তাওহীদের বিশ্বাস পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী

তাওহীদের বিশ্বাস পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। 

পারমাণবিক বোমে সবাই ভীত হতে পারে কিন্তু তাওহীদে বিশ্বাসী মানুষের মনে ভাবান্তরও সৃষ্টি হয় না, ভয় তো অনেক দূরের  কথা। 

—————————————
▶ তাওহীদ:
মানুষের ইবাদতের একমাত্র হক্বদার মহান আল্লাহ। মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অত্যাচার। 

আমাদের দেশে তাওহীদ নাই বললেই চলে। আমরা তাওহীদ কী তাও বুঝি না। 
আমাদের সমাজ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। হিন্দুদের সাথে আমাদের সমাজ মিশে গেছে। 
তাবীয-ক্ববয, পীরের কবর, নেতার কবর, ছবি-মূর্তি, রাশিফল, ভাগ্য গণনা আমাদের আধুনিক ও গ্রাম্য উভয় সমাজের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। শিরকের সাগরে ডুবে থাকা এক অজ্ঞ সমাজ। 
তাওহীদ ভালোভাবে জানা ও বুঝার জন্য প্রতিটি পাঠকের উচিত  শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের লিখা কিতাবুত তাওহীদের বাংলা অনুবাদ অধ্যয়ন করা।
আত্মিক প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস, সাহস, শত কঠিন পরিস্থিতিতেও হিম্মত না হারানো, বিপদ-আপদে সীমাহীন ধৈর্য সবকিছুর মূল প্রকৃত তাওহীদ। হতাশা, হীনমন্যতা নামক রোগের সর্বশ্রেষ্ঠ ওষুধ তাওহীদ। 
তাওহীদের বিশ্বাস পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। পারমাণবিক বোমে সবাই ভীত হতে পারে কিন্তু তাওহীদে বিশ্বাসী মানুষের মনে ভাবান্তরও সৃষ্টি হয় না, ভয় তো অনেক দূরের  কথা। 
এই জন্য মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাওহীদ। 
ইয়াহূদী-খ্রীস্টানরা মুসলমানদের তাওহীদকে যমের মতো ভয় পায়। 
আজ মুসলমানরা দ্বারে দ্বারে মার খাচ্ছে তাওহীদের দুর্বলতার কারণে।
তাওহীদ সকল সফলতার মূল চাবিকাঠি। 
রাসূল সাঃ বলেন,
“তোমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলো, সফলকাম হবে!”
(মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৬৫৪) 
এই সফলতা দুনিয়া-আখিরাত উভয়ক্ষেত্রের সফলতা। দুনিয়ার সফলতার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে দুটি বিষয়ের ওয়াদা করেছন। ক. ক্ষমতা। খ. ধন-সম্পদ। তিনি বলেন,
“জনপদগুলোর লোকেরা যদি ঈমান আনত আর তাক্বওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের জন্য আসমান আর যমীনের কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম কিন্তু তারা (সত্যকে) প্রত্যাখ্যান করল। কাজেই তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে পাকড়াও করলাম।”
(আ’রাফ, ৯৬)।
মহান আল্লাহ আরও বলেন,
মহান আল্লাহ ওয়াদা করেছন
“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে খিলাফাত দান করবেন যেমন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে তিনি খিলাফাত দান করেছিলেন এবং তিনি তাদের দ্বীনকে অবশ্যই কর্তৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করবেন যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতিপূর্ণ অবস্থাকে পরিবর্তিত করে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ‘ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে আমার শরীক করবে না। এরপরও যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করবে তারাই বিদ্রোহী, অন্যায়কারী।”
(নূর, ৫৫)।
তাওহীদের বিশ্বাস একটা জাতিকে যেমন ধন-সম্পদ দিতে পারে তেমনি ক্ষমতাও দিতে পারে। 
সঊদীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার মূল কারণ তাওহীদ। 
বই: রিযিক্ব
লেখক: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল রাযযাক
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?