এটিটিউড কি? Attitude এর দুটি প্রকার!

আপনার “এটিটিউড” যেমনই হোক না কেনো যদি এই লেখা গুলো পড়ার পরে আপনার এটিটিউড পরিবর্তন না হয়, তাহলে আপনি আমাকে কমেন্টে কিছু একটা বলে দিয়েন।

এটিটিউড ২ রকমের হয়। 
একটি হলো Winer attitude আরেকটি হলো Loosers attitude
 
স্টিভ জবস ও তার টিম যখন i- phone তৈরি করছিলেন তখন তারা একটি মোবাইল তৈরি করেন যা সাইজে একটু বড় ছিলো। এটা দেখার পর স্টিভ জবস বলেন, এটাকে আরো ছোট ও পাতলা করতে। আর তখন টিমের বাকি সবাই বলে তারা এই মোবাইলকে এর থেকে বেশি পাতলা করতে পারবে না। এরপর স্টিভ জবস পাশে থাকা একটা একুরিয়ামের মধ্যে মোবাইলটা ফেলে দেয় আর সেখান থেকে কিছু বুদ বুদ বের হয়ে আসে। আর তখন স্টিভ জবস তার টিমের সবাইকে বলে, যদি এই ফোনে বাতাসের জন্য জায়গা থাকতে পারে তাহলে এর অর্থ হলো, আমরা একে আরো পাতলা করতে পারি।
আর এটাই হলো উইনার এটিটিউড। এটা জন্ম থেকে আসে না। এটাকে নিজের মধ্যে ডেভলব করতে হয়। উইনার এটিটিউডের মানুষগুলো সবকিছুকে আলাদা চোখে দেখে। তাই যেখানে সবাই সমস্যা দেখতে পায়, সেখানে এরা সুযোগ খুজে পায়।
একটি লোক ছিলো যে কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতো। তার স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার কিন্তু তার কথা আটকে যাওয়ার জন্য সে কোথাও কাজ পায়নি।কিন্তু নিজের জেদ ছিলো তাই হার মানেন নি। এরপর তিনি নিজে একটা শো এর আয়োজন করেন, যেখানে কথা না বলেও নিজের বডি লেঙ্গুয়েজ ও তার কাজ দিয়েই সবাইকে হাসাতেন। আর ওই শো টি সুপার হিট হয়। আর লোকে ওনাকে অনেক পছন্দ করা শুরু করে। আপনি হয়তো এখন বুঝতেই পারছেন আমি কার কথা বলছি?
হ্যা, আমি কথা বলছি, মিঃ বিনের কথা।
যদি নিজের দূর্বলতার কারণে উনি হার মেনে নিতো, তাহলে কি এই পৃথিবী উনাকে কখনোই চিনতো??
কখনোই চিনতো না।
সবাইকে বলছি, সমস্যা সবার জীবনেই আছে। হ্যা, আপনি যতোদিন বেঁচে থাকবেন সমস্যা আপনার ততোদিনই থাকবে। কিন্তু এই সমস্যাকে আপনি কিভাবে দেখবেন সেটা আপনার উপরে নির্ভর করে।
তাই পরিস্থিতি যতোই খারাপ হোক না কেনো সেখানে ভালো কিছু খোজার চেষ্টা করুন। কারণ সমস্যা কখনো একা আসে না। এ সাথে করে অনেক সুযোগও নিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের ফোকাস সমস্যার দিকে এতোটাই হয়ে যায় যে, আমরা ওই সুযোগ গুলোকে দেখতেই পাই না।
মনে রাখবেন, এই পৃথিবী কেবল সেই লোক গুলোকেই মনে রাখবে যারা তাদের সমস্যার সাথে মোকাবেলা করে আলাদা করি করে দেখায়।
যেখানে আমরা একবার ফেল করলে হার মেনে নেই সেখানে “জ্যাক মা’কে” ত্রিশ বার ইন্টারভিউতে রিজেক্ট করে দেওয়া হয়। আর সেটাও কেবল একটা ওয়েটারের চাকরির জন্য। কিন্তু ওনার এটিটিউড ওনাকে হার মানতে দেন নি। আর ইনি প্রতিটি ফেলইয়োরকে আলাদা চোখে দেখেছেন আর সেখান থেকে শিখেছেন।
আর যাকে একবার ওয়েটারের চাকরির জন্য ত্রিশবার রিজেক্ট করে দেওয়া হয়, সেই লোকটিই আজ চায়নার সব থেকে ধনী লোক। আর এটিই হচ্ছে এটিটিউডের পাওয়ার।
একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন,
ভূল তার সাথেই হয়, ফেল সেই করে যে চেষ্টা করে। আর এদের ভূল গুলো কেবল তারাই খোজেঁ যারা নিজে কিছু করে না।
তাই আপনার চিন্তা আপনার এটিটিউড এতোটা পজেটিভ রাখুন যা আপনার জীবনে যতো বড় সমস্যাই আসুক না কেনো আপনি তার মোকাবেলা করবেন। 
ফেলইয়োরকে মেনে নেওয়া শিখুন। কারণ আজকাল ফেল সবাই হয়। আজ যে সফল, সে কখনো না কখনো ফেল হয়েছিলো।
আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন প্রেসিডেন্ট হবার আগে ১২ বার ইলেকশনে হেরে গিয়েছিলেন।
যদি তিনি ২/১ বার ফেল হবার পর হার মেনে নিতো তাহলে আজকে এদের নাম আমি আপনাদের বলতাম না। তাই আবারও বলছি, ফেলইয়োরকে ভয় পাবেন না। বরং এখান থেকেই শিখুন।
আপনি হয়তো শুনে অবাক হবেন, ৯৯% লোক ফেল হবার ভয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করে না। আর কেবল ১% লোকই এমন আছে যারা ফেল হয়ে যাবার পরেও চেষ্টা করতে থাকে। ফেল করাটা খারাপ কিছু না। ফেলইয়োরের সাথে লড়াই করেই সফল হওয়ার চেষ্টা করতে হয়।
তাই আপনাকে নিজেকেই ঠিক করতে হবে, আপনি ওই ৯৯% লোকের মাঝে থাকতে চান? নাকি ওই ১% লোকের মাঝে থাকতে চান?
সব শেষে আপনাদের ছোট একটা গল্প দিয়ে লেখার শেষ করতে চাই,
একটি গ্রামে একটি লোক থাকতো। সে অনেক বেশি ড্রিংকস করতো। ওনার দুটি ছেলে ছিলো যারা ওদের বাবাকে রোজ এই অবস্থাতেই দেখতো। আর ১০ বছর পরে প্রথম ছেলেটি তার বাবার মতোই ড্রিং করা শুরু করে আর অপর ছেলেটি (আই এস) অফিসার হয়ে যায়।
আমি লিমন। একজন লেখক। আমার লিস্টে কিছু পাঠক দরকার। তাই কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলে এক্সেপ্ট করবেন। অথবা আপনারাও দিতে পারেন, আমি গ্রহণ করবো।
যখন দুজনকেই তাদের এই অবস্থার কারণ জিজ্ঞেস করা হয় তখন দুজনের উত্তর একই ছিলো। দুজনেই বলে, আজ আমি যাই কিছু তা কেবল মাত্র আমার বাবার জন্য। 
“এখানে সমস্যা দুজনের একই ছিলো কিন্তু এদের এটিটিউড দুজনকে আলাদা করেছে”
Problem are same but attitude make different. 
Think about itit…
ধন্যবাদ সবাইকে
লেখক আতিকুর রহমান লিমন।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?