে এনে তাদের দোষ গুণ বিশ্লেষণ করেছে। দ্রৌপদীর দুর্দশায় মন কেঁদে উঠেছিল পড়তে পড়তে। Mythological লেখা পড়তে ভালো লাগলে এই বই টি পরে দেখতে পারেন।

বই: দুর্যোধন
লেখক: হরিশংকর জলদাস
সবসময় তো পঞ্চপাণ্ডবকেই মহান আর দুর্যোধন আর তার ভাইদের খারাপের একসের ভেবে এসেছেন তাই না? আমিও তাই ভেবেছিলাম। এখন যে উল্টোটা ভাবছি তা বলব না, তবে একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে মহাভারতটা পড়ব একবার। তারপর এই বইটা পড়ার ইচ্ছে আছে। আমার কেন যেন মনে হয়, মহাভারত আসলে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যেমন এখানে দুর্যোধনকে লেখক নায়ক হিসেবে দেখিয়েছেন। 
শুধুই কি হরিশংকর জলদাসের চোখেই দুর্যোধন নায়ক? না। অনেকের চোখেই। একটা বইয়ের কম্পোজ করেছিলাম আমি অনেকদিন আগে। মূলত সেটা একটা প্রিন্ট আউট হওয়া বই ছিলো। ‘হাজার বছরের বাংলা’ নামের ওই বইটার কাজ করতে গিয়ে প্রতি লাইনে লাইনে মাথা ঘুরে গিয়েছে আমার। বইটা করার পর তো একদম ভেবেই নিয়েছিলাম আমি সংস্কৃত শিখব আর তারপর একদম অরিজিনাল মহাভারত পড়ব। সে ইচ্ছে অবশ্য গেছে। অমন বহু ইচ্ছেই আমার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আবার দুদিন পর ভুলেও যাই। যা হোক, ওই বইটার মাধ্যমেই জেনেছিলাম, লেখক বঙ্কিম চন্দ্র সেনও পাণ্ডবদেরই ভিলেন মনে করতেন। এমনকি তিনি ভিমকে ‘রক্তপ রাক্ষস’ বলেও অভিহিত করেছেন। 
মহাভারতের নাম তো সেই ছোটোবেলা থেকেই জানি। এরপর তখন কলেজে পড়ি বোধহয় বা স্কুল শেষের পথে। স্টার জলসায় মহাভারত সিরিয়াল শুরু হয়েছে দেখলাম। প্রবল আগ্রহ নিয়ে দেখেছি সেসময়। ভেবেছি কবে না কবে পড়তে পারব! দেখে নিই। মহাভারত পড়া হয়নি যদিও৷ তবে তখন পাণ্ডবদের বেজায় পছন্দ ছিলো আমার৷ আর এরপর মাথাটাই ঘুরে গেল। আমার ধারণা এই বইটাও মাথা ঘোরাবে আপনার। আর হরিশংকর জলদাসের লেখার ধাঁচ নিয়ে তো কারো কোনো প্রশ্ন থাকারই কথা না। চমৎকার লিখনশৈলী ওনার। 
ভালো হয়, মহাভারত আর দুর্যোধন পরপর পড়ে ফেললে। মহাভারত সম্পর্কে কোনো আইডিয়া না থাকলে এটা হয়ত বুঝতে পারবেন না। আর যদি মহাভারত আগেই জেনে থাকেন তাহলে বইটা পড়ে ফেলতে পারেন। আর পড়ার পর আমি জানি আপনি আবার মহাভারত পড়তে চাইবেন। 
(মহাভারতও কাব্যকথার ঘরেই পাবেন ইন শা আল্লাহ)
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?