উপন্যাস : খেদু মিয়া | লেখক : অসীম হিমেল
জনরা : প্যারা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার | প্রচ্ছদ: মাসুম রহমান। প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০২১ | পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮
মুদ্রিত মূল্য: ২৮০/- (বইঘর ইবুক: ৬৫/-)
𝓢𝓬𝓲𝓮𝓷𝓬𝓮 𝓪𝓷𝓭 𝓣𝓻𝓾𝓽𝓱 𝓪𝓻𝓮 𝓼𝓲𝓶𝓹𝓵𝓮 𝓹𝓱𝓮𝓷𝓸𝓶𝓮𝓷𝓸𝓷 𝓸𝓯 𝓷𝓪𝓽𝓾𝓻𝓮, 𝓫𝓾𝓽 𝓲𝓽 𝓲𝓼 𝓽𝓱𝓮 𝓴𝓷𝓸𝔀𝓷 𝓽𝓱𝓪𝓽 𝓲𝓼 𝓹𝓻𝓮𝓿𝓮𝓷𝓽𝓲𝓷𝓰 𝓾𝓼 𝓯𝓻𝓸𝓶 𝓶𝓪𝓼𝓽𝓮𝓻𝓲𝓷𝓰 𝓽𝓱𝓮 𝓾𝓷𝓴𝓷𝓸𝔀𝓷.—𝓒𝓱𝓪𝓷𝓭𝓻𝓪𝓴𝓪𝓷𝓽𝓱 𝓝𝓪𝓽𝓮𝓴𝓪𝓻
আমাদের আশেপাশে অনেকসময় এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায় যা বিশ্বাস হতে চাই না। কিন্তু একদম অবিশ্বাসও করা যায় না। কারণ, ঘটছে তো! কিন্তু কীভাবে? বিজ্ঞান দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যায় না তবে ব্যাখ্যাও কি নেই?
খেদু মিয়া নামটা শুনতে কেমন লাগে? তবে আপনার যেমনই লাগুক না কেউ এই নামধারী ব্যক্তির স্বয়ং নিজের নামে বড়োই অরুচি।
হবেই না কেন পিতামাতার প্রদত্ত নাম যখন স্কুল শিক্ষকের বদৌলতে বদলে যায় আর হতে হয় হাসির পাত্র, কারই বা ভালো লাগে! ফরেনসিকের একজন নামকরা প্রফেসর খেদু মিয়া। তবে তিনি এটাও জানেন এই নামের কল্যাণেই আজ এতো নাম-যশ-খ্যাতি প্রাপ্তি। খালেক স্যারের মৃত্যুর পর থেকেই ভিতরের কিছু একটার পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। কিন্তু কী? আজও অজানা! মৃতদের কথা শোনা ও দেখার শুরু তারপর থেকেই। সময়ের সাথে তিনি এখন অভস্ত্য এসবে। কিন্তু কিছু মৃত্যু তার জীবনের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছে…
হাস্যোজ্জ্বল তিথি যে স্বাভাবিক কেউ নয় প্রায়ই মনে হয় খেদু মিয়ার। মেয়েটা যেন কিছু বলতে চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলে উঠতে পারে না। মেডিকেল থেকে হঠাৎ করেই মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের চুরি হওয়া শুরু হয়! ভিতর থেকে কে যেন সাবধানী বাণী শোনায়! জানতে পারেন এক বিরল রোগের শিকার তিথি। হাতে বেশি সময় নেই। আবার পূর্বপুরুষদের অতীতের ভয়ানক এক পাপের কথাও বেরিয়ে আসে। প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে সাথে তিথিকেও বাঁচাতে হবে। ইচ্ছে থাকলেই কি উপায় হয়?
প্যারানরমাল, সাইকোলজি, ফরেনসিক, সায়েন্স, ক্রাইম, মিস্ট্রি, থ্রিলার এর কম্বাইন্ড কম্বো ❝খেদু মিয়া❞। একই সাথে সায়েন্স আর প্যারানরমাল শব্দ দুটি কনফিউজড করে দিয়েছে? তাহলে একটু স্পষ্ট করি। অতিপ্রাকৃতিক বিষয়াবলী আছে বলেই যে লেখক সব কল্পনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন এমন না। অনেকসময় দেখা যায় যখন বৈজ্ঞানিক যুক্তি দাঁড় করানো যায় না অতিপ্রাকৃতিক বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাথা নাই এমন না বরং আমরা জানি না এটাই সমস্যা। কিন্তু সব বিষয়েই কিন্তু আবার বিজ্ঞান সাপোর্ট করেছে এমনও না। বিজ্ঞান ও অতিপ্রাকৃতিক দুটোকেই বইয়ে পাশাপাশিই দেখানো হয়েছে।
কাহিনীর প্লট এক প্যারাফিলিক ডিসঅর্ডার বেজড, টেক্সটাইল নেক্রোফিলিয়াক্স। নেক্রোফিলিয়ার কয়েকটা প্রকারের মধ্যে একটা। গুগলে ❝Necrophilia❞ লিখে সার্চ দিলে ডিটেইলসে জানা যাবে। সংক্ষেপে বললে মৃতদেহ স্পর্শ করলে ফিজিক্যাল গেটিফিকেশন হয়। শুরুতে দেখানো হয় খেদু মিয়ার অতীত সাথে বর্তমানের ঘটনাগুলোও। তিথির আগমনে মূল ঘটনার শুরু। খেদু মিয়ার মধ্যে মিসির আলির একধরনের মিল আছে। মৌলিকত্ব অনেকাংশেই কমে গেছে এইজন্য। লিখনশৈলী প্রানবন্ত। মেডিক্যাল টার্মগুলোর বর্ণনা দারুণভাবে করা হয়েছে। বইয়ের কিছু চরিত্র আঁধারেই থেকে গেছে। বিশেষ করে রাসেল। চরিত্রটার আগামাথা কিছুই বুঝিনি। প্যারানরমাল আর সায়েন্টিফিক দু’দিকই খেদু মিয়া যেভাবে ব্যালেন্স করেছে ভালো লেগেছে। বইয়ের সমাপ্তি কাহিনীর সমাপ্তি নয় কারণ পুরোটা কভার করা হয়নি। এককথায় অসমাপ্ত। পরবর্তী বইয়ে বাকিটা খোলসা করা হবে সম্ভবত।
কিছু খটকা আছে। খেদু মিয়া বাসায় যাওয়ার পর তার পরিবারের কারো কথা উল্লেখ নেই কেন? রফিক এতো দ্রুত ওখানে পৌছিয়ে গেল কীভাবে? তিথি কখন বিপদে পড়ে রাসেল কীভাবে বুঝে? আবার উদ্ধার করতেও চলে আসে! তাহলে শেষে কবরস্থানের ঘটনার সময় ছিল না কেন? পরবর্তী বইয়ে প্রশ্নগুলোর জবাব মিলে কিনা দেখার অপেক্ষা এখন।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?