- বই : ডিজাইন ইওর লাইফ – রিভিউ + ফ্রি পিডিএফ কপি
- বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
- পৃষ্ঠা : 248, কভার : হার্ড কভার,
- আইএসবিএন : 9789849574330,
- সংস্করণ : 1st Published, 2021
- লেখক : আরিফ হৃদয়
- প্রকাশনী : শব্দশৈলী
- ভাষা : বাংলা
পরিকল্পনামতো সবকিছুই চলছে, আমি এখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু জীবনটা খুব একঘেয়ে হয়ে গেছে। শহরের অলিগলি, পাহাড়, বন জঙ্গল, নদী নালা, খাল-বিল কিছুই বাকি নেই, একই জায়গায় বহুবার যাওয়া হয়ে গেছে। কয়েকদিন শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়েছিলাম, তাতে কোনো লাভ হয়নি বরং একঘেয়েমি আমার নিত্যদিনের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। কি যেন নেই কি যেন নেই এমন অবস্থা।
একদিন আনমনা হয়ে রাস্তায় হাঁটছি, হঠাৎ একটা বইয়ের দোকান চোখে পড়ল। চিন্তাভাবনা ছাড়া ঢুকে পড়লাম। অনেক বড় একটা বুক স্টোর, মনে হচ্ছে বইয়ের সাম্রাজ্য। সেদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সেখানেই কাটিয়ে দিলাম। হাজার হাজার অজানা বই দেখছি, হাতে নিচ্ছি, পাতা উল্টাচ্ছি। ভিন্ন এক ধরনের অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করেছে বলেই সারাদিন পার হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
স্কুল ছুটির সময় বাসায় ফিরে গেলাম। কিন্তু বইগুলো আমার চোখে ভাসছে। যাই করি মাথায় বই ঘুরে। গোসল, খাওয়া, ঘুম সব জায়গাতেই বই ঘুরঘুর করছে। পরদিন সকালে আবার চলে গেলাম বুক স্টোরে। আগের দিনের মতো একইভাবে বই দেখছি আর পাতা উল্টাচ্ছি, একইভাবে দিন পেরিয়ে গেল। দিনশেষে তিনটা বই বাছাই করে সর্বমোট মূল্য হিসাব করলাম। হায় হায় একি কাণ্ড! তিনটা বইয়ের সর্বমোট মূল্য ৭০০ টাকার বেশি!
অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লাম, সমাধান বের করতে হবে। এই মুহূর্তে পকেটে যা আছে তা দিয়ে একটা বইও পাব না। হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে এসেছি। এতো দেখি মহাযন্ত্রণা! সারাক্ষণ মাথায় বই ঘুরছে, সমাধান বের করতে হবে। সেদিন রাতেই পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে স্টিলের জ্যামিতি বক্সের ভেতরে রাখা আমার সারা জীবনের সঞ্চয় হিসাব করলাম। সেখানেও সীমাহীন হতাশা। স্কুল পালিয়ে ঘোরাফেরা করতে করতে ব্যাংক ব্যালেন্স সব শেষ। খুচরা কয়েনসহ হিসাব করে দুই হাজার টাকার মতো মিললো।
পরদিন সকালে আমার শেষ সম্বল নিয়ে বইয়ের দোকানে হাজির হলাম। বিকাল পর্যন্ত বইয়ের দোকানে ঘুরঘুর সর্বমোট এগারোটা বই বাছাই করে বিক্রেতার সামনে হাজির। তাকে খুব ঠান্ডা মাথায় আমার পরিস্থিতির ব্যাপারে ধারণা দিলাম এবং আমাকে যাতে যতটুকু সম্ভব ততটুকু ডিসকাউন্ট দেয়া হয় তার জন্য অনুরোধ করলাম। যেহেতু দোকানে মাছি ছাড়া আর তেমন কারো
আনাগোনা নেই সেহেতু বিক্রেতা আঙ্কেল মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনলেন।
কয়েক মুহূর্ত পরেই ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশ হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠল। আঙ্কেল জানালেন উনি আমার জন্য অন্য ব্যবস্থা করবেন। বইগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পড়ে সম্পূর্ণ ফ্রেশ অবস্থায় ফেরত দিলে উনি তার পরিবর্তে আমাকে নতুন বই নেয়ার সুযোগ দিবেন। কিন্তু শর্ত একটাই শুধু শতভাগ ফ্রেশ বই ফেরত নেয়া হবে, বইয়ের কোনো পাতাও ভাঁজ করা যাবে না, এবং বইয়ের দাম থেকে কিছু অংশ ভাড়া হিসেবে কেটে রাখা হবে। হায় হায় একি কাণ্ড! আমি মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম কিছু আম, কিন্তু পরম করুণাময় ও মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে পুরো একটা আম গাছ দিয়ে দিলেন!
তখন থেকেই বইয়ের রাজ্যে বসবাস শুরু। স্যারের বাসায় ৯০ মিনিট পড়াশোনা এবং বাকি সময়টা বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকা। নদীর পাড়ে, সমুদ্রের পাড়ে, বাসায়, বারান্দায়, ছাদে পানির ট্যাঙ্কের উপর, কখনও শুয়ে, কখনও বসে, বা কখনো হেঁটে হেঁটে বই পড়ি। দিনে কমপক্ষে একটা করে বই শেষ করছি। ব্যাংক ব্যালান্স যা হয় সব বইয়ের ফান্ডে চলে যায়। এভাবে দিন সপ্তাহ মাস বছর পেরিয়ে গেছে।
বইয়ের পাশাপাশি নতুন করে ইন্টারনেটের প্রেমে পড়ে যাই। সাইবার ক্যাফেতে এবং মামার বাসায় ইন্টারনেট নামক জাদুকরি জিনিসটা নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল। গুগল নামক ওয়েবসাইটে গিয়ে মনে যা আসে তাই জিজ্ঞেস করি। প্রশ্ন করার সাথে সাথেই গুগল উত্তর দেয় “আধা সেকেন্ডে পুরা ১০ কোটি উত্তর খুঁজে পেয়েছি, নাও এগুলো নিয়ে তোমার যা ইচ্ছা করো।” একি কাণ্ড! একি কাণ্ড! আম খুঁজতে গিয়ে আবার পুরো আম গাছ পেয়ে গেলাম। সেই থেকে ইন্টারনেট নামক মহাসমুদ্রে কম্পিউটার নামক জাহাজ ভাসিয়ে বিচরণ শুরু করলাম।
এসএসসি পরীক্ষা
নবম শ্রেণিতে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, রসায়ন এবং অন্যান্য কিছু সাবজেক্টের চাপ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমি ঠিক আগের মতোই আছি। একেক দিন একেক বিষয়ের স্যারের বাসায় সকালে ৯০ মিনিট মন দিয়ে লেকচার শুনি এবং রাতে ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করে সকালে কি কি পড়ানো হয়েছে তা মনে করে নিই। বাকি সময়গুলো অনবরত বই পড়ি আর ইন্টারনেটে হারিয়ে যাই।
পরীক্ষার ফলাফল ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে, কারণ নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ভালো সময় দেয়া লাগে। পরীক্ষার ফলাফল ভালোও না খারাপও না এমন। কি আর করা, এক ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটে যা হওয়ার তাই হবে, না হইলে নাই এমন মনোভাব। কারণ একটাই, আমি অত্যন্ত ব্যস্ত একজন মানুষ, আমার হাতে সময় কম। শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার পরিবর্তে ইন্টারনেট এবং বইয়ের জগতে ডুবে থাকা অথবা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং বিভিন্ন কলেজের বড় ভাইদের সাথে সময় কাটানো এসব নিয়ে খুবই ব্যস্ত। বাসায় এবং স্কুলে সবার জানা হয়ে গেছে যে আমাকে শ্রেণিকক্ষে ধরে রাখা অসম্ভব।
এভাবে কয়েক বছরে পাঁচ শতাধিক দেশীয় বই এবং বিদেশি বইয়ের বাংলা অনুবাদ পড়া হয়ে গেছে। দশম শ্রেণি শুরুর দিকে ইংরেজি ভাষায় বই পড়া শুরু করে দিলাম। জ্ঞান অর্জন বা আত্ম-উন্নয়ন এমন কোনো লক্ষ্য নেই, আসল কারণ হচ্ছে বই পড়া অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল আমার জন্য। এভাবে বই পড়তে থাকি। গল্প-উপন্যাস থেকে ধীরে ধীরে ননফিকশন বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়, আমি তার উত্তর খুঁজে বেড়াই বই এবং ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। এই ধারা চলতে থাকে।
অবশেষে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিল। রেজাল্ট ভালো না, পাস করেছি কিন্তু জিপিএ ৫ পেয়ে ভিক্টরি সাইন দেখানোর সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হলাম। নিমিষেই বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি নামক সোনার হরিণ ধরার স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে। আর যাই করি না কেন এই রেজাল্ট দিয়ে এসব জায়গার ভর্তি ফরম পাওয়া যাবে না, ভর্তি পরীক্ষা দেয়া দূরের কথা।
হঠাৎ করে আমার সাজানো গোছানো জীবন আবার কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। নিজের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যৎ স্ত্রী-সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লাম। এখন চিন্তা করি ‘ইস যদি একটু সময় দিতাম, কয়েক মাস যদি অন্য কোনো কিছু না করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতাম তাহলে আজ এই দুর্দশা হতো না। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা এখন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী।
কলেজ
খুব দ্রুত আবার শুরু হলো নতুন এক যাত্রা। ভর্তি হয়েছি বিজ্ঞান বিভাগে। স্কুলের মতো একইভাবে কলেজ জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। বই, ইন্টারনেট ও আড্ডা- এসবই জীবন। প্রতিদিন ৯০ মিনিট এবং পরীক্ষার আগের রাতে ফেল না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা। কলেজের ফলাফল খুবই খারাপ, কোনোমতে পাস। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। এই পর্যায়ে সম্পূর্ণরূপে বোঝা হয়ে গেছে যে, ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে পড়া হবে না। চাকরি নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেছি কিন্তু যে অবস্থা চলছে সেভাবে ভালো চাকরি পর্যন্ত পৌছানোটা অত্যন্ত কঠিন মনে
হচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা সুবিধার না, তাই ভালো কোনো ব্যবসা শুরু করা
আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। এসব চিন্তা নিয়মিত মাথায় ঘুরঘুর করছে।
অনেকবার চেষ্টা করেছি মনোযোগী হয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার এবং ৯০ মিনিটের পরিবর্তে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করার। কিন্তু প্রতিবারই সিদ্ধান্ত ‘আজ না আগামীকাল থেকে শুরু করব।’ আগামীকাল কখনোই আসেনি। এভাবে এক বছর পার হয়ে গেল এবং আমি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে যাত্রা শুরু করেছি।
এতদিনে পরিষ্কার বুঝে গিয়েছি যাই হোক পড়ালেখা আমাকে দিয়ে হবে না, ভর্তিযুদ্ধ আমাকে দিয়ে হবে না, চাকরি যুদ্ধ আমাকে দিয়ে হবে না। ব্যবসা বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাকে দিয়ে হবে না। তো আমাকে দিয়ে কী হবে? জানি না। গত কয়েক বছরে শত শত ইংরেজি ননফিকশন বই পড়া হয়েছে, যার মধ্যে অনেক আত্ম-উন্নয়নমূলক বইও ছিল।
এত বই পড়া, এত জানা কোনো কাজে আসছে না। এ এক মহাযন্ত্রণা। নিয়মিত তিন-চার ঘণ্টা পড়ালেখা করার মতো সহজ কাজ করতে পারলাম না, তাহলে আর কিইবা করতে পারব! সবই বুঝি, আমার কি করা দরকার সেটা বুঝি, আমি যে ভুল করছি সেটাও বুঝি। কিন্তু এত কিছু বোঝার পরও যেটা করা দরকার সেটা করছি না, সেটাতে মন বসে না। আমি জানি এর পরিণতি খুবই খারাপ এবং শুধু আমিই পারব এই পরিণতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, কিন্তু চেষ্টা করছি না।
এক সীমাহীন মায়াজালে জীবনটা ঘুরপাক খাচ্ছে। আশপাশের হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন যে কাজটা করছে আমি তাতে কোনোভাবেই মন বসাতে পারছি না। অন্ধকার অন্ধকার অন্ধকার। বই পড়া হয় না এখন আর। মাঝে মধ্যে দু-একটা, কিন্তু আগের মতো বই পড়া হয় না। দুশ্চিন্তা এবং ডিপ্রেশন আমার জীবনসঙ্গী হয়ে উঠেছে।
মনের অজান্তেই ধীরে ধীরে আশপাশের মানুষজনের জীবন পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম এবং নিয়মিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে লাগলাম। জীবনের একদম শুরু থেকেই অ-আ-ক-খ, শ্রেণিকক্ষ, নিয়মিত পরীক্ষা, স্কুলের বই, এসব নিয়ে সময় কাটে। ইউনিভার্সিটি শেষ করে পেশাজীবনের যাত্রা শুরু হতে হতে বয়স ২৫ পার হয়ে যায়। যদি ধরে নেয়া হয় একজন মানুষ ৬০ বছর বাঁচবে তাহলে প্রস্তুতিতে জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় চলে যাচ্ছে।
পেশাজীবনে খুব কম সংখ্যক মানুষ খুব দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিজের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানোর পেছনে জীবনের বাকিটা পার হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে পেশা জীবনে পদার্পণ করে প্রতিটা মানুষের জীবনেই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটা হলো অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানো। কারণ জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রই সরাসরি টাকার সাথে সম্পর্কিত। যারা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে এই ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত।
পারিবারিক সম্পত্তি অথবা পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি থাকলে এবং তার উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হলে ব্যাপারটা ভিন্ন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই এমন সৌভাগ্য হয় না। আমারও একই অবস্থা। কোনো একটা ব্যবসা শুরু করব এমন অর্থ নেই এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও নাজেহাল অবস্থা। সারা জীবন অর্থ উপার্জনের পেছনে ব্যয় করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য। এমন জীবনের কথা চিন্তা করলেই গা শিউরে উঠছে। দিনে দিনে আমার হতাশা এবং দুশ্চিন্তা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
এক শ্রেণির মানুষ অর্থনৈতিক অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই অভাব, কারণ এই প্রতিটা ক্ষেত্রের সাথে সংযুক্ত অর্থনৈতিক খাতে প্রচণ্ড অভাব। ওরা অর্থ উপার্জনের পেছনে ছুটবে সেটা স্বাভাবিক, কারণ বেঁচে থাকাটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা ধনী, তাদের সম্পূর্ণ জীবন শান্তিতে অতিবাহিত করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ-সম্পদ রয়েছে। কিন্তু অঢেল সম্পদ থাকার পরও ওরা যতক্ষণ বেঁচে আছে অর্থের পেছনে ছুটতে থাকে। আরো চাই আরো চাই, আরো দাও আরো দাও, আরো খাই আরো খাই- এভাবে ওরা জীবন অতিবাহিত করে।
অন্য এক শ্রেণির মানুষ আছে যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ-সম্পদ থাকার পরও ওরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে- ওদের কাছে কিছুই নেই এবং নিয়মিত তার বহিঃপ্রকাশ করে। এরা বলতে থাকে ও ভাবতে থাকে যে, তাদের কাছে নেই, তারা অভাব-অনটনে আছে, আরো লাগবে। এরাও টাকার পেছনে ছুটতে থাকে আজীবন।
Design Your Life PDF Free Copy 57 Page Download
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?