দাওয়াম বই pdf download – প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান | Dawam book pdf

dawam.jpg

Product Specification Dawam eBook PDF

Title দাওয়াম
Author প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান
Publisher মেধা বিকাশ প্রকাশন
Quality পিডিএফ / PDF Download Free
ISBN 9843114260
Edition 1st Published, 2016
Number of Pages 240
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
“দাওয়াম” একটি বহুল আলোচিত বইয়ের নাম, প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান রচিত “দাওয়াম” বইটি ইতিমধ্যেই রকমারি বুক শপে #৪ নম্বর বেস্টসেলার এর যায়গা দখল করে নিয়েছে। এ বইটির ভূমিকায় লেখক বলেন,
আমি ১৯২৬ সালের ২৬ অক্টোবর তুরস্কের সিনপ শহরে জন্মগ্রহণ করি। বাবার নাম মেহমেদ সাবরি এরবাকান। মা খামের ছিলেন সিনপ শহরেরই এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে।
সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে হর-হামেশা বদলি হতে থাকা বাবার সাথে আমার শৈশব-কৈশোর কাটে একটি ভ্রাম্যমাণ পরিস্থিতিতে। বাবা ট্রাবজনে বদলি হওয়ার আগেই আমি কায়সেরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করি। ১৯৪৩ সালে ইস্তাম্বুল বয়েজ কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর শেষ করি।
উচ্চশিক্ষার শুরুতেই ভর্তি হয়েছিলাম ইস্তাম্বুল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ভর্তি পরীক্ষার প্রচলন না থাকলেও বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরাসরি ২য় বর্ষের ক্লাস থেকেই শুরু করেছিলাম। ১৯৪৮ সালে স্নাতক শেষ হতে না হতেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষানবিস শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। এখানে যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদের অটোমোবাইল বিভাগ ছিল আমার কর্মস্থল।
১৯৫১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জার্মানির বিখ্যাত Aachen Technical University-তে পাঠানো হয়। সেখানে জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য প্রতিষ্ঠিত DVL গবেষণা কেন্দ্রে প্রফেসর স্কিমিড (Schmidt)-এর সাথে কাজ করেছি। দেড় বছরের এই গবেষণা কাজে আমার দায়িত্ব ছিল একটি থিসিস প্রস্তুত করা। নির্দিষ্ট এ সময়ে আমি তিনটি থিসিস পেপার প্রস্তুত করি। জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডক্টরেট ডিগ্রি আমি এখান থেকেই লাভ করি। আমার প্রস্তুত করা এ থিসিস পেপার জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর তারা এটিকে খুব মূল্যায়ন করেন। কীভাবে কম জ্বালানি ব্যয়সম্পন্ন গাড়ি তৈরি করা যায় সে ব্যাপারেও একটি থিসিস প্রস্তুত করার জন্য আমাকে অনুরোধ করা হয়। সে মোতাবেক How the Fuel Injected in the Diesel Engines Explantions in Mathematically এই শিরোনামে একটি থিসিস প্রস্তুত করি। আমার এ থিসিস বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরই জার্মানির তৎকালীন সর্ববৃহৎ ইঞ্জিন ফ্যাক্টরি ডয়েজের (Deutz) ইঞ্জিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. ফ্লাটস (Flats) লিওপার্ডো ট্যাংকের ইঞ্জিন বিষয়ে কাজ করার জন্য তার ফ্যাক্টরিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানান। আমার ডক্টরেট থিসিস এ বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় সেখানকার গবেষণা কাজে আমাকে প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রযুক্তিগত দিক থেকে লিওপার্ডো ট্যাংকটিতে অনেক সমস্যা ছিল। এর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রক্রিয়াটিও ছিল বেশ জটিল। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় জার্মানদের এই লিওপার্ডো ট্যাংকগুলোর জ্বালানি জমে গিয়ে ট্যাংকগুলো অকেজো হয়ে পড়েছিল। লিওপার্ডো যাতে প্রতিকূল পরিবেশেও সচল থাকে এবং জ্বালানি যাতে কোনোভাবেই জমে না যায় সেজন্য নতুন জ্বলনপদ্ধতি (Ignition System) উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আমরা সফলতার সাথে এ কাজ সম্পন্ন করি।
এ সময় জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত রুহুর (Ruhr) নামক অঞ্চলের কারখানাসমূহের ওপর গবেষণার কাজে একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হওয়ার জন্য আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সবেমাত্র শেষ হয়েছে। জার্মানির অবস্থা এমন ছিল যে, কোনো একটি বিল্ডিংও সম্পূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে ছিল না। জার্মানি তার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম নতুন করে শুরুর সময় আমি জার্মানিতে তাদের এ কার্যক্রম স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। এসব কর্মকাণ্ড ছাড়া জার্মানিতে রুহুর (Ruhr) অঞ্চলে যে কারখানাগুলো দেখেছি, সেগুলোর অভিজ্ঞতা, পরবর্তীতে তুরস্কে ভারি শিল্পায়ন ও নগরায়ণের কাজে আমার জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করে।

Dawam Book PDF Download Free

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?