- ইলা শাবাবিল উম্মাহ
- সংকলন- মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার
- সম্পাদনা-মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম
- প্রকাশনী-আয়ান প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮
- বাইন্ডিং-পেপার ব্যাক
এই কয়েক পৃষ্ঠার মধ্যে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক যুবকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা বাণী সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসের বিশাল ভান্ডার থেকে কয়েকটি হাদিস আনা হয়েছে। যা সর্বকালের সকল যুবকদের জন্য পাথেয় স্বরূপ। যেগুলো মেনে চললে ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতা মিলবে। দুনিয়ার জীবনে আসবে অনাবিল শান্তি, পরকালীন জীবনে অর্জিত হবে চিরস্থায়ী সুখের ঠিকানা জান্নাত।
বই সম্পর্কে
যৌবন মানেই বন্ধু, আড্ডা, গান, মাস্তি নয়। মহান আল্লাহ ক্ষণিকের জন্য মানুষকে তার এই বিশেষ নিয়ামত দিয়ে পরীক্ষা করেন। যারা তাতে উত্তীর্ণ হবে, তারাই সফল। আর যারা তা অবহেলা করবে, তারা চিরব্যর্থ। যে ব্যক্তি তার যৌবনকে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করবে, কঠিন কিয়ামতের দিন সে মহান আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় পাবে।রাসুল (সা.) বলেন,‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না,সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে সে ব্যক্তি,যে যুবক বেড়ে উঠেছে মহান প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে।’
(বুখারি, হাদিস : ৬৬০)
বইটির প্রয়োজনীয়তা
মহান আল্লাহ তাআলার কাছে যৌবনকালই সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি হাশরের ময়দানেও প্রতিটি ব্যক্তির যৌবনকালের হিসাব নেওয়া হবে। কিন্তু আজকালকার যুবসম্প্রদায় নানা রকম ফিতনার বেড়াজালে আটকে পড়ে দুনিয়ার মোহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে।তারা দ্বীনের পথ থেকে ছিটকে পড়ে যাচ্ছে।ইসলামকে ভূলে তারা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে,ভূলে যাচ্ছে রাসুলের সুন্নাহ।মানছে না কোনো ইসলামিক নিয়মনীতি।বইটিতে যুবকদের উদ্দেশ্যে মহানবী ﷺ এর বাণী সংযোজন করা হয়েছে,যা প্রতিটি যুবকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ,পাশাপাশি সকল মানুষের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।বইটির প্রথম অংশে যুবক সাহাবাদের প্রতি মহানবী ﷺ এর উপদেশসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে,যা সকল যুবকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া বইটির ২য় অংশে যুবকদের উদ্দেশ্যে সালেহীনগণের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক উপদেশসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।বইটি সকল যুবকদের পাশাপাশি, সর্বোপরি মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,ইন শা আল্লাহ।
ব্যক্তিগত অনুভূতি
ব্যক্তিগত ভাবে বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের আনাচে কানাচে ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে।এসব ফিতনার মোহজালে যুবকরায় বেশি জড়িয়ে পড়েছে।তাদের এই মোহজাল থেকে বের করে আনতে এবং ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা মোতাবেক যৌবনকাল পার করার জন্য বইটিতে মহনবী ﷺ গুরুত্বপূর্ণ বানীসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে,পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও প্রদয়ান করা হয়েছে,যা আমার অনেক ভালো লেগেছে।এছাড়া বইটির প্রচ্ছদও অনেক সুন্দর হয়েছে,মা শা আল্লাহ।
– সাতটি উপদেশ
আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সাতটি উপদেশ দিয়েছেন। তিনি আমাকে আদেশ দিয়েছেন :
১. আমি যেন গরিবদের ভালোবাসি; তাদের সাথে ওঠাবসা করি।
৫. আমি যেন সবসময় সত্য কথা বলি, যদিও সেটা তিক্ত হয়।
১) নীড়ে ফেরার আহবান
— এটি এমন একটি বই, যে বইতে এক ঝাঁক দ্বীনি বোন আপনাদের অতৃপ্ত আত্মাকে নীড়ের সন্ধান পেতে সাহায্য করবে। যে নীড়ে ফিরে আপনাদের আত্মা ভরে উঠবে প্রশান্তিতে।
২) প্রত্যাবর্তিত নক্ষত্র
— গল্পের মাধ্যমে লেখিকা এই বইতে মানুষকে আহ্বান করেছেন হেদায়াতের পথে। এ প্রত্যাবর্তন আঁধার থেকে আলোয়। বদ-দীন থেকে দীনে। অ্যাথেইজম থেকে ইসলামে।
৩) ইলা-শাবাবিল উম্মাহ
— যুবকদের উদ্দেশ্যে বলা নবীজির (সা.) হাদীসগুলোর সংকলন। যা সর্বকালের সকল যুবকদের জন্য পাথেয় স্বরূপ। যেগুলো মেনে চললে ইহ-পরকালীন মুক্তি ও সফলতা মিলবে।