গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং তৃতীয় পর্ব © মারুফ হুসাইন।

Post ID 111602

ব্লাড পেইন্টিং তৃতীয় পর্ব
©মারুফ হুসাইন। (content approved by author)

  ✋এক নজরে ব্লাড পেইন্টিং পর্ব সমূহ💕


  1. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং প্রথম পর্ব ।

  2. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং দ্বিতীয় পর্ব ।

  3. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং তৃতীয় পর্ব ।

  4. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং চতুর্থ পর্ব ।

  5. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং পঞ্চম পর্ব ।

  6. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং ষষ্ঠ পর্ব ।

  7. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং সপ্তম পর্ব ।

  8. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং অষ্টম ও শেষ পর্ব। 

৫.
জেরিনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট রেডি হয়ে গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে সায়মা গোলাম মাওলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে ফারুক, রাফাতও আছে। গতকাল সুইসাইড স্পটের কাজ শেষ করে গোলাম মাওলা আর অফিসে আসতে পারেনি। ওখানের কাজ শেষ হতে হতে প্রায় বিকেল হয়ে গিয়েছিল। তখন তার শরীরটা একটু খারাপ লাগায় বাসায় চলে গিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠে অফিসে আসতেই ওরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে সামনে হাজির হয়েছে। 
গোলাম মাওলা একটা সিগারেট ধরালেন, ‘গতকাল সুইসাইড করা মেয়েটার নামটা কী?’
‘সামিয়া।’ ফারুক উত্তর দিল। 
‘তুমি কাল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী কী জানত পারলে?’
‘নাম, সামিয়া রহমান। একটা বেসরকারী কম্পানিতে জব করে। এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতো।…’
‘বিবাহিতা?’ ফারুকের কথা থামিয়ে দিয়ে গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসা করল। 
‘জি স্যার! স্বামী ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক কাজে সবসময় শহরের বাইরেই থাকেন৷  মাসে দুয়েক দিন এসে ভিক্টিমের সাথে থাকতো।’
‘তার হাজবেন্ডকে খবর দেয়া হয়েছে?’
‘হ্যাঁ, কাল সন্ধ্যার দিকে ফোন করে জানিয়েছি। ভদ্রলোক খবরটা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। বলেছেন, সে কালই রওনা দিবেন। আজ দুপুরের মধ্যে চলে আসবে।’
‘পোস্টমর্টেমে পাঠানোর পর ডাক্তার শেখ মৌখিক কোনো রিপোর্ট দিয়েছে?’
‘না স্যার!’ সায়মা উত্তর দিল। 
গোলাম মাওলা কিছু বলছে না। কিছু একটা ভাবছে৷ তখনি সিগারেট পুড়ে হাতে ছ্যাক লাগল৷ সে হাত ঝাড়া দিয়ে সিগারেটের ফিল্টারটা ফেলে দিয়ে বলল, ‘জেরিনের প্রেমিকের খোঁজ পেয়েছ?’
‘জি না স্যার! তার নাম্বারটাও বন্ধ।’
‘তার মোবাইল, ল্যাপটপে সন্দেহভাজন কিছু পাওয়া গেছে?’
‘জি না স্যার!’
গোলাম মাওলা চেয়ার থেকে ওঠে দাঁড়াল। তার ডেস্কের ড্রয়ার খুলে কিছু একটা খুঁজতে লাগল। না পেয়ে রাফাতকে বলল, ‘রাফাত! মার্কার আছে?’
‘জি স্যার!’ বলে রাফাত মার্কার আনতে চলে গেল। 
গোলাম মাওলা চেয়ারটা সরিয়ে হোয়াট বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরাল। ইশারায় ফারুককে জিজ্ঞাসা করল, ‘চলবে?’
‘না স্যার! ধন্যবাদ!’
রাফাত মার্কার নিয়ে আসল। গোলাম মাওলা মার্কারটা হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘সিসিটিভি ফুটেজের রিপোর্ট কী?’
‘স্যার! জেরিনের খুনের আগে বিল্ডিংয়ে সন্দেহভাজন কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি৷ জেরিন সেদিন রাত বারোটা আঠারোয় বাসায় ঢুকে৷ পরদিন সকালে ওয়াচম্যান তাকে পত্রিকা দিয়ে আসতে যায়৷ কিন্তু গেট বারবার নক করার পরও যখন খুলছিল না, তখন সে ফিরে আসে। ঘন্টা দুয়েক পর আবার গেট নক করে৷ বারংবার নক করার পরও যখন খুলেনি তখন ওয়াচম্যান বিল্ডিং কমিটিকে খবর দিলে তারা এসে পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে দরজার লক ভেঙ্গে ভিতরে যায়।’ বলে সায়মা পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা খুলে, ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী সে প্রায় রাত তিনটার দিকে মারা যায়। মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।’
ফারুকের মোবাইলে কল আসে৷ গোলাম মাওলা তাকে ইশারায় কল রিসিভ করতে বলে। ফারুক এক পাশে সরে গিয়ে কল রিসিভ করে।
‘দেহে কোনো দেশাদ্রব্যের আলামত পাওয়া গেছে?’ গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসা করে।
‘জি না স্যার।’ সায়মা উত্তর দেয়। 
‘পরশু রাতের ফুটেজ কী বলছে?’ রাফাতকে উদ্দেশ্য করে গোলাম মাওলা বলে। 
‘স্যার! পুরো ফুটেজ আমি নিজে একাধিকবার চেক করেছি। জেরিনের ফ্ল্যাটের দিকে কাউকে যেতে দেখা যায়নি৷’
‘স্যার! ডাক্তার শেখ ফোন দিয়েছিল। বিকেলের মধ্যে সামিয়ার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট রেডি হয়ে যাবে ৷ তারও ডেথ অফ কজ, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।’ ফারুক কথা শেষ করে ফিরে এসে বলল। 
‘হাতের রগ কেটেছে৷ তাই ই তো হওয়ার কথা। অজানা কোনো কিছু থাকলে বলো!’
‘ডাক্তার শেখ এইটুকুই বলেছেন৷’
গোলাম মাওলা আর কিছু বলল না। হোয়াইট বোর্ডে লেখা শুরু করল। বোর্ডের দুই পাশে জেরিন আর সামিয়ার নাম লিখে বলল, ‘দুই জনের সিমিলারিটিগুলো একেক করে বল!’
‘দুই জনই একা থাকতো।’ সায়মা বলল।
‘হাতের রগ কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছে।’ ফারুক বলল
‘দুই জনই এক্সপেন্সিভ লাইফ লিড করত।’
‘জেরিন প্রেগন্যান্ট ছিল। সামিয়ার ব্যপারে এমন কিছু বলেছে?’ গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসা করল। 
‘না স্যার। এমন কিছু জানা যায়নি।’ ফারুক উত্তর দিল। 
‘ডা. শেখকে ফোন দিয়ে কনফার্ম হও!’ গোলাম মাওলা হোয়াইট বোর্ড থেকে সরে এসে নিজের বসল। 
ফারুক ডা. শেখকে কথা বলে গোলাম মাওলাকে জানাল, ‘না স্যার!’
‘ঠিক আছে, তোমরা এখন যাও! যত দ্রুত সম্ভব আরিফকে খোঁজে বের করো আর সামিয়ার হাজবেন্ডের খোঁজ নাও। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করো!’
‘ঠিক আছে স্যার!’ বলে তারা তিনজন চলে যেতে নেয়৷ 
পিছন থেকে গোলাম মাওলা ডেকে বলে, ‘পেইন্টিংটা ফরেন্সিকে দিয়েছ?’
‘জি স্যার! তারা পরীক্ষা করে দেখছে৷’ দরজার কাছে গিয়ে সায়মা দাঁড়িয়ে উত্তর দেয়৷
‘আর একজন আর্ট বিশেষজ্ঞের খোঁজ নাও। আমি পেইন্টিংটা নিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাই।’
‘ঠিক আছে স্যার!’
৬.
গোলাম মাওলা চেহারে হেলান দিয়ে বসে কেসটা সম্পর্কে ভাবছিল। তার পুরাটা ভাবনা জুড়ে পেইন্টিংটা ঘুরছে৷ পেইন্টিংটা তাকে টানছে৷ সে পেইন্টিংটা দেখার জন্য একবার ফরেন্সিক ল্যাবে যাবে করে ভাবছে। ঠিক তখনি গেটে টোকা পড়ে। গোলাম মাওলা গেটের দিকে তাকিয়ে দেখে, সায়মা দাঁড়িয়ে আছে, ‘হ্যাঁ সায়মা আসো!’
সায়মা ভিতরে ঢুকে, ‘স্যার! লাঞ্চে যাবেন না?’
গোলাম মাওলা ঘড়ি দেখে, ‘হ্যাঁ যাব!’ বলতে বলতে চেয়ার থেকে ওঠে। 
সায়মা কিছু বলবে করে বলতে পারছে না বুঝতে পেরে গোলাম মাওলা জিজ্ঞাসা করে, ‘কিছু বলবে সায়মা?’
‘হ্যাঁ স্যার!’
‘বলে ফেল!’
‘স্যার! লাঞ্চের পর আমার একটু ছুটি চাই৷’
‘কেন?  কোনো সমস্যা হয়েছে?’
‘না! স্যার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে একটু ব্যক্তিগত কাজ আছে।’
‘ঠিক আছে যাও তাহলে!’
‘ধন্যবাদ স্যার!’ বলে সায়মা বেরিয়ে পড়ে৷ 
সন্ধ্যার দিকে গোলাম মাওলা অফিস থেকে বের হয়৷ কেসটার কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন অবধি আরিফেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ জেরিনের মোবাইল থেকেই  উদ্ধার করা নাম্বারটা বন্ধ। সামিয়ার হাজবেন্ডের আসার কথা থাকলেও সে আসেনি। তার নাম্বারটাও বন্ধ। তার অফিসে ফোন করে জানা যায়, আজ সকাল থেকে সে অফিসে যায়নি। এটা স্বাভাবিক।  আজ তার এখানে আসার কথা। তাহলে অফিসে না যাওয়াটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু তার নাম্বার বন্ধের কারণ গোলাম মাওলার বুঝে আসছে না। তার কাছে সামিয়ার স্বামি, আরিফ দুইজনই সাস্পেক্ট। গোয়েন্দাদের এই একটা সমস্যা। সবাইকে তারা সন্দেহের নজরে দেখে। সে সুইসাইডগুলোর পিছনে পেইন্টিংটার যোগসূত্র দেখছে৷ সে হিসেবে তারা সাস্পেক্ট হওয়ার কথা নয়। তারা দোষি হলে সাধারণভাবে দুইটা কেসের মধ্যে কোনো সংযোগ থাকবে না বলেই ধরা যায়৷ কিন্তু গোলাম মাওলা দুইটা সুইসাইডের মধ্যে সংযোগ দেখছে৷ আবার দুই ভিক্টিমের হাজবেন্ড, প্রেমিককে সন্দেহভাজন হিসেবেও দেখছে৷ ব্যপারটা কেমন বেমানান। তবুও গোয়েন্দাদের স্বভাব, কেউই তাদের সন্দেহের খাতা থেকে  কাটা পড়ে না। তারাও পড়েনি। 
ক্ষিদায় গোলাম মাওলার পেটে মোচড় দিয়ে উঠেছে৷ দুপুরে সে লাঞ্চ করেনি৷ লাঞ্চের সময় অফিস থেকে বেরিয়ে একটা টংয়ে বসে চা-সিগারেট খেয়ে অফিসে ফিরে গেছে। অফিসের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসতেই তার তন্দ্রা ভাব চলে আসায় চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে নিয়েছিল। 
সে খাওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকেছে। খেতে খেতে হুট করে পেইন্টিংটা দেখতে ইচ্ছে করল। দুপুর থেকেই পেইন্টিংটা দেখতে ইচ্ছে করছে। দেখতে ল্যাবে যাবে যাবে করেও যাওয়া হয়নি৷ খেতে খেতে সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল, খাওয়া শেষ করেই ল্যাবে যাবে। তাই ল্যাবে ফোন দিয়ে জানিয়ে রাখল, সে একটু পর আসছে। পেইন্টিংটা দেখবে।’
সায়মা দুপুরে অফিস থেকে বেরিয়ে কিছু কেনাকাটা করবে বলে মার্কেটে গিয়েছিল। আজ তার জন্মদিন৷ সে উপলক্ষ্যে একজন স্প্যাশিয়াল মানুষের সাথে ডিনার করবে। অবশ্য করতে পারবে কিনা সে জানে না। ঐ স্প্যাশিয়াল মানুষটাকে কখনো সে বুঝতে দেয়নি, সে যে স্প্যাশিয়াল মানুষ। ব্যপারটা একমাত্র সায়মাই-ই জানে। আর কেউ জানে না সে কাউকে জানতে দেয়নি। বুঝতে দেয়নি।
কাজ ছাড়া বাড়তি কোনো কথা না বলা, প্রচুর বুদ্ধিদীপ্ত চুপচাপ ঐ মানুষটার প্রেমে সে কবে পড়েছে সে নিজেও জানে না। কিন্তু সে অনেক দিন ধরেই ফিল করছে, ঐ মানুষটার প্রেমে পড়েছে সে৷ মানুষটার সকল কাজে সে মুগ্ধ হচ্ছে৷
মনের কথা চেপে রাখতে নেই৷ তাই সে ভেবেছে, আজ তার স্প্যাশিয়াল দিন৷ আজকেই তার মনের কথা খুলে বলবে। তাই দুপুরে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে কেনাকাটা করতে চলে গেছে৷ এখন অবধি সে জানে না, আজ ডিনারে ঐ মানুষটার দেখা পাবে কিনা!
সেজেগুজে একদম রেডি হয়ে তাকে ফোন দিয়ে ডিনারের কথা বলবে বলে সে ভেবে রেখেছে৷ অবশ্য মনে মনে সাড়া না পাওয়ার মানসিক প্রিপারেশনটাও নিয়ে রেখেছে, সে সাড়া না দিলে তাকে কল্পনা করেই তার সাথে সে নিজের জন্মদিনটা উৎযাপন করবে। প্রিয় মানুষের অজান্তে কাউকে ভালোবাসার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। যা সায়মা অনুভব করছে৷ তার ডাকে যদি ঐ মানুষটা সাড়া না দেয়, তাহলে সে আরো কিছু সময় একা একা ভালোবাসার অনুভূতিটা উপভোগ করবে। 
গোলাম মাওলা ল্যাবে যায়। কিন্তু পেইন্টিং খোঁজ করতেই দেখা যায় পেইন্টিংটা নেই, কোথায় গায়েব হয়ে গেছে কেউ বলতে পারে না। অনেক্ষণ খুঁজেও পেইন্টিংটা পাওয়া যায়নি। ল্যাবের লোকজন বলছে, ল্যাবে বাইরের কেউ প্রবেশ করেনি। ল্যাব গেটের সিসিটিভি ফুটেজও চেক করে দেখেছে, বাইরের কাউকে ল্যাবে আসতে দেখা যায়নি৷ ভিতরের কাউকেও পেইন্টিংটা নিয়ে বের হতে দেখা যায়নি৷
গোলাম মাওলার কপালে ভাঁজ। সে কোনোভাবেই বুঝতে পারছে না, পেইন্টিংটা গায়েব হলো কিভাবে।
পেইন্টিং গায়েব হওয়ার ব্যাপারটা খুটিয়ে দেখা দরকার। তার জন্য সহকারীদের মধ্যে কাউকে পেলে ভালো হতো। প্রথমে ভাবে, ফারুক বা রাফাতকে ডাকবে৷ কিন্তু তারা কিছুক্ষণ আগে অফিস থেকে গিয়েছে ভেবে গোলাম মাওলা সায়মাকে ডাকার কথা চিন্তা করল । যদি তার ব্যক্তিগত কাজ শেষ না হয়, তাহলে তাদের দুজনের একজনকে ডাকবে।
গোলাম মাওলা সায়মাকে ফোন দিল। কিন্তু সায়মা ফোন ধরে না। 
সায়মা কালো স্লিভলেস ব্লাউজ, কালো পেটিকোটের সাথে একটা  কালো শাড়ি পরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়েছে। সাজুগুজুর আরেকটু বাকি। এইটুকু শেষ হলেই তার প্রিয় মানুষটাকে মেসেজ দিয়ে ডিনারের দাওয়াত দিবে। মেসেজ লিখেও রেখেছে। এখন শুধু সেন্ড করে দিলেই হবে। ফোন করে বলার সাহস হচ্ছে না। তাই মেসেজ করে বলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ 
ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সায়মা নিজেকে যখন ভালো করে দেখছিল, ঠিক তখনি আয়না থেকে তার পিছনের দেয়ালটায় নজর পড়ল। সেখানে একটা পেইন্টিং। কিন্তু তার দেয়ালে কোনো পেইন্টিং ছিল না। পেইন্টিংটা চিনতে তার বেগ পেতে হলো না। তার বুক ধড়ফড় করতে শুরু করেছে৷ ভয়ে ভয়ে ধীরে ধীরে সে পিছনের দিকে ঘাড় ঘুরাল। 
চলবে………
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?