বই:আঁধার মানবী
লেখক:মাহিন মাহমুদ
প্রথম প্রকাশ:ডিসেম্বর ২০১৫
প্রকাশনী:মাকতাবাতুল হাসান
পৃষ্ঠা সংখ্যা :২১৯
নির্ধারিত মূল্য :১৪০ টাকা
▪সার-সংক্ষেপ:
গল্পের প্রধান চরিত্র জেরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।তার বাবা হাসান ফারুক একজন মুক্তমনা লেখক।”মুক্তচিন্তা” নামে একটি সংগঠন রয়েছে তার।বাবা নাস্তিক হওয়ায় জেরিনের ধর্ম সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাই নেই।হুজরদের প্রতি একটা নেগেটিভ চিন্তা নিয়েই বড় হয়েছে সে।
অপরদিকে জামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। যে খুবই ধার্মিক।সবসময় নিজেকে দ্বীনের দাওয়াতে নিয়োজিত রাখে।
একদিন একটা নোট চাইতে জেরিন জামিলকে ডাক দেয়।কিন্তু জামিল সাড়া না দিয়ে চলে যায়।কারণ ইসলামে বেগানা মেয়েদের সাথে কথা বলা নিষেধ। এতে জেরিন খুবই ক্ষুব্ধ হয়।নিজেকে অপমানিত মনে করে এবং জামিলের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
কিন্তু কুড়িগ্রামে বন্যার্ত,অসহায় মানুষদের ত্রাণ বিতরণ করে আসার পর থেকে বদলে যেতে থাকে ইসলামের প্রতি জেরিনের ধারণা। কি হয়েছিল সেখানে? কেন জেরিনের এই পরিবর্তন?
জেরিন ধীরে ধীরে ইসলামি জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। জামিলের ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে ইসলামি পোস্ট পড়ার জন্য। বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়া শুরু করে।আস্তে আস্তে তার মনে লালন হতে থাকে জামিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে যেন পুরো জীবনটা ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে পারে।
গল্পের অন্যতম এক চরিত্র নুর জাহান। যাকে জামিলের মা এবং বোন পছন্দ করে জামিলের বউ করার জন্যে। বিয়েও ঠিক হয় দুজনের সম্মতিতে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন আগে নুর জাহান জানতে পারে সে যাদের বাবা-মা বলে জানে তারা তার আসল বাবা-মা নয়। কে তার আসল বাবা-মা? জেরিনের সাথেই- বা কি সম্পর্ক?
গল্পের অন্য একটি চরিত্রের কথা না বললেই নয়।মারিয়া।যে বেড়ে ওঠেছে একটি সহজ সরল ধার্মিক পরিবার থেকে। কিন্তু কিছু অসৎ লোকের পাল্লায় পড়ে হয়ে যায় মডেল।তবে একসময় সে বুঝতে পারে ইসলামই সঠিক পথ।ফিরে যেতে চায় বাবা-মায়ের কাছে।তবে বিজ্ঞাপন নির্মাতা দেবরাজ মুখার্জি বাঁধা দেয়।তখন মারিয়া শরণাপন্ন হয় জামিলের।যে জামিলকে একদিন ষড়যন্ত্র করে জেলে ঢুকিয়েছিল। জামিলকি তাকে সাহায্য করবে? সে কি পারবে দেবরাজ মুখার্জির কালো থাবা থেকে মারিয়াকে বের করতে?
কি হয়েছিল গল্পের শেষে? জেরিনকি পেয়েছিল জামিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে?
▪পাঠ-পর্যালোচনা:
ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো একটা বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরাও যে চাইলে দ্বীনের পথে চলতে পারে।দ্বীনের কাজে শরীক হতে পারে সেটা লেখক খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শেষটা একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।তবে কিছু বিষয় বেশীই নাটকীয় মনে হইছে।
Leave a comment