কুরআনের সৌন্দর্য
লেখক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন
বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা
পৃষ্ঠা : 144, কভার : পেপার ব্যাক
ভাষা : বাংলা
কুরআনের সৌন্দর্য বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য : কুরআন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এর সৌন্দর্য এতটাই অনুপম যে, তার অনুরূপ কোনো গ্রন্থ আজ অবধি কেউ রচনা করতে পারেনি, অনাগত দিনেও পারবে না। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আরবি না-জানা বা আরবি জানলেও কুরআনের ভাষা-অলঙ্কার সম্পর্কে গভীরভাবে অধ্যয়ন না করা একজন বংলাভাষী পাঠকের কাছে আজীবন অধরাই থেকে যায়। তিনি সারাজীবন শুধু শুনেই যান যে, কুরআন আল্লাহর নবির শ্রেষ্ঠ মুজিযা। এটি তাঁর নুবুওয়াতের সত্যতার প্রমাণ। কিন্তু তা কীভাবে—এটি তার বোধগম্য হয় না।এই বইতে কুরআনের সৌন্দর্যের খণ্ড খণ্ড চিত্তাকর্ষক চিত্রগুলোকে সরলভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি বইটি একজন বাংলাভাষী পাঠকের কাছে কুরআনকে আরও জীবন্ত, জীবনঘনিষ্ঠ ও মাধুর্যময় করে তুলতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।
বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছি পবিত্র কুরআন আল্লাহর কালাম। এ কুরআন কোন মানুষ রচনা করেনি, বরং তা আসমান থেকে এসেছে! দাবি করা হয়, কুরআনে কোন ভুল নেই, নেই কোন অসংঙ্গতি। এতে জ্বীন ও মানব জাতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে কুরআনের অনুরূপ তিন লাইনের একটি সূরাও তারা রচনা করতে সক্ষম হবে না।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তা বিশ্বাস করি। কিন্তু আরবি জ্ঞান না থাকায় বুঝতে পারি না, কেন কুরআন কোন মানুষের রচনা নয়? কেন কুরআনকে আসমানি কিতাব বলা হয়? কেনই বা এর অনুরূপ তিন লাইনের একটি সূরাও মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়? কি আছে এতে? কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে কুরআন দুনিয়ার সমস্ত কিতাব থেকে আলাদা, অনন্য।?
বক্ষমান বইটিতে কুরআনের সেই অনন্যতার ব্যাপারেই আলোকপাত করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে কুরআনের অনুপম সৌন্দর্যের কারুকার্য।
বইটিতে দেখানো হয়েছে পবিত্র কুরআনের শব্দ চয়ন এত সূক্ষ্ম ও অর্থবহ যে তা কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়।
ইতোপূর্বে ডা.জাকির নায়েক হাফি. এর দুটি লেকচার ‘কুরআন কি আল্লাহর বাণী’ এবং ‘কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান’ শুনে কুরআনের অলৌকিকতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিলাম। সেই থেকে কুরআনের ভাষাগত অলৌকিক বিষয়ে জানার জন্য তৃষ্ণার্ত ছিলাম। সে তৃষ্ণা মেটাতে কুরআনের অনুবাদ পড়া শুরু করে ছিলাম। অল্প পড়েই খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। অনুবাদ পড়ে কুরআনের সৌন্দর্য আর অলৌকিকতা হৃদয়োঙ্গম করা সম্ভব নয়। বক্ষমান বইটিতে লেখক সেই তৃষ্ণা মিটিয়েছেন। বইটি পড়ে বুঝতে পারছি কুরআনের প্রতিটি শব্দ এমনকি একেকটি হরফও বেশ সূক্ষ্মভাবে দক্ষতার সাথে চয়ন করা হয়েছে।
বইটি পড়া মাত্রই পাঠক লেখকের নিম্নোক্ত কথার সাথে একমত হবেন,
_” এই যে প্রতিটি ক্ষেত্রে ফিতা মেপে মেপে একেকটি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে শতভাগ সংগতিপূর্ণ, এটি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার কোন সাহিত্যিকের পক্ষে কি সম্ভব? কস্মিনকালেও না।”
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?