কালো জাদু থেকে বাঁচতে নিয়মিত সালাত আদায় করা উচিত!

একজন পাকিস্তানি যাদুকরের কনফেশনঃ

আমি মাঝে মাঝে কিছু জ্বীনদের পাঠাতাম যখন কেউ আমার কাছে অন্যের বিরুদ্ধে কালু জাদু করতে আসত। জ্বীনদেরকে বিভিন্ন খারাপ কাজের জন্য পাঠানো হত, যেমন কারো বাড়ির শান্তি অস্থিতিশীল করার জন্য, কারো অসুস্থতা সৃষ্টি করতে অথবা কারো মস্তিষ্ক এবং মেজাজ খিটখিটে করার জন্য। মাঝে মাঝে কারো উপর জ্বীন চালনা করা হলে কখনো কখনো জ্বীনেরা ফিরে এসে আমাকে বলত যে তারা কাউকেই সেখানে দেখতে পায়নি, আবার কখনো কখনো তারা বলত যে তারা শুধু তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছে কিন্তু তবুও কাউকে দেখতে পাচ্ছে না।

তখন আমি আফারিত দের (ইফ্রিদ) পাঠাই, যাদের ক্ষমতা জ্বীনদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তারাও একই অজুহাত দিয়ে ফিরে আসত।
এরপর আমি জ্বীনদের আবারও পুনরায় যাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে পাঠানো হয়েছিলো তাদের নাম, জায়গার ঠিকানা এবং কোন অবস্থানে আছে সেটি বলি। এবং তারা উত্তর দেয় যে হ্যাঁ আমরা আপনার বলে দেয়া জায়গাতেই গিয়েছিলাম কিন্তু তাদের খুঁজে পাই নি!
আমি তখন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম যে, ওইসব লোকদের  সুরক্ষার স্তর, তাদের চারপাশের সুরক্ষা বেস্টনি বেশ মজবুত।
আবার এমন কিছু লোক আছে যাদের আদৌ কোনো সুরক্ষা নেই, এদের কালো জাদু দিয়ে শিকার করা এবং ইচ্ছেমতো কালো জাদুতে আক্রান্ত করা আমার জন্য খুব সহজ।
যাদেরকে আফারিত (ইফ্রিদ) পর্যন্ত খুজে পায় না সেসব লোকজন কুরআন এবং সালাত দিয়ে তাদের চারপাশে ভালমত সুরক্ষা বলয় তৈরী করে রাখে। কিন্তু যখন তারা মাঝে মাঝে তাদের সালাত মিস করে, জ্বীনেরা তাদের দেখতে না পেলেও শুধুমাত্র তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে নির্দিষ্ট একটি দুরুত্ব থেকে।
যাদের প্রকৃত সুরক্ষা আছে, জিনরা তাদের দেখতে পায় না যাই হোক না কেন।
এবং তারপর আমি কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে বুঝতে পারলামঃ
*যখন তুমি কুরআন তেলাওয়াত করো, তখন তোমার এবং যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য পর্দা স্থাপন করে দেই*
যার অর্থ আপনি মানুষের মন্দ ব্যাপার এবং দুষ্ট জ্বীন উভয়ের বিরুদ্ধেই ঢাল (সুরক্ষা বলয়) পাবেন।”
প্রতিদিন কুরআন পড়ুন।
সহীহ মুসলিম এবং ইবন হিব্বানে নবী (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের ঘরগুলিকে কবরস্থানে পরিণত করো না (কোরআন বা জিকির যে ঘরে নেই)।
যেখানে সূরাতুল বাকারা (আয়াতুল কুরসি্),সূরা ইখলাস ফালাক্ব ও নাস্  নিয়মিত পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান ও দুষ্ট জ্বীন আতংকিত হয়ে পালিয়ে যায়।
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর আগে তিনকুল পড়ে দুই হাতের তালুতে ফু-দিয়ে সারা গায়ে মাসেহ্ করে ঘুমাতেন।
Credit : Raihan Mahmud Rumi
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?