বই : দিমেন্তিয়া PDF Download Unavailable
লেখক : এম.জে. বাবু
প্রকাশনা : গ্রন্থরাজ্য
প্রকাশকাল : ২০২২
রেটিং : ৪/৫
প্রতিশোধের আগুন সম্ভবত আগুনের রঙ থেকেও গাঢ়।
আসমানকে এক কথায় একটা অন্ধকার জগতের উপাখ্যান বলা যায়। একটা সাইকোর প্রতিশোধের অভিশাপ কী জগণ্য হয়ে নেমে আসে মানুষের উপর, তা নিয়েই দিমেন্তিয়া।
ঢাকা শহরে এক সকালে পাওয়া গেল সাত টুকরো করা এক মেয়ের লাশ। পচে আছে লাশটা। লাশটার অবস্থা দেখেই সেখানেই পোস্ট মর্টেম করতে হয়। ভিক্টিমের অবস্থা দেখে ডাক পড়ে সিআইডি অফিসার শফীর। ভিক্টিমকে পোস্ট মর্টেমের পরে যখন আরেকবার ল্যাবে নেয়া হয় তখন জানতে পারে বেশ ভয়াবহ কিছু তথ্য। ভিক্টিমকে করা হয় অকথ্য নির্যাতন আর প্রতিটা অঙ্গ আলাদা করার সময় ভিক্টিম জীবিত ছিল। এই কেস বুঝে উঠার আগেই আরেকটা লাশ পাওয়া যায়। মোডার অপারেন্ডি একই রকম। পুলিশের টনক নড়ল এবার। বুঝতে পারল সিরিয়াল কিলিং চলছে। এভাবেই বাড়তে থাকলো লাশের সংখ্যা। পাশাপাশি বাড়ছে শফী আর দানিয়ালের উপর চাপ। তারা কি পারবে খুনিকে থামাতে? লাশের মিছিল কমাতে? জানতে হলে পড়তে হবে এম.জে. বাবুর দিমেন্তিয়া।
এক রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বইটা, যার প্রতি পাতায় পাতায় উত্তেজনায় ঠাসা। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হিসেবে প্লটের মান ধরে রেখেছেন লেখক। যথেষ্ট ক্লিফ হ্যাংগার দিয়ে পাঠককে গল্পে থাকতে বাধ্য করেছেন। তবে লেখনশৈলী আরেকটু ভালো হলে দিমেন্তিয়া একদম বেশ সুস্বাদু বই হতে পারত। কিছু জায়গায় ডিটেইলিং এর অভাব রয়েছে।
প্লটের বিচার বলে একটা কথা আছে। লেখক প্লটের বিচার করেছে। ১০০% ব্যবহার করেছেন প্লটকে। গল্পটা একদম মেদহীন, ঝরঝরে। পড়তে গিয়ে আরাম পেয়েছি অনেক। মাত্র দুই বসায় ৩৫২ পেইজের বইটা শেষ করে উঠি আমি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পের এক্সিকিউশন। আমার মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এটা। অনেকেই দুর্দান্ত শুরু করলেও এক্সিকিউশন প্রোপারলি করতে পারে না। দিমেন্তিয়ার এক্সিকিউশনটা ক্লিসে প্লটকে ডিফারেন্ট বানিয়েছে এবং এনজয়েবল করে৷ কমতি বলতে ডিটেইলিং এর কারণে ইমোশনাল কানেক্টেড হতে পারিনি চরিত্রের সাথে বা দৃশ্যের সাথে। বাট চিলিং আর গুস বাম্প দেয়া দৃশ্য ছিল অনেক। এক কথায় উত্তেজনায় ঠাসা এক বই দিমেন্তিয়া। প্রথম ৮০ পেইজে প্রুফের ঝামেলা আছে। তারপর চোখে পড়েনি কিছু।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?