আমাজনিয়া : জেমস রোলিন্স | Amaznia

আমাজনিয়া বইটির বুকরিভিউ এবং বুক ফটোগ্রাফি
  • বই: আমাজনিয়া 
  • লেখক: জেমস রোলিন্স
  • অনুবাদ: রাকিব হাসান
  • প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪১৫

বুক রিভিউ

বইটির শুরুতেই আমাজনের গভীর জঙ্গল থেকে মুমূর্ষুপ্রায় অবস্থায় শরীরে অদ্ভুত কিছু চিহ্ন নিয়ে একটি মিশনারি গ্রামে হাজির হয় জেরাল্ড ক্লার্ক নামের সিআইএ এর সাবেক একজন সদস্য। যে কিনা চার বছর আগে আমাজনে গবেষণা করতে আসা বিজ্ঞানীদের একটি দলের সদস্য ছিল।কিন্তু সেই দলটি রহস্যজনক ভাবে আমাজনে নিখোঁজ হয়ে যায়,তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি।
অবিশ্বাস্য হলেও অভিযানের শুরুতে ক্লার্কের একটি হাত থাকলেও চার বছর পর সে যখন মুমূর্ষু অবস্থায় ফিরে আসে তখন তার দুইটি হাতই ছিল।এটা কি করে সম্ভব? কি এমন ঘটেছিলো আমাজনের ভিতরে?জঙ্গলের সেই রহস্য অমীমাংসিত রেখেই কয়েক ঘন্টার মধ্যে জেরাল্ড ক্লার্ক মারা যায় এবং তার শরীর পরীক্ষা করে অজানা অনেক ধরনের টিউমারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এরপর থেকেই ব্রাজিল সহ আমেরিকাতে একটি অজানা রোগের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে মহামারীর আকারে।
এ রহস্য উদঘাটনের জন্য সিআইএ এর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা আর্মি রেঞ্জার্সদের সাথে বিশেষ কিছু ব্যক্তি নিয়ে একটি দল তৈরি করে আমাজনে অভিযানে পাঠানোর জন্য। সেই দলের একজন সদস্য হচ্ছে নাথান র‍্যান্ড।চার বছর আগে গবেষকদের যে দলটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলো সেই দলের দলনেতা ছিলো নাথানের বাবা কার্ল র‍্যান্ড।দলটিকে সাহায্য করার মাধ্যমে নাথানের কাছে এটি একটি সুযোগ ছিলো তার বাবার খোঁজ পাওয়ার।
আসলেই তার বাবার এবং বাকি সহকর্মীদের পরিণতি কি হয়েছিলো?অজানা রোগের প্রতিকারও কি কোনো ভাবে আমাজনের রহস্যের সাথে জড়িয়ে আছে কি না? এসব উদঘাটনের জন্য নতুন তৈরি করা দলটি আমাজনের অভ্যন্তরের ভয়ংকর, অনিশ্চিত যাত্রা শুরু করে।এদিকে দলটির পিছু নিয়েছে অদৃশ্য আরো কিছু শত্রুদল।কি হবে এর পরিণতি?আর কিই বা ছিলো সেই রহস্য? 

পাঠ প্রতিক্রিয়া

জেমস রোলিন্সের লেখা অন্যান্য বইয়ের মতো “আমাজনিয়া” বইটিও থ্রিলার বই হিসেবে জনপ্রিয়।জেমস রোলিন্সের লেখা এই বইটি আমার পড়া প্রথম থ্রিলার বই।প্রথমবার যখন বইটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম তখন থেকেই পড়ার কৌতুহল জন্মেছিল। বইটি যখন পড়া শুরু করি তখন জানতামও না যে,বইটি এতো অসাধারণ এডভেঞ্চার থ্রিলার হবে।বইটির সাইজ দেখে বিরক্ত লাগলেও আশাকরি পড়া শুরু করার পর আর বিরক্ত লাগবে না।কারণ পুরো বইটি ঘিরেই রয়েছে এক অজানা রহস্য, সবসময়ই কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে আর সামনে কি আছে তা জানার আগ্রহ।
“আমাজনিয়া” বইটির আরেকটি দিক বেশ ভালো লেগেছে। সেটা হচ্ছে বইটিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল- আমাজনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আমাজনের বিশালতা, বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগৎ এবং  উদ্ভিদজগৎ,সেখানকার বিভিন্ন উপজাতিদের জীবনযাত্রা,
আমাজনের প্রতি পদক্ষেপে রহস্যময় বিপদসংকুল অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। “আমাজনিয়া” বইটি রহস্যেঘেরা ভালো লাগার মতো একটি বই।
বুকরিভিউ: হাফিজা ইশরাত জাহান 
বুক-ফটোগ্রাফি: হাফিজা ইশরাত জাহান
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?