জান্নাতি মৃত্যুর ১২ টি লক্ষণ

জান্নাতি মৃত্যুর ১২ টি লক্ষণ

১| মৃত্যুর সময় কালিমা পাঠ করতে পারা।
নবী (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু) তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
(সুনানে আবু দাউদ ৩১১৬/সহিহ আবু দাউদ-২৬৭৩)
২| মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বের হওয়া।
বুরাইদা বিন হাছির (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, (মুমিন কপালে ঘাম নিয়ে মৃত্যু বরন করে) । 
(মুসনাদে আহমাদ-২২৫১৩/জামে তিরমিজি -৯৮০/ সুনানে নাসায়ি-১৮২৮)
৩| জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যুবরন করা।
যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যু বরন করেন আল্লাহ তাকে কবরের আযাব থেকে নাজাত দেন।
(মুসনাদে আহমাদ-৬৫৪৬/ জামে তিরমিজি -১০৭৪)
৪| আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।
যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে নিহত হয় সে শহীদ। (সহিহ মুসলিম -১৯১৫)
৫| প্লেগ রোগে মৃত্যবরণ করা।
প্লেগ রোগে মৃত্যু প্রত্যক ঈমানদার এর জন্য শাহাদাত
(বুখারী- ২৮৩০ / মুসলিম – ১৯১৬)
৬| যে কোনো পেটের পীড়াতে মৃত্যুবরণ করা।
যে ব্যক্তি পেটের পীড়াতে মৃত্যুবরণ করবে সে শহীদ
(সহিহ মুসলিম -১৯১৫)
৭| কোনো কিছু ধ্বসে পড়ে বা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা। 
(সহিহ বুখারি- ২৮২৯, / সহিহ মুসলিম -১৯১৫)
৮| গর্ভবতী অবস্থায় নারীর মৃত্যু। 
যে নারী পেটে বাচ্চা নিয়ে মারা যায় সে শহীদ
(আবু দাউদ -৩১১১)।
৯| আগুনে পুড়ে এবং যক্ষা রোগে মৃত্যু। 
(সহিত তারগিব ওয়াত তারহীব- ১৩৯৬)
১০| নিজের ধর্ম সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু 
( তিরমিজি -১৪২১, বুখারি- ২৪৮০,মুসলিম-১৪১)
১১| আল্লাহর রাস্তায় প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু।
নবী (সাঃ) বলেছেন একদিন একরাত পাহারা দেয়া এক মাস দিনে রোজা রাখা এবং রাতে নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম, আর যদি পাহাড়া রত অবস্থায় সে ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তার জীবদ্দশায় সে যে আমল গুলো করতো এগুলোর সওয়াব চলমান থাকবে এবং সে শহীদ।
১২| নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করা।
হে আল্লাহ। আমাদের শহীদি মৃত্যু নসিব করুন।
                  আমিন
[ সংগৃহীত ]
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?