উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি | অডিও বই | রিভিউ | পিডিএফ

  • উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি PDF Download
  • লেখক : মাওলানা ফয়সাল আহমাদ নদবী
  • প্রকাশনী : নাশাত
  • বিষয় : ইসলামি বিবিধ বই
  • অনুবাদক : যহীরুল ইসলাম
  • পৃষ্ঠা : 48, কভার : পিডিএফ
  • ভাষা : বাংলা

উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি

জ্ঞানের এ পৃথিবীতে আমরা সকলেই চাই জ্ঞানী হতে, জানার পরিধি বাড়াতে এবং সমাজের উচ্চাসনে পৌঁছতে। সেজন্য হতে হয় অনেক কঠোর পরিশ্রমী এবং সংশ্লিষ্ট শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ সময় অনুশীলন করতে হয়। এটা যেমন জাগতিক শিক্ষাকারিকুলামে প্রযোজ্য তেমনি ধর্মীয়শাস্ত্রেও আবশ্যক। কিন্তু আজকাল সমাজের একশ্রেণির অসাধু লোক ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে কিংবা কয়েকটি গ্রন্থ পড়ে নিজেকে জ্ঞানী ভাবছে, যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে মত দিচ্ছে, যার দরুন সমাজের মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং দিনদিন এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেফাজত করুন।

বিষয়টি যদিও আরও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার দাবি রাখে; কিন্তু, লেখক খুবই সফলভাবে বিষয়টির সম্ভাব্য সবদিক নিয়ে আলোচনা করেছেন সংক্ষিপ্তাকারে, সালাফ ও খালাফের গ্রন্থাদির আলোকে।
গ্রন্থটির অনুবাদ শেষ হয়েছে প্রায় দু’বছর আগে। নদওয়াতুল উলামার প্রথমবর্ষের শুরুর দিকের কথা—একদিন আসর নামাজ পড়ে অপেক্ষা করছি উসতাদে মুহতারাম মাওলানা ফয়সাল আহমাদ নদবী হাফিজাহুল্লাহর জন্য। তিনি বেরিয়ে এলেন, নিজ থেকেই হাত বাড়িয়ে মুসাফাহা করে খোঁজখবর নিলেন। কথাপ্রসঙ্গে আমি তার লিখিত দুটো কিতাব অনুবাদের কথা বললে তিনি খুশি হয়ে অনুমতি দিলেন এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত অনুমোদন দেবেন বলেও জানালেন। অনুবাদ শেষ হওয়ার পর তাকে জানালাম—শুনে তিনি অনেক দোয়া দিলেন। কিছুদিন পর লিখিত অনুমতিও আমার হাতে তুলে দিলেন। জাযাহুল্লাহ খাইরান।
এরপর কেটে যায় দীর্ঘ এক বছর কিংবা আরও বেশি। এরই মাঝে হঠাৎ একদিন পরিচয় হয় নাশাত পাবলিকেশনের শ্রদ্ধেয় আহসান ইলিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে। কথাপ্রসঙ্গে তিনি জানতে চাইলেন আমার লেখালেখি সম্পর্কে—আমিও তখন আমতা-আমতা করে দুয়েকটা বিষয় জানালাম। গ্রন্থ-দুটো তিনি প্রকাশ করতে চাইলেন। আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম; কারণ, এখনও কোনোদিক থেকেই বইপ্রকাশের উপযুক্ত হইনি, সবদিক থেকেই আছে নিজের ভেতরে
অনেক কমতি। তারপরও দু’একজন উসতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ভাষা সম্পাদনা করতে হবে বলে আহসান ভাইকে জানালাম। তিনি রাজি হলেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ করবেন বলে জানালেন। আল্লাহ তায়ালা লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, পাঠকসহ শুভানুধ্যায়ীদের সর্বোত্তম প্রতিদানে ভূষিত করুন।
যহীরুল ইসলাম ২৮-১২-২০২০

2021

দ্য ইম্ব্যালান্সড বাফেলো বইটি কেন পড়বেন? লেখক: রাজীব হোসেন | The Imbalanced Buffalo By Rajib Hosen

More Jay Nokkhotrera : Javed Rasin Book | মরে যায় নক্ষত্রেরা লেখক জাবেদ রাসিন বই রিভিউ

আই লাভ ইউ বই রিভিউ – লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ | I Love You : Mohammad Atiq Ullah Books

আগুনি : লেখক : মাহবুব আজাদ | Aguni By Mahbub Azad Books

ইলুমিনাতি এজেন্ডা : ডিন এবং জিল হ্যান্ডারসন – পাঠ প্রতিক্রিয়া! Iluminati Agenda Boi

খুন উপন্যাসটি কেন পড়বেন? মিনা শারমিন | Khun By Mina Sarmin Books

চন্দ্রভুক : মুনিরা কায়ছান – বইটি কেন পড়বেন? Chandrovuk By Munira Kaysan Books

নীলুফার বইটি কেন পড়বেন? লেখক: সাইফুল ইসলাম | Nilufar By Saiful Islam Books

পুষ্প ফুটিবার তরে : হাফিজ পাশা – চমৎকার কিছু তথ্য | Pushpo Futibar Tore By Hafiz Pasha Books

বই : পিনবল – এম. জে. বাবু | Pinbol By M J Babu Books

বই অভিনেতা পাঠক অনুভূতি! : মুনীরা কায়ছান | Ovineta : Munira Kaysan Books

বই মায়ের চিঠি : লেখক পরিতোষ বাড়ৈ | Mayer Chithi : Author Poritosh Bare

বাঙলা বানান রীতি বইটি কেন পড়বেন? : জাফর সাদিক | Bangla Banan Riti By Zafar Sadiq

ইলমের একটি মুতাওয়ারাস সিলসিলা আছে। একজন ছাত্র দ্বীনের জ্ঞান ও ব্যবহারিক চর্চা সরাসরি তাঁর উস্তাযের তত্ত্বাবধানে থেকে শিখেন। সেই ছাত্রকে শিক্ষাদানকারী উস্তায শেখেন তাঁর উস্তায থেকে। সেই উস্তায শিখেন তাঁর উস্তায থেকে। এভাবে সিলসিলাটি রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই চেইন খুবই শক্তিশালী। চাইলেই এই সিলসিলাতে যেকেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন নিজ উস্তাযের ইযাযত (আলিম হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ অনুমতি) ও অর্জিত ইলমের আমানত রক্ষা।

এই ধরনের অসংখ্য সিলসিলার অংশ হয়ে অত্যন্ত আমানতদারীতা ও সতর্কতার সহিত আমাদের পূর্বেকার উলামায়ে কেরাম নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাতের দ্বীনকে আমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। এই মুতাওয়ারাস সিলসিলাগুলোই দ্বীন শিখার প্রধান এবং একমাত্র মাধ্যম।

সরল মনে একটা প্রশ্ন করি। ধরুন, একজন ছাত্র মেডিক্যালের কিছু বইপত্র কিনে পড়া শুরু করলো এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে চিকিৎসা বিদ্যা শিখতে লাগলো। এখন, কোনো স্বীকৃত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা বিদ্যা না শেখা এই স্বশিক্ষিত ডাক্তারের কাছে কি আপনি চিকিৎসা নিবেন? সোজাসাপ্টা উত্তর,না। কেনো? কারণ, চিকিৎসা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগমুক্তির চেয়ে শরীরের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশংকাই বেশি। কিন্তু,এই সতর্কতার কথা আমরা দ্বীন শিখার ক্ষেত্রে যেনো বেমালুম ভুলে যাই। সরাসরি যোগ্য উস্তাযের তত্ত্বাবধান ছাড়া স্বশিক্ষিত আত্মস্বীকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই আমরা ইলমে দ্বীন শেখা শুরু করি। যেসব ব্যক্তির নেই কোনো সনদ এবং ইযাযত। চিকিৎসা গ্রহণে আমাদের কত সতর্কতা! অথচ, একজন হাতুড়ে চিকিৎসক কতজন রোগীর ক্ষতি করতে পারে? কিন্তু, একজন স্বশিক্ষিত আত্মস্বীকৃত আলিম দাবিদার ব্যক্তি হাজারো মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন। তবুও, এই ক্ষেত্রে আমাদের কতো অসতর্কতা, অবহেলা! বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে এই ফিতনা তো আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখন, কিছু বইপত্র অধ্যয়ন করেই যেকেউ দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেওয়া শুরু করছেন, দেদারসে ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছেন। আর, আমরাও চোখ বন্ধ করে তাদের কথা গ্রহণ করে নিচ্ছি।

‘উস্তায ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি’ বইটি মূলত স্বশিক্ষিত আলিম সম্পর্কেই। বইটিতে প্রথমেই সম্মানিত লেখক কুরআনুল কারিম, হাদিসে নববী ও বরেণ্য ইমামদের বক্তব্য দ্বারা ইলম অর্জনে উস্তাযের প্রয়োজনীয়তা অকাট্যভাবে তুলে ধরেছেন। অতঃপর, ইলমের সিলসিলা সম্পর্কে আলোচনা করে নিজস্ব অধ্যয়নের মাধ্যমে আত্মস্বীকৃত আলিম হওয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সেই সাথে স্বশিক্ষিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে সর্বজনস্বীকৃত ইমামদের মতামত তুলে ধরেছেন। বইয়ের শেষ দিকে ইলমের ময়দানে এসব আত্মস্বীকৃত আলিমদের অগ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরার পাশাপাশি কিভাবে এই ফিতনা থেকে বাঁচা যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। সবশেষে, ইলমি বিষয়ে মতামত দেওয়ার শর্ত উল্লেখ করে বইয়ের সমাপ্তি টেনেছেন।

বইটি অধ্যয়নে চিন্তার অনেক খোরাক পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, এই ফিতনা থেকে নিজকে রক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করা যাবে, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা লেখককে উত্তম জাযায়ে খাইর দান করুন। আমিন।

Mohammad Raihaan ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, যার মাধ্যমে বইটি পড়ার সুযোগ হয়েছে।
(আমার বুক রিভিউর পোস্টগুলো যেকেউ নিজের নামে ব্যবহার করবে, এই অনুমতি নেই। কপি করলে দয়া করে অন্তত ‘সংগৃহিত’, ‘copied’ ইত্যাদি শব্দগুলো কপি পোস্টে উল্লেখ করে দিবেন। জাযাকাল্লাহ।)

Review Credit 💕 Jaynul Abedin Fahim

নিজের মধ্যে ইলম ধারণ করবার বিবেচনায় সমাজে তিন শ্রেণির লোক রয়েছে। প্রথমত, রাসেখ ফিল ইলম তথা কোনো শাস্ত্রে গভীর পাণ্ডিত্য অর্জনকারী আলিম, যিনি দীর্ঘ সময় বিজ্ঞ আলিম উসতাদের বিশেষ সান্নিধ্যে থেকে দীনি ইলমের বিশেষ কোনো শাখায় পরিপক্কতা অর্জন করেছেন, ইলমি সমস্যার সমাধান দেওয়ার যোগ্যতা যার রয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে দীনি দিকনির্দেশনা প্রদান করার যিনি উপযুক্ত। এই শ্রেণিটিই সমাজের প্রাণকেন্দ্র। দীনি ও ইলমি সমস্যার সমাধানে তাদের দ্বারস্থই হওয়া উচিত।
দ্বিতীয়ত, মাদরাসার ওই সমস্ত শিক্ষার্থী, যারা একটা দীর্ঘ সময় ধরে যদিও মাদরাসার কোনো বিশেষ পাঠ্যক্রম শেষ করেছেন; কিন্তু কোনো একক শাস্ত্রে ‘রুসুখ’ বা গভীরতা অর্জন করেননি; এদের উচিত—ইলমি বিষয়ে, বিশেষ করে ফতোয়া প্রদান করা থেকে একেবারেই দূরে সরে থাকা, তারা বরং নিয়োজিত থাকবে নিজের ও অন্যদের বাস্তব জীবন সুন্দর থেকে সুন্দরতর করবার প্রচেষ্টায়।
তৃতীয়ত, এই দুই শ্রেণির বাইরে যারা আছেন৷ জাগতিক শিক্ষায় তিনি যত বড়ই ডিগ্রিধারী হোন না কেন কিংবা তার ব্যক্তিগত অধ্যয়নের পরিধি যত দীর্ঘই হোক না কেন, তাদের উচিত নিজেকে পূর্ণরূপে কোনো বিজ্ঞ আলিমের কাছে সঁপে দেওয়া৷ অন্তত ইলমি ও দীনি বিষয়ে আলিমের মুখাপেক্ষী থাকা তাদের জন্য আবশ্যক। দীনি বিষয়ে মতামত দেওয়া কিংবা আলিমদের সাথে বাহাস-বিতর্কে লিপ্ত হওয়ার কোনো অধিকার তাদের নেই।
আবার দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত অনেকে এমন রয়েছেন, যাদের ইলমি অবস্থান সাধারণ লোক থেকে খুব বেশি ভিন্ন নয়। তাদেরও দীনি বিষয়ে পরিপূর্ণ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত৷ সে নিজেকে সান্ত্বনা দিবে যে, তার কর্মক্ষেত্র ইলমের ময়দান নয়। শেষোক্ত দুই শ্রেণির উচিত ইমাম সুফিয়ান বিন উয়াইনা রহিমাহুল্লাহর কথাটি হৃদয়ে গেঁথে নেওয়া৷ তিনি বলেন :
التسليم للفقهاء سلامة للدين
নিজেকে ফকিহদের কাছে সঁপে দিলেই নিরাপদ থাকবে আমার দীন৷”
‘আলজাওয়াহিরুল মুজিয়্যাহ, ১/৩৫৪

উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি

আমাদের এই পুস্তিকাটি তাদের জন্যই, যারা যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও ইলমি বিষয়ে মতামত প্রদান করতে উৎসাহবোধ করে। আশ্চর্যের কথা হলো—তাদের মধ্যে এমনও লোক আছে, যারা নিজেদের ‘তাফাক্কুহ ফিদ দীনের’ কথা ঢোল পিটিয়ে প্রচার করে৷ কেউ তো আবার নিজেকে দাবি করে বসে ‘মুজতাহিদ’। এতটুকুই নয়; তারা বরং সাধারণ মানুষকেও আহ্বান করে সরাসরি কুরআন-হাদিস থেকে ‘ইসতিমবাত’ করার জন্য। অথচ তারা না আরবি ভাষা জানে আর না তাদের কোনো খবর আছে ‘ইসতিমবাত’ ও ‘ইসতিদলালের’ নিয়ম-নীতি সম্পর্কে। সালাফের ত্যাগ তিতিক্ষার কোনো অনুভূতি তাদের মধ্যে নেই। এরা বিজ্ঞ আলিমদের দিকনির্দেশনা গ্রহণেরও সামান্য প্রয়োজন অনুভব করে না৷ অনূদিত কিছু গ্রন্থ, ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কুড়িয়ে পাওয়া কিছু বক্তব্য পুঁজি করে নিজেদের মনে করে ‘স্কলার’। আর এই ফ্যান্টাসি তাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখছে বিজ্ঞ আলিমদের থেকে৷
এমন অযোগ্য লোকদের ইলমি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার কারণে আজ যেসব সমস্যা আমাদের সামনে আসছে এবং সমাজে যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা ছড়িয়ে পড়ছে, তা পরিলক্ষিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন থেকেই ভাবছিলাম এ-বিষয়ে সালাফের বিভিন্ন উক্তিসংবলিত কোনো প্রবন্ধ লিখে জনসাধারণের মাঝে প্রকাশ করবো৷ এতে করে যদি তারা সতর্ক হয়! কিন্তু অন্যান্য ইলমি কাজের কারণে সময় বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। এখন যখন আমার গ্রন্থ “ফিকহি ইখতিলাফ কি হাকিকত…’ দ্বিতীয় সংস্করণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল তখন বিষয়টি নিয়ে লেখার একটা সুযোগ হলো৷ আমি চাচ্ছিলাম যে, এ বিষয়ে সালাফের উক্তিগুলো দু-চার পৃষ্ঠায় লিখে এ কিতাবের পরিশিষ্ট হিসেবে সাথে যুক্ত করে দেবো। এমন চিন্তা থেকেই কাজ শুরু করলাম৷ কিন্তু একসময় খেয়াল করি আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে এবং এ-সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা সামনে চলে এসেছে। অবশেষে সবটা মিলিয়ে আরেকটু পরিপাটি করে এই পুস্তিকাটি তৈরি করি।
আল্লাহ তায়ালা পুস্তিকাটি কবুল করুন এবং মানুষকে এর থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ফয়সাল আহমাদ নদবী
দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা, লক্ষ্ণৌ!
১৮ শাওয়াল ১৪৩৬
৪ সেপ্টম্বর ২০১৫

Click Here To Download Ustad Chara Ilm Orjoner Porinoti

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?