বই: ইফ টুমরো কামস।
লেখক:সিডনি শেলডন।
অনুবাদ:অনিশ দাশ অপু।
ধরন: থ্রিলার, এডাল্ট।
ফিলাডেলফিয়ার এক ব্যাংকের ক্যাবল ট্রান্সফার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনিন্দ্য সুন্দরী ট্রেসি হুইটনি।
ঘটনার শুরু হয় ট্রেসির মা ডোরিস হুইটনি র আত্মহত্যা দিয়ে। সেদিনই ট্রেসি তার বয়ফ্রেন্ড চার্লস এর মা বাবার সাথে প্রথম দেখা করতে যায়। বিখ্যাত পরিবারের ছেলে চার্লস স্ট্যানহোপ । চার্লস তাদের জানায় ট্রেসি প্রেগন্যান্ট! অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা রাজি হন এ বিয়েতে।
পরদিন সকালে নিউ অর্লিন্স থেকে খবর আসে যে ট্রেসির মা আত্মহত্যা করেছে। নিউ অর্লিন্স গিয়ে সে জানতে পারে যে জো রোমানো নামের এক লোকের প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যাবসা ও বাড়ি ঘর সব হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে যায় তার মা।
একটি পিস্তল কিনে রোমানোর বাড়ি তে যায় ট্রেসি।
পিস্তল এর ভয় দেখিয়ে বলে, তার মায়ের নামে যে অপবাদ রটানো হয়েছে তা যেন তুলে নেয়া হয়।
এরপর ই ঘুরে যায় ট্রেসির জীবনের মোড়।
রোমানোকে হত্যার চেষ্টা সেই সাথে ৫ ডলার মূল্যর একটি রেনোয়ার ছবি চুরির দায়ে অভিযুক্ত হয় সে যে ছবি কোন দিন চোখেও দেখেনি সে।
উকিল থেকে জজ সবাই বিশ্বাসঘাতকতা করে তার সাথে।
১৫ বছরের জেল হয় তার। জেলে গিয়ে সমকামীদের শিকার হয়ে গর্ভপাত হয় ট্রেসির।
অন্য সবার চেয়ে আলাদা হওয়ায় ওয়ার্ডেনের মেয়ে কে দেখাশোনা করার দায়িত্ব পায় সে। জেল থেকে পালানোর প্ল্যান করে সে। পালানোর দিনক্ষণ ঠিক হয়।
পালানোর দিন ওয়ার্ডেন কন্যা এমির সাথে খেলছিল ট্রেসি। ছোট্ট এমি বলের পেছনে ছুটতে ছুটতে গিয়ে পরলো পানিতে। ঠিক সেই সময় টাই ট্রেসির পালানোর সময়! সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে এমির পিছনে ছুটে গিয়ে সে ও ঝাঁপ দেয় পানিতে আর তখনই মনে পড়ে সাঁতার জানেনা সে!
এ খবর মিডিয়ায় আসলে , সবাই মুক্তি চায় ট্রেসির।
যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেল ট্রেসি ।
এবার প্রতিশোধ নেয়ার পালা। রোমানো, উকিল,জজ কেউই বাদ গেলোনা। কিন্তু কেউ সরাসরি অভিযুক্ত করতে তো পারলোইনা বরং কেউ ঘুর্ণাক্ষরেও চিন্তা ও করতে পারলো না যে এর পেছনে র সব কলকাঠি নাড়ছে ট্রেসি হুইটনি!.
প্রতিশোধ নেয়া শেষ হলে আগের চাকরিতে ফিরতে চাইলো ট্রেসি। কিন্তু ব্যাংক থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হলো কোন জেল ফেরত কয়েদিকে তারা রাখতে চায় না।
একে একে অনেক জায়গায় চাকরির জন্য চেষ্টা করে সে। দিন শেষে ফলাফল একটি ই, কোন জেল ফেরত কয়েদী কে চায় না কেউ।
এভাবেই বিখ্যাত কন আর্টিস্ট হয়ে উঠে ট্রেসি হুইটনি।
সমাজের নোংরা মনের বিত্তশালীদের টার্গেট করে একটির পর একটি যে রুদ্ধশ্বাস চমক সৃষ্টি করে তা যেমন অভিনব তেমনি রোমাঞ্চকর ।সত্যিই অতুলনীয়।
ক্রাইম করা সত্বেও তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয় না মন।
বই টি আমার পড়া সেরা অনুবাদ থ্রীলার।
অবশ্যই ১৮+
এই বই এর সিকুয়েল চেজিং টুমরো ও ভালো লেগেছে। তবে পরবর্তী বই রেকলেস পড়া হয়নি। কেউ পড়ে থাকলে দয়া করে শর্ট রিভিউ দিবেন।
Leave a comment