বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে__
এক সিরিয়াল কিলার ঘুরছে চট্টগ্রাম শহরের বুকে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থানার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাকে ধরতে। দেখা গেলো, সেই সিরিয়াল কিলার একটা নির্দিষ্ট পঞ্জিকা অনুসারে খুনগুলো করছে। আর এই পঞ্জিকাটি যুক্ত একটা অভিশপ্ত যজ্ঞের সাথে, যে যজ্ঞটা বহুকাল আগে পর্তুগালে আগুনে পোড়ার হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা ডাইনি এলেনা রিভেরার সাথে সম্পর্কিত। সিরিয়াল কিলারকে ধরতে তাই এলেনা রিভেরার ডাইনিচক্রের ধারক শেষ বংশধরের খোঁজ পাওয়া জরুরি। কিংবদন্তি বলে, চট্টলায় সেই ডাইনি থাকে।….
হরর থ্রিলার ধর্মী উপন্যাসটিতে দেখা যায় জাবির হাসান নামে একজন পুলিশ অফিসারের, যার ভূতের গল্প সংগ্রহ করার বাতিক রয়েছে। তার এই বাতিকের জন্য সিনিয়ররা হাসাহাসি করলেও কেউ এ ব্যাপারে গালমন্দ করে না। ঠিক সেই ভূতের গল্প সংগ্রহ এবং ভৌতিক জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে করতে জড়িয়ে যায় সেই সিরিয়াল খুনের সাথে যার সাথে মিল খুঁজে পাই সেই ডাইনির কিংবদন্তীর, জরুরাক্ষসের। খুনের তদন্ত করতে গিয়ে জাবিরের জীবনে আগমন ঘটে ফারিয়ার যার বাবাও খুন হয় সেই সিরিয়াল কিলারের হাতে। শেষ পর্যন্ত কি হয় আসলে? জাবির কি শেষ পর্যন্ত পারে সিরিয়াল কিলার কিংবা সেই ডাইনিকে খুঁজে বের করে বাকি সকলকে রক্ষা করতে?
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ যে গল্প আমার মনে দাঘ কেটে যায়, তার সম্পর্কে বেশী কথা বলতে পারি না আমি। কোন শব্দই উপযুক্ত মনে হয় না প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য। #চট্টলায়_এক_ডাইনি_থাকে উপন্যাসের শুরু থেকেই ভৌতিক রহস্যের আভাস পাওয়া যায়। অতিরিক্ত বর্ননা ছাড়া লেখক খুব চমৎকার ভাবে একের পর এক কাহিনীর বিন্যাস করে গেছেন। বইটি পড়া শুরু করার পর আর উঠতে পারি নি। গল্পের শুরু থেকেই লেখক কিছু ক্লু রেখে গেছেন যা বুদ্ধিমান হলে শেষের কিছুটা আন্দাজ করা যায়, তবে পুরোটা নয়। শেষ করার পরে আমার খুবই খারাপ লাগছিলো, যে মনেই হচ্ছিলো না এটা গল্প। অনেকদিন পরে সমসাময়িক কারো গল্প পড়ে এতোটা অস্থির লেগেছে। বার বারই শেষাংশটুকু পড়ছিলাম। শেষ হয়েও হইলো না শেষ টাইপ। এককথায় সেরা উপন্যাস। বইটি সম্পর্কে একটু বলে দেই।
উপন্যাসঃ চট্টলায় এক ডাইনি থাকে
ধরণঃ হরর থ্রিলার
লেখকঃ রায়হান মাসুদ
প্রকাশনীঃ চলন্তিকা
মলাট মূল্যঃ ২৬০ টাকা
Leave a comment