তাঁর কালামের মায়ায় – মুহাম্মাদ সাজেদুল ইসলাম | Tar Kalamer Mayay Boi PDF

  • বই : তাঁর কালামের মায়ায়
  • লেখক : মুহাম্মাদ সাজেদুল ইসলাম
  • প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
  • বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা
  • পৃষ্ঠা : 200, কভার : পেপার ব্যাক, 
  • সংস্করণ : 1st published 2020

বই নিয়ে আমার ভাবনা

পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তারকারী বহু গ্রন্থ রয়েছে, তবে কোন গ্রন্থ একটা সভ্যতাকে আগাগোড়া নতুন মাত্রা দিয়েছে, বদলে দিয়েছে তার শত শত বছরের ধ্যান ধারণা, রীতি-নীতি, আমূল পরিবর্তন এনেছে তার কৃষ্টি-কালচারে—কুরআন ব্যতীত এমন নজির আর কোন গ্রন্থের বেলাতে ঘটেনি।
কুরআন জয় করেছে সভ্যতা, জয় করেছে সময় এবং সর্বোপরি মানুষের মন। মানব হৃদয়ে এর প্রভাব এতো সুদূরপ্রসারী যে—চরম শত্রুও তার স্পর্শে পরম বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। কুরআন হৃদয়ে আনে বসন্তের আবহ, মরা গাঙে জাগিয়ে তোলে স্রোতের জোয়ার। তার মর্মস্পর্শী কথামালা, ঝংকার-ধ্বনি মুখরিত তার শব্দ সম্ভার এবং বিষয় গভীরতায় তার এমন অপূর্ব অসাধারণ বিন্যাস যেকোন মানুষকে বিমোহিত, মুগ্ধ এবং বিস্মিত করে। তার জাদুস্পর্শী সুর আর লহরী মনকে উথাল-পাতাল করে দেয়।
যুগে যুগে, কালে কালে কুরআনের স্পর্শে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে বহু মানবাত্মা। কতো কুৎসিত, কদর্য হৃদয়কে কুরআন বানিয়েছে মহীয়ান তার হিশেবে নেই। কুরআন এমন এক অদৃশ্য আলো ফেরি করে যা হৃদয়ের অন্ধকারকে দূরীভূত করে তাকে করে তুলে শুভ্র-সফেদ।
কুরআনের স্পর্শে অতীতে বহু মানবাত্মা যেমন করে খুঁজে পেয়েছে জীবনের স্বাদ, বর্তমানেও বহু পথহারা, দিকহারা মানবকে কুরআন এক শুভ্র জীবনের সন্ধান দিয়ে যায়, এবং কিয়ামত অবধি কুরআন এভাবেই তার মাহাত্ম্য বিলিয়ে যাবে। কুরআন তার ঐশ্বর্য, তার হৃদয়কাড়া আহ্বান, অন্তরে ঝড় তোলা শব্দ ঝংকারে আজও মানুষের হৃদয়ে চিহ্ন রেখে যায়। আজও অশান্ত হৃদয় তার সুর-পিয়ালা পানে শান্ত হয়, আজও দিগ্বিদিক শূন্যে ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরে মানুষকে কুরআন নীড়ে ফিরিয়ে আনে।
কুরআন অন্তরের রোগ নিয়ে কাজ করে যার মহৌষধ আসমান থেকে নাযিল হওয়া।
কুরআনে যারা পথ খুঁজে পেয়েছে, কুরআন যাদের দিয়েছে পথের দিশা, দূর করেছে হৃদয়কোণে জমে থাকা অন্ধকার, ‘তাঁর কালামের মায়ায়’ তেমন কিছু মানুষের আবেগ আর নতুন জীবন আস্বাদনের উপাখ্যান। জীবনের চলতি পথে কুরআনকে সাথী করে যারা মিশে যাচ্ছে মহাকালের মহাপবিত্র জীবন-স্রোতে, বইটি তাদের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার সম্মিলিত প্রয়াস। আলোর পথে হাঁটতে চাওয়া মানুষগুলো কীভাবে আলোকে চিনতে শিখেছেন, কীভাবে দূর করেছেন হৃদয়ের কালিমা, শত ঝড় আর ঝঞ্চাটে কীভাবে তারা আঁকড়ে ধরে আছেন সেই মহা পবিত্র জীবনকে, ‘তাঁর কালামের মায়ায়’ আমাদের সেসব গল্প শোনাবে।
‘তাঁর কালামের মায়ায়’ নতুন জীবনে অবগাহনের এক অনন্য উপাখ্যান। এই নতুন জীবন আমাদের সকলের জীবনে এসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকুক…
– আরিফ আজাদ।

সংকলকের জবানবন্দী

বছরখানেক আগের কথা। সবে আমার প্রথম সংকলিত বইয়ের কাজ শেষ করে উঠেছি। এরইমাঝে হুট করে একদিন এক ভাই জানালেন—নিজ জীবনে কুরআন অধ্যয়ন এবং তার প্রভাব নিয়ে অনেকদিন আগে তিনি একটি সংকলনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের কথা, সে-কাজ বেশিদূর এগোয়নি। কাঙ্ক্ষিত লেখকদের থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ভীষণ হতাশ হয়ে সে-কাজের ইস্তফা দিলেন। এই কথপোকথনের আরও বেশ কদিন পর একদিন আমিই যেচে ভাইকে জানালাম সেই অসমাপ্ত কাজটা আমি সমাপ্ত করতে আগ্রহী। ভাইটিও খুব উৎসাহ আর সাহস দিয়ে বললেন, ‘আপনি পারবেন, কেননা এর আগে এরম একটা কাজ আপনি করে দেখিয়েছেন।’ হেন আশাব্যঞ্জক বাণী আমার মনের মাঝে নওল আশার খোয়াব দেখায়।
এই বইটির লেখাগুলো সংকলন কালে বহু বন্ধুর সময় গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন কারণে থেমে গিয়েছিল বহুবার এই বইয়ের কাজ। এমনও সময় গেছে যে একসময় বলতে বাধ্যই হয়েছিলাম—এই বই হয়তো-বা আর আলোর মুখ দেখবে না!
আর ঠিক সেই সময়গুলোতেই শেখ আসিফ ভাই আলো হয়ে এলেন যেন। বারবার মনে করিয়ে দিতেন—’আল্লাহ আজজা ওয়া জাললা যদি চান, তবে নিশ্চয়ই একদিন বইটি পাঠকের হাতে শোভা পাবে।’
অবশেষে, মহা-মহিম রব হয়তো-বা সত্যিই বইটি কবুল করে নিয়েছেন। ফালিল্লাহিল হামদ। কুরআনের আঁচে জীবনের গতিপথ পরিবর্তন, কুরআনের দর্পণে ভাবনার লালন, যাপিত জীবনের বাঁকে-বাঁকে কুরআনের শামিয়ানায় আশ্রিত হওয়া। মোদ্দা কথা, অনুভবে-অনূভূতিতে কুরআন নিয়ে আত্মকথনের একগুচ্ছ গল্প কাহিনি নিয়ে সংকলিত হয়েছে ‘তাঁর কালামের মায়ায়’ বইটি।
মূলত যারা কুরআন থেকে হিদায়াতের নূর তনুমনে মেখে নিয়েছেন, জীবনের নানা বাঁকে সেই নূরকে উপলব্ধি করেছেন, প্রতিনিয়ত অনুভবে ঋদ্ধ করে চলেছেন সেই নূরকে— তাদের ভাবনাগুলোকে কলমে নিয়ে আসার ক্ষুদ্র একটা প্রচেষ্টা করা হয়েছে আলোচ্য বইখানিতে।
এই পৃথিবীটাকে কেন জানি আমার কাছে এক অদ্ভূত মায়াপুরী বলে মনে হয়। যে কিনা প্রতিনিয়ত অজস্র মায়ার জাল বিছিয়ে এই ধরাধামের মানুষগুলিকে প্রকৃত মায়া তথা রবের মায়া থেকে বেমালুম ভুলিয়ে রাখছে। এদেরই মধ্যে কেউ অর্থের, কেউ মাদকের, কেউ-বা আবার নারীর মায়ায় বুঁদ হয়ে আছে। পার্থিব এ সমস্ত বস্তুর মায়াকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণির মানুষ আরশের রবের মায়ায় নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে। তাঁর কালামের মায়ায় মজে গোটা জীবনপটকে বর্ণাঢ্য রঙে রাঙিয়ে চলেছে।
আচ্ছা, কেমন হতো যদি আমাদের হৃদাকাশকে কালামুল্লাহর শুভ্র প্রলেপনে রাঙিয়ে দেয়া যেতো? ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির পর যেমন গোটা আকাশপট রামধনুর সাত রঙ মেখে এক অপূর্ব সুষমার সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি যদি কুরআনের আবিরে হিয়াকাশের হরেক রকমের রূপ-বিভায় ভরপুর করে দেয়া যেতো, তাহলে কেমন হতো? গোটা হৃদাকাশটাই যদি কুরআনের শামিয়ানা হয়ে ওঠতো, তবে কেমন হতো?
নিড়াক পড়া গুমোট দুপুরের ভ্যাপসা গরমে মনটা কি একটু বিষিয়ে ওঠে না? বড্ড অস্থিরভাব ভর করে না? ঠিক তখন কি একরাশ নির্মল বায়ুর পরশ পেতে ইচ্ছে জাগে না? শিহরণ জাগানো দু’ফোঁটা বৃষ্টির স্পর্শ পেতে দেহখানি একটু আকুপাকু করে না তখন? — জীবনের বন্ধুর সময়গুলোতে তাঁর কালামের পরশও তেমনি এক চিলতে প্রশান্তির প্রলেপন দিয়ে যাবে ব্যথাতুর হৃদয়ে।
নিমিষেই অস্থির হৃদয়কে বদলে দিবে নিটোল সরোবরে। সমগ্র হিয়াজুড়ে বিরাজ করবে তখন প্রশান্তির এক শুভ্র মেঘমৌলী।
তাঁর কালামের মায়ায় পড়ার জন্য রবের কথামালাকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হয়। তোতাপাখির মতো কেবল গড়গড় করে পড়ে গেলেই হয় না, যা পড়া হচ্ছে যেকোনো বোধগম্য ভাষায় তা মননে গেঁথে নিতে হয়। সবচে ভালো হয়— কুরআন যে ভাষায় নাজিল হয়েছে সেই ভাষাটাই শিখে ফেলা। তবেই কিনা কুরআন পাঠের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করা যাবে; অন্তর দিয়ে তাঁর কালামের মর্ম বোঝা যাবে; তাঁর কালামের মায়ায় পড়া যাবে।
বেলা প্রায় ফুরিয়ে এলো বলে। অথচ এখনও হিয়ার বাঁধনে বেঁধে ওঠতে পারিনি তাঁর কালামখানি। পাড়ি জমাতে হবে এখনও বহু দূর অবধি। বেলা ফুরালেও ওপারে আমার রব নিশ্চয় আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। কবুল করে নিবেন তাঁর কালামের মায়ার—নিরবধি এ আশায় অন্তরে লালন করি।
তাঁর কালামের মায়ায় টানে সবুজাভ কাননের পানে ছুটে চলব আমরা। যাপিত জীবনের আঁধারে চাপা পড়ে যাওয়া বাঁকগুলোকে তাঁর কালামের বিভায় রাঙিয়ে দিব আমরা। গোটা জীবনভর তাঁর কালামের মায়ায়ই কাটিয়ে দিব এই আমরাই।
আল্লাহ আজজা ওয়া জাললা বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম বিনিময় দান করুন। বিশেষত, শেখ আসিফ এবং রাজিব হাসান ভাইদ্বয়কে অতি উত্তম বিনিময় দান করুন। আমিন।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের হৃদয়ের মধ্যমণি নবি মুহাম্মাদ (সা.), তাঁর পরিবার ও সাহাবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এর ওপর; এবং সকল তারিফ কেবল মহিয়ান-গরিয়ান রবের তরেই।
বান্দা মুহাম্মাদ সাজেদুল ইসলাম রবিউল আউয়াল, ১৪৪২।
জীবনে কত কত বই পড়লাম, কত বইয়ের পাতায় আমগ্ন ডুবে রইলাম, কত লেখকের দুর্দান্ত লেখা পড়ে চমকিত হলাম, কত নামি-দামি কবিদের লিখনশৈলীতে মন রাঙালাম, অথচ আমাদের মহান স্রষ্টা যে পবিত্র কিতাবখানি পাঠালেন দুনিয়ার বুকে, যে কিতাবে কোনো ভুল নেই, ভ্রান্তি নেই, আছে একগুচ্ছ সারকথা; যে কিতাব অধ্যয়ন আর অনুসরণে প্রশান্তি এসে ভীড় করে হৃদয়-বাগিচায়, পথহারা সব দিগভ্রান্ত মানুষ পেয়ে যায় পথের দিশা, যে কিতাবের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে অনন্য এক সাহিত্যসম্ভার, যে কিতাব প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাশার কথা বলে, পাপ-পুণ্য ও জ্ঞানের কথা বলে, বিজ্ঞানের নিখুঁত ও নিগূঢ় তত্ত্ব আলোচনা করে, যে কিতাব অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি-সহ পৃথিবীর সকল নীতির সুন্দর সমাধান দেয়,
যে কিতাব কেবল মুসলিমদের জন্য নয় বরং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য অবতীর্ণ, সে কিতাব পাঠে আমাদের যত আপত্তি আর ব্যস্ততা, সময় না পাবার হাজারো মিথ্যে অজুহাত, অথচ নিছক দুনিয়াবি পড়াশোনায় আমাদের কতই না তোড়জোড়, কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে ফেলি এক লহমায়, দিনভর ছুটে চলিমরীচিকার পেছনে, সারা রাত কেটে যায় দুশ্চিন্তা আর অনিদ্রায়, ভুলে থাকি আমাদের পরম প্রভুকে, দূরে সরিয়ে রাখি তাঁর দেয়া পবিত্র কালাম, হারিয়ে ফেলি জীবনের লক্ষ্য, নিমজ্জিত হই পাপ আর পঙ্কিলতায়; কিন্তু না, এমন জীবন তো চাই না কস্মিনকালেও, যে জীবনের ব্যস্ততা আমাদের আল্লাহবিমুখ করে দেবে বরং এমন জীবনের প্রত্যাশী আমরা সকলে, যে জীবন আমাদের দ্বীনের পথে এগিয়ে নেবে, ঠিক সময়ে সালাত আদায়ের প্রেরণা জোগাবে, প্রতি মুহূর্তে সত্য আর সুন্দরের সাথে পরিচয় করাবে, যেসব কাজে মহান রব অনেক বেশি খুশি হন, তাঁর করুণার ফল্গুধারা বয়ে চলে আমাদের ওপর, জান্নাতের দরজাগুলো এক এক করে খুলে যায়, সেসব কাজই আমরা আনন্দচিত্তে করে যাব আজীবন।

অনুভুতিতে কুরআন
রাজিব হাসান

যেদিন থেকে আমি বুঝতে পারলাম, আমার হাসি, আমার কান্না, আমার সুখে থাকা, আমার দুঃখে থাকা—এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে, সেদিন থেকে আর আমার খারাপ লাগে না। দুনিয়ার পাওয়া না পাওয়ার হিসাবের প্রতি তখন আর কোন আগ্রহই কাজ করেনা। সূরা নাজমের ৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এ কথাটিই ইরশাদ করেছেন। তিনি বলেছেন,
“আর নিশ্চয়, তিনিই হাসান এবং তিনিই কাঁদান।”
এই একই কুরআন আমাকে নবি ইউসুফ ও তাঁর পিতা ইয়াকুব (আ.) এর মতন সবর করতে শেখায়। সালাত ও সবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইতে শেখায়।
কুরআনের এই সত্যবাণী বুকে ধারণ করে আমি সুঃখ-দুঃখ আর হাসি কান্নার পাঠ চুকিয়ে ফেলেছি, বেশ আগেই। গলে পড়েছি দিন বদলের মালা।
সুরা ইনশিরাহর দরদমাখা আহ্বানে কবর রচনা করি জাহিলিয়াতের অসহ্য জীবনের। আমার অশান্ত হৃদাকাশে পতপত করে উড়তে থাকে প্রশান্তির সবুজ নিশান। মরীচিকা জীবনকে আজীবনের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেই, “কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ।” এই আয়াত বুকে ধারণ করে।
আল্লাহর রং গায়ে মেখে নিলে যদি কেউ চোখ রাঙিয়ে তেড়ে আসে, তখন চোখ মুছতে মুছতে সূরা ফজরের শেষ কয়েকটি আয়াতে মনোনিবেশ করলে অশান্ত হৃদয় প্রশান্ত হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর কালামে ইরশাদ করেন –
“হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে আসো সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও। আর আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।”
[সুরা আল-ফজর, ৮৯:২৭-৩০]
আহ! আল্লাহর বান্দাদের জন্য কতই না সুন্দর প্রাপ্তি। দুনিয়ার অপ্রাপ্তিগুলো চরম সুখের জান্নাতের সুসংবাদে বিলীন হয়ে যায়।
দুনিয়ার লোভ পেয়ে বসলে নিজেক গুটিয়ে নেই সূরা আলার শেষের দিকের আয়াতগুলোকে বুকে ধারণ করে। সেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন –
“বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দাও, অথচ আখিরাতই উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।”
[সুরা আল-আ’লা, ৮৭:১৬-১৭]
এই শরট আর্টিকেল টি ভাল লাগলে অবশ্যই বইয়ের অরজিনাল কপি সংগ্রহ করুন।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?