খুনে অরণ্য – মারুফ হোসেন | Khune Oronno By Maruf Hosen

বইয়ের নাম : খুনে অরণ্য

লেখক : মারুফ হোসেন
প্রকাশক : চিরকুট
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২২৪

“খুনে অরণ্য” এটি একটি রহস্য উপন্যাস, বইটি হারলান কোবেনের লেখা উপন্যাস “দ্য উডস”-এর অ্যাডাপ্টেশন। কোন সন্দেহ নেই যে মারুফ হোসেন অনেক সুন্দরভাবে এডাপটেশন করেছেন। দেশীয় প্রেক্ষাপটে, দেশী ধাঁচে, দেশী চরিত্রের সমন্বয়ে বইটি লিখেছেন তিনি। যার ফলে বইটির স্বাদ বেড়েছে এবং একবারও মনে হয়নি যে কোন অ্যাডাপ্টেশন পড়ছি। সাধারণত বিদেশী বই অবলম্বনে লেখা বইগুলোতে অনুবাদের একটা ছোঁয়া ও ঘ্রাণ থেকেই যায়। কিন্তু লেখক সেটা থেকে বের হয়ে আসতে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন। কাহিনী ও পরিপ্রেক্ষিত পুরোপুরি মিলিয়ে দিতে পেরেছেন। 

দেশীয় প্লটে লেখবার জন্য লেখককে চরিত্রগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড বানাতে হয়েছে এবং ডেভেলপ করতে হয়েছে। এর সাথে মুক্তিযুদ্ধ ও একটি ধর্ষণ মামলার বিচার-প্রক্রিয়া একটা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। চমৎকার লেখনী আর দুর্দান্ত প্লট আমাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হুকড করে রেখেছিল।
গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টুইস্টের কোন কমতি ছিল না। গোটা বইটাই রোলার-কোস্টার রাইড। এরপর কী হয় তা জানতে পাতার পর পাতা উল্টে যেতেই হয়। সোজাভাবে বলতে গেলে একদম পয়সা উসুল টাইপের কাহিনী। যে কোন থ্রিলারপ্রেমী পাঠককে আমি বইটি রেকমেন্ড করতে চাই।
তবে একটা ব্যাপারে সামান্য আক্ষেপ রয়ে গেছে। স্বল্প পরিসরে সমস্ত চরিত্র ঠিকভাবে ডেভেলপড হয়নি। খুবই সংক্ষেপে তাদের অতীত বর্ণিত হয়েছে, যার ফলে আরেকটু জানার আকাঙ্ক্ষা রয়ে গেছে। 

গল্পটি এমনঃ 
১৯ বছর আগে গাজীপুরের এক রিসর্টে খুন হয়ে যায় চারজন কিশোর কিশোরী। তাদের মধ্যে দুইজনের লাশ পাওয়া যায় এবং দুইজনের কোন হদিস মেলেনি। যাদের কোন হদিস মেলেনি তারা হলো – রাত্রি ও রাহাত। রাত্রি বর্তমানের নামকরা আইনজীবী আহমেদ মুনতাসির তপুর বোন; রাহাত হল তপুর বন্ধু। 
১৯ বছর পর হঠাৎ তপুর জীবনে আবার ফিরে আসে সেই বীভৎস সময়, নিঁখোজ রাহাতের লাশ পাওয়া যায়। যে এতবছর জীবিত ছিল কিন্তু ভিন্ন পরিচয়ে। এখন প্রশ্ন হলঃ ওই রাতে রাহাত যদি বেঁচে গিয়ে থাকে তাহলে রাত্রিও কী এখনো বেঁচে আছে? আসলে কী হয়েছিল সেই রাতে? এইসমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া হয়ে আবার মাঠে নামে তপু।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?