দুনিয়ার ধোঁকাময় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটার পর, আখিরাতের ঘাটিসমূহ পার হওয়ার পর, নিজ নিজ কর্মফল অনুযায়ী মানুষ সর্বশেষ যে আবাসে পৌঁছবে সে আবাসের নামই জান্নাত ও জাহান্নাম।
যাদের দুনিয়ার কর্মজীবন ভালো হবে, আল্লাহর ইচ্ছামাফিক হবে, তাঁরা লাভ করবে চিরসুখের স্থান জান্নাত।
আর যাদের কর্মজীবন আল্লাহর অসন্তুষ্টির দিকে প্রবাহিত হবে, তাঁরা হবে জাহান্নামী। জাহান্নাম এমন স্থান যেখানে সুখের ছিটেফোঁটাও থাকবে না! আসতাগফিরুল্লাহ।
কেমন হবে কর্মফল ভোগ করার সে স্থান দুটি?কেমন সেগুলোর আরাম-আয়েশ বা দুঃখ-কষ্ট? আল্লাহর প্রেরিত ওয়াহি আর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসের আলোকে আমরা সেগুলোর কিছু কিছু জানতে পারি। কিন্তু এর বেশিরভাগই আমাদের অজানা। আল্লাহ বলেছেন, “কোনো চোখ তা কখনো দেখেনি, কোনো কান তা কখনো শোনেনি, কোনো কল্পনাও কখনো সে পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি।”
আল্লাহ তাআ’লা দুনিয়াতে আমাদের যতটুকু জানিয়েছেন ততটুকুই কম কিসে? যাঁরা বর্ণনাগুলো পড়েছে, হৃদয় থেকে অনুধাবন করেছে তাঁরা পরিবর্তন হয়েছেই। তাই চলুন না, আমরাও জেনে আসি পরকালীন জীবনের সেই স্থান দুটো সম্পর্কে।
ড. উমর সুলাইমান আল-আশকার রহ. এর পরকাল সিরিজের তৃতীয় বই “আল জান্নাহ ওয়ান নার”। সে বইটির অনুবাদ নিয়ে এসেছে রুহামা পাবলিকেশন “জান্নাত-জাহান্নাম” নামে। বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে জান্নাতের অশেষ নিয়ামতরাজি ও জাহান্নামের ভয়বহতা সম্পর্কে। কিভাবে অনন্ত সুখের আবাস জান্নাত লাভ করা যাবে, জাহান্নামে যাওয়ার কারণসমূহ আলোচিত হয়েছে বইটিতে। আরো আছে জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর আকিদা ও অন্যান্য ভ্রান্ত আকিদার দালিলিক জবাব।
ড. আশকার এর বর্ণনাভঙ্গির সাথে পরিচিত থাকলে বুঝতে পারবেন বইটির আলোচনা কেমন হৃদয়কাড়া হতে পারে! জান্নাতের অপার সুখ-শান্তি, অফুরন্ত নিয়ামতরাজি, স্বর্ণ-রূপার দালান, গাছপালা, ফুল-ফলাদি, রূপ-লাবণ্য… আহা! বই পড়লেইতো জান্নাতে চলে যেতে মনে চাইবে।
এছাড়াও জাহান্নামের ভয়বহতার বর্ণনা, জাহান্নামে যাওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করবে বইটি, সেই সাথে আমাদের দিকনির্দেশনা দিবে এগুলো থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে।
বই: জান্নাত জাহান্নাম
লেখক: উমর সুলাইমান আল আশকার
প্রকাশনী: Ruhama Publication
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?