রিভিউ লিখেছেন: শেখ ইসরাত
- বইয়ের নাম: আদর্শ মুসলিম নারী
- মূল: ড. মুহাম্মদ আলী আল হাসেমী।
- অনুবাদক : মাসঊদুর রহমান নূর।
- প্রকাশন : সবুজপত্র
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
-কাজী নজরুল ইসলাম।
-আবার অধিকারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান কিন্তু মর্যাদার দিক থেকে পুরুষের অবস্থান নারীর উপরে।
নারী কথা:
নারী শব্দটা শুনলেই মনে পরে যায় সেই আরব সমাজের কথা যখন- নারীদের কে মাটিতে পুঁতে রাখা হতো এইজন্য যে, সে একজন মেয়ে..!
আমাদের প্রিয় নবী (স.) এসে নারীদের প্রতি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন।বন্ধ হয়ে যায় নারী হত্যা।
ইতিহাসে বহু নারী আছে যারা তাদের ব্যাক্তিত্বে ছিলেন সেরা.।
ইতিহাস তাদের অমর করে রেখেছে। তাদের মধ্যে- মরিয়ম (আ.),হাজেরা (আ.)
রহিমা (আ.),আসিয়া (আ.)
খাদিজা (রা.),আয়িশা (রা.),ফাতিমা (রা.)
এক একজন ইতিহাসের পাতায় মহীয়সী নারী। তারা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে পৃথিবী আলোকিত করে গিয়েছে।
বইটি যেভাবে আছে:
প্রথম অধ্যায়- মুসলিম নারী: তার স্রষ্টার সাথেঃ এখানে কিভাবে একজন মুমিন নারী তার রবের সাথে সম্পর্ক করবে কিভাবে ইবাদত গুজার হবে ও দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে ইসলাম মেনে চলবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়-
মুসলিম নারী তার নিজের সাথেঃ একজন পরিপূর্ণ মুমিন হতে হলে আগে নিজের সাথে নিজের বোঝা পড়া করে নিতে হয়।
নিজেকে তৈরি করতে হয় সমস্ত প্রতিকূলতা পেড়িয়ে নিজেকে স্ট্রং হতে হয়।
এই অধ্যায়ে নিজেকে কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখবে তার সুন্দর ব্যাখা দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে-
মুসলিম নারী তার পিতামাতা ও স্বামীর সাথে কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! (মানুষের মধ্যে) সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাধিক অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, তোমার মা। তারপরও তোমার মা। তারপরও তোমার মা। তারপর তোমার পিতা। অতঃপর তোমার নিকটবর্তী জন। এরপর তোমার নিকটবর্তী জন।
(সহিহ মুসলিম ৬৩৯৫)
এই হাদিস দ্বারা বুঝতেই পারছেন কেমন হওয়া উচিত আমাদের আচারণ আমাদের পিতামাতার প্রতি।
আর স্বামীর ব্যাপারে বলেছেন, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কাউকে অন্য কোন লোকের প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। – হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৮৫৩)
এছাড়া ও পঞ্চম থেকে দশম অধ্যায়ে একজন মুসলিম নারীর তার সন্তান, জামাতা, পূত্রবধূ, পাড়া-প্রতিবেশি,বান্ধবী, এমন সমাজের সাথে তার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে খুঁটিনাটি বর্ণনা করেছেন।
সব মিলিয়ে একজন মুসলিম নারীর জন্য ‘ আদর্শ মুসলিম নারী ‘ বইটি খুবই উপকারী।
আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনসহ সামাজিক নানা ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
Pc: Sheikh Israt