কাজল চোখের মেয়ে – রিভিউ + পিডিএফ : লেখক সাদাত হোসাইন | Kajol Chokher Meye PDF Novel By Author Sadat Hossin

  • বই :  কাজল চোখের মেয়ে
  • লেখক : সাদাত হোসাইন 
  • প্রকাশনা : অন্যধারা
  • মূল্য : ২০০ টাকা
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা -৯৬
  • প্রচ্ছদ- শওকত শাওন
বই আলোচনায়…
“শোনো, কাজল চোখের মেয়ে,
আমার দিবস কাটে,বিবশ হয়ে,
তোমার চোখে চেয়ে।”
প্রথমটায় বলি,এই বইটি আমার পড়া লেখকের প্রথম বই। প্রথমে অনেকের মতো আমিও ভুল করি বইটাকে,উপন‍্যাস সমৃদ্ধ ভেবে।দোকানে গিয়ে হাতে নিয়ে দেখি,কবিতার বই।তাও আবার এতো সুন্দর লাইনে ভরাট।তাই কিনে ফেললাম।
পড়ার সময় বেশ উপভোগ করেছি।মূলত তিনটি পার্ট ছিল।যথা-কাজল চোখের মেয়ে,জলের আয়না,(অ)রাজনৈতিক।সাদাত হোসাইনের প্রত‍্যেকটা লেখাই দারুণ ছিল।যেমন-
🌼”তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া,
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খেয়া,
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক,
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও,
একলা একা সন্ধ‍্যা তারা,
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।”
🌼”ভুলে গেলে ভালো থাকা যায়, জানি,
তবু চাই,কিছু ব‍্যাথা ফিরে আসুক,
কেউ কেউ হয়ে থাক,দুরারোগ‍্য অসুখ!”
🌼”নদী যদি হতে জানে গভীর আরো,
আমিও নাবিক হবো, মানি।
কাজলের চোখ যদি হয় গাঢ়,
ডুবে যেতে আমিও জানি”
🌼”কী কাঁপে তোমার?শরীর,নাকি বুক?
বুকের ভেতর থাকে আসল ‘শরীর’, শরীর বুঝুক।”
এমন লাইনে ভরা বইটি। যতোই লিখবো,ততই কম পড়বে।আর রইল লেখনীশৈলীর কথা,এককথায় অসাধারণ। অনেকদিন পর সুন্দর কবিতা পড়ার ক্ষুধা মিটল।রেটিং করতে বললে ৫ এ ৪.৫ চোখ বন্ধ করে দিতে পারি।
বইয়ের নাম – বইয়ের নামটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আর কবিতাগুলির সঙ্গে বইয়ের নাম অনেকাংশে মিলেছে।
প্রচ্ছদ: বইয়ের নামের সঙ্গে বইয়ের কবিতার সঙ্গে প্রচ্ছদটি খুব মানিয়েছে।
❝শোনো, কাজল চোখের মেয়ে..
   আমার দিবস কাটে বিবশ হয়ে…
   তোমার চোখে চেয়ে…. ❞

কবিতার এই কাজল চোখের মেয়ের দেখা মিললো ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’এ। এই কাজল চোখের মেয়ে জিশা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী নাজিফা তুষির। কবিতার সুন্দর শব্দমালার মতো সত্যিকার অর্থেই নাজিফা তুষি অসাধারণ। বিভিন্ন সময়ে চরিত্র অনুযায়ী তার ফিটনেস, বডি ল্যাংগুয়েজ, ড্রেসসেন্স সবমিলিয়ে একটা পজেটিভ ভাইভ নিয়ে আসে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি রিলিজ পাওয়া ‘সিন্ডিকেট’এ এই আস্থাশীল অভিনেত্রীর অসাধারণ সৌন্দর্য্য এবং শক্তিশালী অভিনেতা আফরান নিশোর সাথে তার কেমেস্ট্রিও বেশ আলোচিত। 
জিশা চরিত্রে অভিনয় করা নাজিফা তুষি ওয়েব সিরিজটিতে গল্পের রং বদলাতে থাকবেন প্রতিটা মূহুর্তে। পর্দায় প্রেমিকের প্রতি আর্তনাদ, প্রেমিকের সাথে কেমিস্ট্রি, প্রেমিকের প্রতি মায়া, প্রেমিকের জন্য যে মানসিক ভাবে ভিন্ন এক জগতে জড়িয়ে যাওয়া—সবকিছুই যেনো ফুটে উঠেছে তুষির অভিনয়ে। 
রহস্যময় তরুনী জিশা চরিত্রে নাজিফা তুষি বেশ উপভোগ্য ছিলো পুরো সিরিজ জুড়ে । তবে আফরান নিশোর সাথে তার রসায়ন বিশেষ করে একটি কবিতা নিশো যখন আবৃত্তি করেছেন সেই সময় তারা দুজনেই নিজেদের আবেগ এবং সবটুকু দক্ষতা দিয়ে যেভাবে উপস্থাপন করলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। জিশা চরিত্রে নাফিজ টুষি নিজের প্রেমিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে এক আর্দশ প্রেমিকার মতো চোখে,মুখে এবং অভিব্যক্তিতে যেমন এক অদ্ভুত মায়া ফুটিয়ে তুলেছেন সাবলীলভাবে, তেমনি অজানা কারনে নিজের মধ্যের হতাশা, আতংক এবং অস্বস্তির মতো নানা উপাদানেরও দেখা মিলেছে জিসার চরিত্রের মাধ্যমে। 
মোটকথা, জিশা চরিত্রটি নাফিজা টুষির ক্যারিয়ারের একটি অন্যতম মাইলফলক হয়ে থাকবে।
কথায় আছে চোখঁ যে মনের কথা বলে!আদো কি চোখঁ কথা বলতে পারে?
হ্যাঁ পারে!তবে সেই ভাষা বোঝার জন্য নিশ্চয় চোখেঁর মতো চোঁখ লাগবে!কারণ,চোখেঁর সে ভাষা হলো মায়ার ভাষা।মায়া বুঝা এবং তার যথাযথ মূল্যায়ন করার মাঝেই স্বর্গসুখ পাওয়া গেলেও সেই সুখের ভোগ কম লোকই পান।কেননা,মায়ার জালে জড়িয়ে পড়তে তাদের ভীষণ ভয় হয়।
গল্পের মানুষ “সাদাত হোসাইন” মনে করেন মায়া হচ্ছে মূলত চোখেঁর কাজল!যার উৎপত্তিস্থল মনের গভীরে।তিনি “কাজল চোখেঁর মেয়ে” বইটিতে মায়াবতী কোনো চোখেঁর গল্প করতে যেয়ে বলেছেন সবারই নিজেস্ব একজন মানুষ লাগে যে কিনা আপনার জন্য চোঁখ ভর্তি মায়া নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে, আপনার চিন্তায় বিহ্বল থাকবে, আপনি শূণ্যতায় কাতর হবে কিংবা আপনাকে পেয়ে বিজয়ের উল্লাসে প্লাবিত হবে…
তিনি আরো বলেছেন কাজল চোখেঁর মেয়েরা সর্বনাশী হলেও যার চোখেঁ চেয়ে বিবশ হয়ে দিবস কাটানো যায় তাকে ভালবাসার কথা।কেননা,ল্যাম্পপোস্টের আলো সন্ধ্যাকে ঝলমল করলেও প্রেমিক পুরুষের বুকের জমাট আধাঁর দুর করতে কেবল সেই মেয়ে প্রদীপই জানে ভালো।
তাই কাজল চোখেঁর মেয়ের কাছে প্রেমিকের হোক এমন সবিনয় আত্মসমর্পণ,
শুনছো মেয়ে,এই শহরের একটা বুকে,
তোমার নামে সকাল,দুপুর, সন্ধ্যা নামে…
বি:দ্র: বইটিতে অটোগ্রাফ হিসেবে সাদাত হোসাইন লিখেছেন “জান্নাত জীবন জানুক ভালবাসার গল্প”।
নিশ্চয় কবি আমার রিভিউ পড়বেন, তাই কবির কাছে আমার আকুল আবেদন উনার পাঠকদের ভালবাসার গল্প জানানোর জন্য তিনি যেন নিত্যনতুন ভালবাসায় টইটুম্বুর গল্প উপহার দিতে থাকেন।
সাহিত্য ব্যঞ্জন বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা 
বুক রিভিউকারীঃ সামিয়া 
বইঃকাজল চোখের মেয়ে।
লেখক: সাদাত হোসাইন।
প্রকাশনী: অন্যধারা।
প্রথম প্রকাশ: অক্টোবর ২০১৮।
ক্যাটাগরিঃ রোমান্টিক কাব্যগ্রন্থ।
মুল্যঃ২০০।
বইয়ের সারাংশ নিয়ে আমার অনুভূতিঃ
       যদি প্রশ্ন এমন হয় ‘কবিতা কী গল্প নয়?
তাহলে আমি বলবো এক একটা কবিতা এক একটা গল্প । কিন্তু গল্প বলার ধরণগুলো কেবল আলাদা আলাদা ।হয়তও আলাদা বলেই প্রত্যেক টা কবিতাকে আমি ছ’ পৃষ্ঠার একটা গল্পে যা বলে আখ্যায়িত করতে পরি সহজেই, আমার মাঝে মাঝে এমন তা হয়তো এমন দুই লাইনেই বলে ফেলতে পেরেছি বলে মনে হয়।
 অনুধাবনকৃত বইযের বিভিন্ন অংশঃ
           ‘কোথায় যাবে তোমার মানুষ রেখে?
মানুষ কেন হারিয়ে গেলে, মানুষ পাওয়া শেখে?’
কিংবা 
       ‘শোনো, কাজল চোখের মেয়ে,
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে’।
কিংবা,
        ততটুকু দিও, যার পরে আর, কিছু চাইবার, বাকী না থাকে!
ততটুকু নিও, যার পরে আর, পিছু চাইবার, ফাঁকি না থাকে!
      যেতে হলে, এখুনি যাও, পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে,
থেকে গেলে, এখুনি থাকো, বেলাশেষে ছায়া বেড়ে যাবে।
      আমি যা লুকিয়ে রাখি, গভীর, গোপন, তার সবটুকুই তোমার আপন।
      মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক, 
মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা!
মেঘ তো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে, 
আমার কেবল জমছে আকুলতা।
    ততটুকু হোক দেনা,
যতটুকু হলে, ফিরে আসবার
পথটুকু থাকে চেনা।
      ‘কাজল চোখের মেয়ে’ বুকের ভেতর পাখির ভেজা পালকের স্পর্শে তিরতির বয়ে যাওয়া অজস্র অনুভূতির নদী ছুঁয়ে দেয়ার গল্প, চাইলে তাকে আপনি কবিতা বলতে পারেন, নাও পারেন। কিন্তু স্পর্শ বলবেন, স্পর্শিত হবেন, তা নিশ্চিত।
বইটা কেন এত মুগ্ধতায় টাকা তার আরো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
         এই যে এমন করে ফিরিয়ে দাও,
আমি চলে গেলে কে লিখবে কবিতা?
যদি বিদ্বোহ করে বসে চোখ, কাজল না বসে আর চোখে?
যদি শান হয় ঠোট, কবিতার শোকে!
যদি নীল শাড়ি রঙ ভূলে যায়, উড়ে যায় সুগন্ধি চুল,
যদি মন হয় বরফের নদী, মৃত্যুর বিষাদে ব্যাকুল।
আমি চলে গেলে, জোছনায় কে হবে ভুল?
কে হবে ছায়ার মতো লীন, তোমাতে আকুল!
এই যে ফিরে যাই অবহেলা বুকে, ফিরে চাও?
ডেকে বলো, থাকো? তুমি ছাড়া কিছু নেই, আরতো কোথাও!
কবিতার খাতা যদি ফাঁকা থাকে, ফাকা থাকে মন,
আমি ছাড়া তুমি, তোমার কাজল চোখ, বাঁচে কতক্ষণ?
এবার ফিরাও তবে, আমাকে হে নারী,
আমাতেই বেঁচে আছো তুমি, আমাতেই বাড়ী ।
তবে, আবার কবিতা হোক,
বুকে বুকে জান্তক আবার, একজোড়া মায়াবতী নদী,
তোমার কাজল চোখ ।
এমন জলের রাতে নদী হই যদি,
যদি- তোমাকেই জমা রাখি বুক অবধি।
আধারের রঙ ছুঁয়ে তুমিও খানিক,
আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক!
কুড়িয়ে নিয়েছি সব, জমা ছিলো যত
পিছুটান পিছে ফেলে সীমানা ছাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দীড়াই!
উড়িয়ে দিয়েছি ঘুড়ি সুতোটুকু কেটে
পুড়িয়ে দিয়েছি চিঠি জমা বুক পকেটে,
এখন পথিক হয়ে পথে পা বাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাড়াই?
আয়নায় জেগেছিলো কাজল দু চোখ,
লেগেছিলো লাল টিপ, স্মৃতির সূচক,
তার সব ভেঙে কীচ দু পায়ে মাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দীড়াই?
বইটির প্রস্থচ্ছেদঃ
           বইটি হালকা বেগুনী রংয়ের এক রমনীর ছবি দিয়ে সজ্জিত “কাজল চোখের মেয়ে” নামের দ্বারা বা উপর নির্মিত হয়েছে পুরো প্রচ্ছদ। একদম বইয়ের ভিতরে থাকা কবিতাংশের সাথে যেন খুব গভীর যোগ সূত্র। 
চোখ না সরিয়ে একমনে তাকিয়ে থাকার মতো প্রচ্ছদ দারুণ চোখ মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ । 
বইটির ভূমিকাঃ
          আমার কাছে বইয়ের ভূমিকা সম্পর্কে বলার মতো ভাষা নেই যেখানে লেখক সাহাত হোসাইন নিজে-ই নিজের বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন।
প্লট এবং বইটি বাঁধাইঃ
         বইয়ের কবিতা গুলো এক একটা অধ্যায় যা অতুলনীয়। যা প্রতিটা কবিতায় ছ পৃষ্টার এক একটা গল্প। 
মন্তব্যঃ
পরিশেষে, আস্তা স্বরূপ বলতে পারি বই টা কিনে কেউ টকবেন নাহ পয়সা উসুলের দারুণ কিছু পাচ্ছেন এর ভেতর।
এই দারুণ কিছু যদি হয় আমার অাপনার ভেতরকার জমানো কথাগুলি তাহলে চমকে ওঠার কিছু নেই! কারণ লেখক সাদাত হোসাইন একজন ম্যাজিশিয়ানও বটে! মানুষের ভেতরে জমা কথা গুলো তিনি খুব সহজেই লিখে ফেলতে পারেন। এজন্যই হয়তো বলা হয়ে থাকে তিনি একজন ‘সামগ্রিক অনুভুতির হ্যাকার’
সাদাত হোসাইন এত সুন্দর শব্দ দিয়ে অনুভূতি তৈরী করেন যা প্রতিটা পাঠকের অনুভবের সংখ্যা আরো দিগুন হয়ে যায়।

Author Information

Sadat Hossain

 সাদাত হোসাইন

স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ’সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি’ নির্মাণ করেছেন ‘গহীনের গান’ এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

আরও জানতে বইটা পড়তে হবে। সকলের সুস্থতা কামনা করি,ধন‍্য্যবাদ। Download Kajol Chokher Meye PDF 
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?