দুনিয়া কি এবং কেন? গ্রন্থটির মূলভাষা আরবী । নাম কিতাবুয যুহদে । হিজরি তৃতীয় শতাব্দীর এক যুগশ্রেষ্ঠ ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের হাতে রচিত । তাঁর নাম ইমাম আবু বকর আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ কুরাইশী বাগদাদী ( রহ ) । সর্বমহলে তিনি ইবনে আবিদ্দুনিয়া নামে প্রসিদ্ধ । ২০৮ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । ইন্তেকাল করেন ২৮১ হিজরিতে । বাগদাদ তাঁর জন্মস্থান । তিনি জগৎখ্যাত একজন উঁচুমানের আলেম এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লেখকদের অন্যতম । তিনি অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করে গেছেন । উলামায়ে কেরাম তাঁর প্রাজ্ঞ রচনায় মুগ্ধ হয়েছেন এবং উচ্চ প্রশংসা করেছেন । একটি অবিস্মরণীয় এবং হৃদয়স্পর্শী গ্রন্থ কিতাবুয যুহদে । দুনিয়ার হাকীকত , স্বরূপ , চিত্র , অবস্থা , তাৎপর্য অতি চমৎকার ও নিপুণভাবে এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন এই খ্যাতিমান আলেম । দুনিয়া সম্পর্কে আল্লাহ , তাঁর রাসূল , সাহাবায়ে কেরাম , তাবেঈন , তাবে – তাবেঈনসহ সোনালী যুগের উলামায়ে কেরাম ও বিজ্ঞজনদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব মূল্যায়ন এ গ্রন্থে বিশদভাবে উল্লিখিত হয়েছে । তাই এ গ্রন্থের বাংলা নামকরণ করা হয়েছে দুনিয়া কী এবং কেন ? ‘ দুনিয়া নয় আখেরাতেই মুমিনের মূল লক্ষ্য’- এ শ্লোগানই উচ্চারিত ও উচ্চকিত হয়েছে এ গ্রন্থের প্রতি পৃষ্ঠায় , প্রতি শিরোনামে । মানুষের আসল ঠিকানা আখেরাত । তাকে দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে আখেরাতের পাথেয় সঞ্চয় করার জন্য মাত্র ।
কিন্তু মানুষ শয়তানের চক্রান্তে এবং দুনিয়ার মোহে মূল লক্ষ্য ভুলে গিয়েছে । দুনিয়ার রূপ – সৌন্দর্য , অর্থ সম্পদ , আনন্দ – বিলাস ইত্যাদিতে মজে গিয়েছে মানুষ । আখেরাত ভুলে সে আজ দুনিয়ার পিছে ছুটে বেড়ায় । ফলে মৃত্যুর পর তার জন্য নেমে আসবে সর্বনাশ । দুনিয়ার মোহের কারণে সে নিজেকে নিজে পরকালে দেখতে পাবে আগুনের অতল গহবরে ( জাহান্নামে ) নিমজ্জিত । মানুষ যাতে এ আত্মঘাতী পথে পা না বাড়ায় , আখেরাতকে মূল লক্ষ্য বানিয়ে তার জন্য মেহনত করে এবং দুনিয়ার মরীচীকার ধোঁকায় পড়ে আখেরাত নষ্ট না করে তার জন্যই এ গ্রন্থের অবতারণা । এই একই কারণে গ্রন্থটি অনুবাদ ও প্রকাশ করা হয়েছে । আল্লাহ পাক এ গ্রন্থটিকে কবুল করে নিন এবং একে আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ ও আখেরাতের নাজাতের উসিলা করুন।
Dunia Ki O Keno PDF Download
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?