অমর একুশে বইমেলায় ‘দেয়াঙ পাবলিশার্স’ থেকে আমার প্রথম কবিতার বই ‘কপালের কৌতুক’ আসছে। প্রচ্ছদ করেছেন অগ্রজ কবি সারাজাত সৌম ভাই। আগ্রহীদের জন্য বই থেকে দুটি কবিতা দেওয়া হলো। আর আমার বইয়ের পাণ্ডুলিপি নিয়ে অগ্রজ ও সমবয়সী কবির পাঠ-পরবর্তী অনুভূতিগুচ্ছ দেওয়া হলো।
❑বই থেকে দুটি কবিতা নিম্নরূপঃ
দাবানল
❑
ফুরিয়ে যাচ্ছে জীবনের রঙ; এখানে কেবল অন্ধকার! প্রবাহমান নদীতে নীলাভ রঙ ওঠে, ছায়া হয়ে হাঁটছে পৃথিবী। বিষাদের এই ছায়াপথ ধরে—চেয়েছিলাম লাশ হতে; কবরের ভেতর ঢুকতে গিয়ে—কার ভেতর ঢুকে পড়লাম?
এখানে রমণীর দু’হাত; পিছুটান রাখিনি, তবুও—গোলাপি ঠোঁটের কামিনী চাহনিতে—উন্মাদের মতো ছটফট করছি!
এখানে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। বরফের স্পর্শে—পরম মমতায় গড়ে উঠছে প্রেমের শহর। সোল্লাসী কচি সবুজ পাতা বেয়ে—সঙ্গমের ডাক আসে। …অতঃপর সঙ্গম সুখে ডুবে যাচ্ছে বিচ্ছেদী শহর।
আবিষ্কার
❑
একদিন, নিজেকে আবিষ্কার করলে সমুদ্রতীরে। সমুদ্র তার সমস্ত জল ছুড়ে দিলো তোমার দিকে। কেন জানি, সমস্ত জল পৌছে গেল তোমার স্মৃতির ভেতর! ফলে, স্মৃতিশূন্য হয়ে গেলে তুমি!
একদিন, নিজেকে আবিষ্কার করলে একটি আয়নাঘরে। ভুলে, চুমু দিয়ে বসলে পুরনো আয়নায়! ফলে, সমস্ত স্মৃতি ফিরে আসতে শুরু করে। স্মৃতি ফিরে আসার পর দেখলে—চিরকালের মতো হারিয়ে যাচ্ছো একজন কবির ভেতর!
❑পাঠ-পরবর্তী অনুভূতিগুচ্ছ নিম্নরূপঃ
“পাণ্ডুলিপি পাঠের এই একটা সুবিধা যে, একজন কবিকে তার পূর্ণাঙ্গরূপে পাওয়া যায়, তার স্বর একটু হলেও চেনা যায়। দেখলাম—নদী, পাহাড়, সমুদ্র, মৃত্যুচিন্তা, স্বর্গ-নরক, প্রেম, বিষণ্নতা, স্তন, যোনি, নারী ইত্যাকার বিষয়গুলো আপনার কবিতার বিষয় হয়ে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। এতে আছে না পাওয়ার হাহাকার, আছে মৃত্যুগামিতা, আছে নারীর বুকে জলজ সাঁতার। ‘পাণ্ডুলিপি’ পড়ে এই বোধ চূড়ান্তরূপে আমাকেও পেয়ে বসলো যে, কী যেন এক বিষণ্ণতা—হারিয়ে ফেলা প্রেমিকার মায়াবী ঘোরে নষ্টালজিক করে তোলে মুহূর্তে!” 🍀
—সাগর শর্মা (কবি)
“কবিতাগুলো (পাণ্ডুলিপির) পাঠ করে আমার খুব ভাল লাগলো। কিছুকিছু জায়গায় একটু ঠিক করে নিলে ভাল দেখাবে। নিজস্ব স্বরটাকে ক্যারি করো। 🍀
—রিমঝিম আহমেদ (কবি)
“যদি কোনো কারণে অমরত্ব পেয়ে যাস, তবে তা ‘সন্ধান’ কবিতার জন্যই পাবি। এই কবিতা তোকে অমরত্ব দেবে। এটা আমার দিক থেকে বিবেচনা, বাকি কবিতাগুলো বাকি পাঠকদের বিবেচনা করতে দে।” 🍀
—সাদিক আল আমিন (কবি)