বই : আমার মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র দায়ী
লেখক : কয়লা সানজু
প্রকাশনী : কিংবদন্তী পাবলিকেশন
ধরন : উপন্যাস
কায়দাবাজ সমাজে ক্ষুদ্র প্রাণীগুলো রাস্তায় কিংবা অলিগলি চষে বেড়ায়, তাদের জীবনযাপন দেখায় এক প্রকার শীতল সুখ আছে। বিচিত্র মস্তিষ্কের মানুষগুলো সে সুখ উগরে ফেলতে চায় না। তারা পৃথিবীতে রয়ে যায় বৃষ্টি শেষে ঝকঝকে আকাশ দেখার লোভে। বারবার হেরে যাবার পরেও বেঁচে থাকার ফর্ম ফিলআপ করে এই জন্য যে, আরো কিছুদিন দেখতে চায় নিরলস মাকড়সার জালবুনন দৃশ্য।
গুটি গুটি পায়ে কচ্ছপ পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলো, পিঁপড়ের দলগুলো একজোটে খাবার খুঁজতে বেরোয়, রোজ সুবহ সাদেকের সময়ে পাখিদের ডাক এলার্ম ক্লকের মতো বাজতে থাকে, কাঠবিড়ালি খুঁজে খুঁজে ফল কুড়িয়ে খায়, এসব জীবনগুলো দেখার স্বার্থে মানুষগুলো বেঁচে থাকতে চায় আরো হাজার বছর। বিচিত্র মস্তিষ্কের মানুষগুলো প্রকৃতির জাত সন্তান। তাদের বেঁচে থাকার কারণ লাগে না।
তাদের বেঁচে থাকার মোহ লাগে না। প্রয়োজন হয় না কোনো আপন বৃক্ষের ছায়া। তারা বাঁচতে পারে, টিকতে পারে, কারন তারা প্রতি মুহূর্তে ডুবে যায় প্রকৃতির গর্ভে।
উপরের অংশটুকুতে লেখক কায়দাবাজ সমাজে ক্ষুদ্র প্রাণী বলতে ছিন্নমূল মানুষদের বুঝিয়েছেন। এই মানুষ গুলোর জীবন কতই না কষ্টের। তবুও তারা দিন শেষে নিশ্চিন্তে যেতা সেতায় রাত কাটিয়ে দেয়। থাকেনা কিছু হারাবার ভয় বা কোন অপ্রত্তাশিত ভয়ের। এই সকল ছিন্নমূল মানুষদের জীবন দেখার জন্য আর একদল বিচিত্র মস্তিষ্কের স্বেচ্ছাসেবী মানুষ নিরলস ভাবে কাজ করে। আজ এখানে কাল ওখানে এভাবেই এই মানুষ গুলো ছিন্নমূল মানুষদের জীবনের সাথে নিজেদের জরিয়ে নেয়। এই বেঁচে নেওয়াই তাদের মনে শান্তির সৃষ্টি করে। বেঁচে থাকার শক্তি যোগায়। – Rasel Islam
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?