গ্রাস : রেজওয়ান আহমেদ | Grass By Rezwan Ahmed

তালতলী স্লুইসগেটের পাশে অনেকটা ফাঁকা জায়গা। বুনোঘাসে পূর্ণ জায়গাটা। সকালে যখন লঞ্চ সাইরেন বাজাতে বাজাতে মিঠাপুরের মোড় ঘোরে, ওখানে দাঁড়ালে মাথাটা দেখা যায়। সকাল সাতটা কি সাড়ে সাতটা নাগাদ এসে ভেড়ে ফেরিঘাটের পাশের পন্টুনে। জটলা পড়ে যায় ঘাটসংলগ্ন জায়গাটায়। স্লুইসগেট থেকে তা চোখে পড়ে।

  • বইয়ের নাম : গ্রাস
  • লেখক : রেজওয়ান আহমেদ
  • ধরণ : সামাজিক উপন্যাস
  • প্রচ্ছদ শিল্পী : ধ্রুব এষ
  • লেখকের আলোকচিত্রী : বিজরী আনসারী
  • প্রকাশনী : বিদ্যাপ্রকাশ
  • অমর একুশে বইমেলা ২০২৩
আজও জটলা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশিই। কিন্তু লঞ্চের দেখা নেই। আজ এদিকে ট্রিপ দিয়েছে ভয়েজার। লঞ্চটা নতুনই বেশ। আর আগেরগুলোর চেয়ে বড়োসড়ো। সাতটা ছাড়িয়ে আটটা, আটটা ছাড়িয়ে নয়টা। মানুষ বাড়ছে ঘাটে। লঞ্চ ত এলো না। কী ঘটলো তাহলে?
একসময় বহুল প্রচলিত একটা শব্দবন্ধ ছিল দক্ষিণবঙ্গে— দোতালা লঞ্চ। বাতাসে লঞ্চের ইঞ্জিনের চেনা শব্দ শুনে হাঁক ছাড়ত ছেলেবুড়ো নির্বিশেষে দেহাতী লোকজন— এএএ দোতালা লঞ্চ আইয়া পড়ছেএএএ!
আজকাল সেসব রুটে চারতলাবিশিষ্ট লঞ্চও চলে। সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হওয়ায় লঞ্চশিল্প এবং লঞ্চকেন্দ্রিক জীবনধারায় দৃশ্যমান ভাটা পড়েছে। তা সত্ত্বেও বৃহত্তর বরিশালের মানুষের জীবনের সঙ্গে এ সকল বহুতল লঞ্চ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সে কারণেই হয়তো চলতি কথার ফ্রেমে আটকে গেছে কিছু কথা। ‘মোর লঞ্চও গ্যালে, মোর পঞ্চও গ্যালে’ যেমন।
বর্তমান ঔপন্যাসিকের প্রয়াস এই আপাতক্ষীয়মান জীবনধারার একটা দলিল মলাটবদ্ধ রাখার।
‘গ্রাস’ পাঠকের চিন্তাধারায় করাঘাত করবে এর বিস্তৃতির শক্তিতে। বিস্তৃতি সময়ের , চরিত্রের, কাহিনির।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?