” ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি ”
– শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম।
ইয়া আবি অর্থ হলো- বাবা, আর জাওয়্যিজনি অর্থ হলো – আমার বিয়ের ব্যাবস্থা করুন।
বইটি আমাদের মতো যুবকদের জন্য একটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপকারীর খেতাব প্রাপ্ত। আমরা যারা যৌবনের হেফাযত করতে গিয়ে খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে আগ্রহী তাদের জন্য বইটি একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
একজন বাবাকে তার অপরাধের হাত থেকে বাঁচাতে বইটিতে বারংবার বাবার দিকে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে।
বইটিতে কম বয়সে বিয়ে করার ধার্মিক বিশ্লেষন দেয়া হয়েছে সহজ ও সাবলীল ভাবে।
একজন বাবাকে একজন পুন্যবতি ছেলে/মেয়ে তাদের লজ্জাস্থান কিংবা ইজ্জতের অথবা সকল অপকর্ম থেকে রেহায় পেতে যে মাধ্যমটি ইসলাম সম্মত সেটি গ্রহনযোগ্য করতে – বাবা বাবা বলে সম্মোধন করে বাবার অনুমতি চাওয়া হয়েছে বইটিতে।
একজন বাবা একজন ছেলে কিংবা মেয়ের কিভাবে অপরাধের সাক্ষী অথবা স্বীকার হচ্ছেন সেটা বইতে লক্ষনীয়।
আর তরুনদের ব্যাপারে কি কি জরুরী আর তারা কেন জেনা ব্যাভিচারে লিপ্ত হবে না, কেন হতে গেলে বৈধ পন্থা অবলম্বন জরুরী তাও এই বইতে উল্লেখ্য।
এবার আসি নিজের কথায়।
প্রকাশক বইটি প্রত্যেক ছেলে/মেয়ে পড়ে এরপর উপহার স্বরুপ বাবাকে দিতে বলেছেন। আমারো অনুরোধ থাকবে- আপ্নারা যেন এই কাজটি করেন।
দ্বীতিয় কথা হলো- আমার বন্ধু- বান্ধবের মধ্যে যারা প্রেম-ভালোবাসায় জড়িত, তারা যেন বাবা মাকে জানিয়ে শুভ কাজ সম্পাদন করে ফেলেন। কারন, আপনি বর্তমানে জেনার সাথে লিপ্ত। আপনি একে অপরকে বৈধ করে ফেলুন। এরপর বাকি সব।
আমরা জানি, দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনে যত মজা মাস্তি থাকুক না কেন, এই আগের এবং পরের সব কিছু লিপিবদ্ধ হচ্ছে আমল নামায়।
একজন বাবাও এর জন্য রেহায় পাবেন নাহ!
বিয়েকে সহজ ও সাবলীল করে ফেলার ব্যাপারটা সবাই ভেবে দেখবে।
অনেকে উৎসুক এই ব্যাপারটি নিয়ে, এবং আমি আমার বন্ধুদের গোপন অনেকাংশেই জানি। তাদের এই মুহুর্তে উল্লেখ্য করনীয় বইটিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রত্যেক যুবকের বইটি পড়ে বাবাকে উপহার দেয়া উচিত। খুব তারাতারি, সময় নেই।
রেটিং- ১০/১০
দাম- ১২০ টাকা। (রকমারিতে পাওয়া যাবে)।
বিঃদ্র – বাবাকে কিনে উপহার দেয়ার শপথের নিমিত্তে আমি আপাতত পিডিএফ ফাইল চাইলে দিতে বাধ্য থাকিবো। ধন্যবাদ
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?