বই-দুইশো তেরোর গল্প
লেখক-তাসনিয়া আহমেদ
প্রকাশনী -সতীর্থ প্রকাশনা
Review : Rehnuma Hasan Rupoma
পাঠ প্রতিক্রিয়া-
আমি আসলে রিভিউ লিখতে পারিনা,নিয়ম কানুনও জানিনা,প্রথম চেষ্টা আর কি!!🤣
যা লিখবো একান্তই মনের কথা,পড়ার পর আমার অনুভূতি..🥰
বইটা আসলে আমার গল্প,আমার মত আর সব ডাক্তারের গল্প,ওহ্ যারা আসলে হোস্টেলে থেকে মেডিকেল লাইফ পার করেছে তাদের গল্প..বইয়ের পরতে পরতে হোস্টেল লাইফের প্রায় বিস্মৃত কাহিনী গুলোর অবতারণা ছিল..তরু,অদ্রিজা,ইফা সবার সাথে কাঁদলাম, হাসলাম,মিলালাম..মনে হতে লাগলো,আরে বিভা তো ঠিক ওর মত,রিচি তো একদম এর মতো..আব্বু আম্মু যখন হোস্টেলে প্রথম রেখে আসলো,সেই অনুভূতি, সাথে শেষ চলে আসার দিনের সেই শূন্যতার অনুভূতি সবই পেলাম,আবার,প্রায় ৭ বছর পর!!!
শেষ করার পরও রেশ কাটছিলোনা,মাথার ভিতর চক্কর দিচ্ছিলো প্রতিটি মোমেন্ট..ক্যান্টিনে আড্ডা,ক্যাডেভার (মৃত লাশ,শিখানোর জন্য ব্যবহৃত) ধরে পরীক্ষা দিয়ে হাত না ধুয়েই সিংগাড়া খেয়ে ফেলা,প্রতিটি আইটেম, কার্ড প্রফের আগের বিভীষিকাময় রাত গুলি,মগের পর মগ কফি সাবাড়,মুভি নাইট,খিচুড়ি নুডুলস রান্না,একেকজনের ব্রেকআপ/ঝগড়া /পরীক্ষা ফেইলের জন্য সবাই মিলে স্বান্তনা দেয়া,থার্ড ইয়ারে স্টেথো কাঁধে ডাক্তার হবার সিউডো সুখানুভূতি,ওয়ার্ডে পেশেন্ট ডিলিং,প্রফেসরের ঝাড়ি আর প্রেম!!!
কি না ছিলো বাকি মনে করানোর!!
তবে ৭বছর আগের স্বপ্নগুলো অনেকটাই অধরা রয়ে গেছে তাই বইটা শেষ করার পর দীর্ঘশ্বাস টাও দীর্ঘই ছিল.. নস্টালজিয়ায় ডুবে যেমন গিয়েছিলাম তেমনি নিজের অপ্রাপ্তি গুলোও কষ্ট দিয়েছে খুব..জানিনা মেডিকেল পার্সন ছাড়া বইটার মর্ম সবাই কত ভালো বুঝতে পেরেছে, বাট এটা একটা মাস্টারপিস!!
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?